স্টাফ রিপোর্টার: বিভিন্ন প্রলোভনের মাধ্যমে ঢাকায় নিয়ে এসে অসহায় দরিদ্রদের কিডনি বিক্রি করতো দালালচক্র। এখন কৌশল বদলে গেছে। জালিয়াতির মাধ্যমে পাসপোর্ট বানিয়ে কিডনি বিক্রি করতে আগ্রহী দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে তারা নিয়ে যাচ্ছে ভারতে। এ জন্য জয়পুরহাট, রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ ও বাগেরহাট জেলাকেন্দ্রিক ২০ সদস্যের সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১০ জন কিডনি পাচারকারী ও ১০ জন কিডনি বিক্রি করে দেয়ার জন্য তাদের নিযুক্ত দালাল। এ সব কিডনি পাচারকারীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে গত ৬ই নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে নির্দেশ দিয়েছে। নির্দেশনার সঙ্গে একটি শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন জুড়ে দেয়া হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে কিডনি পাচারকারী সিন্ডিকেট সদস্যদের তালিকা এবং কয়েকজন ভিকটিমের নাম-ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিডনি বিক্রির ঘটনা জরুরি ভিত্তিতে প্রতিহত করা না গেলে কিডনি পাচারের ব্যাপকতা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এলাকায় অপহরণ, গুম, হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বেড়ে যাবে।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোজ্জাম্মেল হক খান গত সোমবার মানবজমিনকে বলেন, কিডনি পাচার সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন পেয়েছি। সহসাই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত ২২ এপ্রিল সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানার তেবাড়ীয়া গ্রামের মো. হারুন মোল্লাকে (১০) অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতীকারীরা অপহরণ করে। অপহরণের পর হারুনকে অজ্ঞান করে তার কিডনি অপসারণের মাধ্যমে হত্যা করা হয়। পরে উল্লাপাড়া থানা পুলিশ স্থানীয় তেবাড়ীয়া কালিয়া বিল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে। এ বিষয়টিকে সামনে রেখে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে তদন্ত শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরপরই কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে সাপ বেরিয়ে আসে।