গাংনীতে ইটভাটায় চাঁদাবাজারা বেপরোয়া : মালিকের প্রতিরোধ গাংনী প্রতিনিধি: ইট পোড়ানোর মরসুম শুরু না হতেই মেহেরপুর গাংনীতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে চাঁদাবাজরা। গত কয়েক বছরের মতোই এবারো হুমকিধামকি দিয়ে চলছে চাঁদা দাবি। এতে ব্যবসার শুরুতেই ইটভাটা মালিকরা রয়েছেন চরম আতঙ্কে। অবশ্য গত সোমবার রাতে গাংনীর এক ইটভাটা মালিকের প্রতিরোধে পালিয়ে গেছে চাঁদাবাজরা। জানা গেছে, গত সোমবার রাত সাড়ে এগারটার দিকে গাংনীর বাঁশবাড়িয়া-চিৎলা মাঠে অবস্থিত আনারুল ব্রিকসে একদল চাঁদাবাজ হানা দেয়। ইটভাটা মালিকসহ সেখানে কর্মকর্তরা আগেই প্রস্তুত ছিলেন। ভাটা মালিকের ব্যক্তিগত আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলিবর্ষণ করেন। প্রতিরোধ গড়ে তোলের শ্রমিকরা। একপর্যায়ে দিশেহারা চাঁদাবাজরা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। আনারুল ইসলাম জানান, গত কয়েকদিন আগে তার মোবাইলফোনে কয়েকজন চাঁদা দাবি করে। এরা একাধিক দলে বিভক্ত। এক দলের দাবি ৫০ হাজার এবং অন্যদলের ৬০ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করার হুমকি দেয়। চাঁদা না দেয়ায় সোমবার রাতে একদল চাঁদাবাজ ইটভাটার ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে। তবে তার ব্যক্তিগত সটগানের (লাইসেন্সকৃত) কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ ও শ্রমিকদের প্রতিরোধে তারা পালিয়ে যায়। রাতেই অবশ্য পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। গাংনী উপজেলায় ফিক্সড ও ব্যারেল চিমনি মিলে অর্ধশতাধিক ইটভাটা রয়েছে। মাসখানেক আগে থেকে বেশির ভাগ ইটভাটায় ইট তৈরি ও পোড়ানো শুরু হয়েছে। এর মধ্যেই চাঁদাবাজচক্রের সদস্যরা মোবাইলফোনে ইটভাটার মালিক ও দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের মোবাইল নম্বরে চাঁদার দাবিতে একের পর এক হুমকি দিচ্ছে। কোনো কোনো ইটভাটায় চাঁদাবাজরা এসে শ্রমিকরদের শাসিয়ে যাচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে গাংনীর এক ইটভাটা মালিক জানান, তার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে তিনটি নম্বর থেকে চাঁদা দাবি করা হচ্ছে। তবে তিনি চাঁদা দেননি। তাই শনিবার রাতে ১০/১২ জনের একদল চাঁদাবাজ তার ইটভাটায় এসে শ্রমিকদের শাসিয়েছে। দ্রুত টাকা না দিলে শ্রমিকদের ইটভাটার আগুনে ফেলে হত্যার হুমকিও দেয়া হয়েছে। বিষয়টি তিনি গাংনী থানা পুলিশে অবহিত করেছেন। পুলিশের একাধিক দল ইটভাটাগুলোর নিরাপত্তার জন্য রাতে মাঝেমধ্যেই টহল দিচ্ছে। তবে এর মধ্যেও চাঁদাবাজরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলে জানান ওই ইটভাটা মালিক। বামন্দীর এক ইটভাটা মালিক জানান, গত কয়েক বছর ধরে অব্যাহত চাঁদাবাজির ঘটনায় তাদের ব্যবসা লাটে ওঠার মতো অবস্থা। কোনো কোনো মালিক কার্যক্রম শুরুর আগেই চাঁদা দিচ্ছেন। আবার কেউ কেউ মাঝেমধ্যেই টাকা দিয়ে চলেছেন। শ্রমিক ও ইটভাটার নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে বেশির ভাগ ইটভাটা মালিক চাঁদাবাজদের সাথে ঝামেলায় জড়াতে চাচ্ছেন না। সূত্রগুলো আরো জানায়, গত বছরে কয়েক ইটভাটায় বোমা হামলা ও শ্রমিকদের বেধড়ক মারপিট করে চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীরা। আবার ইটভাটায় ক্ষতিসাধনও করে। এতে মালিকদের পাশাপাশি রাতে ইটভাটায় কর্মরত শ্রমিকরা চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে পড়েছেন। গত বছরের সহিংস ঘটনার আশঙ্কা করছেন তারা। গাংনী থানার ওসি (তদন্ত) মোক্তার হোসেন জানান, ইটভাটা মালিকদের কয়েকজন মৌখিকভাবে চাঁদার বিষয়টি জানিয়েছেন। চাঁদাবাজদের ধরতে অবশ্য পুলিশও মাঠে নেমেছে। সোমবার আনারুল ব্রিকসের ওই ঘটনার পর আর কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে জানান তিনি।

