দর্শনায় পুলিশের অভিযান প্রাইভেটকারসহ সোয়া ৪ কেজি রুপো বের করা ও মামলা থেকে রেহাই পেতে দৌঁড়ঝাঁপ

দর্শনা অফিস: দর্শনায় প্রাইভেটকারসহ সোয়া ৪ কেজি রুপোর ঘটনায় নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। রুপো চোরাচালান মামলা থেকে রেন্টু রেহায় পেলেও এখনও গাড়ি ছাড়াতে পারেনি চোরাকারবারীচক্র। গাড়ি ছাড়াতে দৌঁড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। গত শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে দর্শনা পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই মিজানুর রহমানের নির্দেশে এএসআই জিয়াউর রহমান গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে চোরাচালানবিরোধী অভিযান চালান দর্শনা পরানপুর-লোকনাথপুর সড়কে।

পুলিশ বলেছে, করোলা রঙের একটি প্রাইভেটকার (ঢাকা-মেট্রো-গ-১২-৮৬১৯) যাচ্ছিলো দর্শনা অভিমুখে। পুলিশ দেখে প্রাইভেটকারের ভেতরে থাকা চোরাকারবারীরা পালিয়ে যায়। পুলিশ কারের ভেতর থেকে ৪ কেজি ২শ গ্রাম রুপো উদ্ধার করেছে। এ ঘটনার পর থেকে দৌঁড়ঝাঁপ শুরু করেছে দর্শনা পুরাতন বাজারের ইসলাম জুয়েলার্সের মালিকপক্ষ। অভিযোগ উঠেছে, ইসলাম জুয়েলার্সের সোনা ও রুপো বহনের জন্য একটি প্রাইভেটকার ও একটি মাইক্রোবাস ব্যবহার করা হয়ে থাকে। গতপরশু শনিবার বিকেলে রুপো নিয়ে দর্শনায় যাওয়ার পথেই লোকনাথপুর-পরানপুর সড়কে পুলিশের উপস্থিতির টের পেয়েছে পালিয়ে যায় চালক। গুঞ্জন উঠেছে, চালক ছিলো ইসলাম জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী রাজিউল ইসলাম রেন্টু। আসলে কি রেন্টু পালিয়ে রক্ষা পেয়েছিলো নাকি পুলিশ ধরেও ছেড়ে দিয়েছিলো? এদিকে রেন্টুকে মামলা থেকে রক্ষা করতে তার বাবা ইকরামুল হক দৌঁড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। অনেকেই বলেছে, পুলিশি সঠিক তদন্ত হলে সোনা ও রুপো চোরাচালানের চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস হতে পারে।