গাংনীতে ইটভাটায় চাঁদাবাজারা বেপরোয়া : মালিকের প্রতিরোধ

গাংনী প্রতিনিধি: ইট পোড়ানোর মরসুম শুরু না হতেই মেহেরপুর গাংনীতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে চাঁদাবাজরা। গত কয়েক বছরের মতোই এবারো হুমকিধামকি দিয়ে চলছে চাঁদা দাবি। এতে ব্যবসার শুরুতেই ইটভাটা মালিকরা রয়েছেন চরম আতঙ্কে। অবশ্য গত সোমবার রাতে গাংনীর এক ইটভাটা মালিকের প্রতিরোধে পালিয়ে গেছে চাঁদাবাজরা।

জানা গেছে, গত সোমবার রাত সাড়ে এগারটার দিকে গাংনীর বাঁশবাড়িয়া-চিৎলা মাঠে অবস্থিত আনারুল ব্রিকসে একদল চাঁদাবাজ হানা দেয়। ইটভাটা মালিকসহ সেখানে কর্মকর্তরা আগেই প্রস্তুত ছিলেন। ভাটা মালিকের ব্যক্তিগত আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলিবর্ষণ করেন। প্রতিরোধ গড়ে তোলের শ্রমিকরা। একপর্যায়ে দিশেহারা চাঁদাবাজরা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।

আনারুল ইসলাম জানান, গত কয়েকদিন আগে তার মোবাইলফোনে কয়েকজন চাঁদা দাবি করে। এরা একাধিক দলে বিভক্ত। এক দলের দাবি ৫০ হাজার এবং অন্যদলের ৬০ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করার হুমকি দেয়। চাঁদা না দেয়ায় সোমবার রাতে একদল চাঁদাবাজ ইটভাটার ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে। তবে তার ব্যক্তিগত সটগানের (লাইসেন্সকৃত) কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ ও শ্রমিকদের প্রতিরোধে তারা পালিয়ে যায়। রাতেই অবশ্য পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

গাংনী উপজেলায় ফিক্সড ও ব্যারেল চিমনি মিলে অর্ধশতাধিক ইটভাটা রয়েছে। মাসখানেক আগে থেকে বেশির ভাগ ইটভাটায় ইট তৈরি ও পোড়ানো শুরু হয়েছে। এর মধ্যেই চাঁদাবাজচক্রের সদস্যরা মোবাইলফোনে ইটভাটার মালিক ও দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের মোবাইল নম্বরে চাঁদার দাবিতে একের পর এক হুমকি দিচ্ছে। কোনো কোনো ইটভাটায় চাঁদাবাজরা এসে শ্রমিকরদের শাসিয়ে যাচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে গাংনীর এক ইটভাটা মালিক জানান, তার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে তিনটি নম্বর থেকে চাঁদা দাবি করা হচ্ছে। তবে তিনি চাঁদা দেননি। তাই শনিবার রাতে ১০/১২ জনের একদল চাঁদাবাজ তার ইটভাটায় এসে শ্রমিকদের শাসিয়েছে। দ্রুত টাকা না দিলে শ্রমিকদের ইটভাটার আগুনে ফেলে হত্যার হুমকিও দেয়া হয়েছে। বিষয়টি তিনি গাংনী থানা পুলিশে অবহিত করেছেন। পুলিশের একাধিক দল ইটভাটাগুলোর নিরাপত্তার জন্য রাতে মাঝেমধ্যেই টহল দিচ্ছে। তবে এর মধ্যেও চাঁদাবাজরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলে জানান ওই ইটভাটা মালিক।

বামন্দীর এক ইটভাটা মালিক জানান, গত কয়েক বছর ধরে অব্যাহত চাঁদাবাজির ঘটনায় তাদের ব্যবসা লাটে ওঠার মতো অবস্থা। কোনো কোনো মালিক কার্যক্রম শুরুর আগেই চাঁদা দিচ্ছেন। আবার কেউ কেউ মাঝেমধ্যেই টাকা দিয়ে চলেছেন। শ্রমিক ও ইটভাটার নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে বেশির ভাগ ইটভাটা মালিক চাঁদাবাজদের সাথে ঝামেলায় জড়াতে চাচ্ছেন না।

সূত্রগুলো আরো জানায়, গত বছরে কয়েক ইটভাটায় বোমা হামলা ও শ্রমিকদের বেধড়ক মারপিট করে চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীরা। আবার ইটভাটায় ক্ষতিসাধনও করে। এতে মালিকদের পাশাপাশি রাতে ইটভাটায় কর্মরত শ্রমিকরা চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে পড়েছেন। গত বছরের সহিংস ঘটনার আশঙ্কা করছেন তারা।

গাংনী থানার ওসি (তদন্ত) মোক্তার হোসেন জানান, ইটভাটা মালিকদের কয়েকজন মৌখিকভাবে চাঁদার বিষয়টি জানিয়েছেন। চাঁদাবাজদের ধরতে অবশ্য পুলিশও মাঠে নেমেছে। সোমবার আনারুল ব্রিকসের ওই ঘটনার পর আর কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে জানান তিনি।