স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার রেলবাজার ট-বাজারের ব্যবস্থাপনায় আলোচনাসভা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠান সন্ধ্যায় শুরু হয়ে চলে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। রেলবাজার ট-বাজার ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বার্ষিক এ আয়োজন ছিলো দুটি পর্বে বিভক্ত। প্রথমপর্বে ছিলো আলোচনা অনুষ্ঠান ও দ্বিতীয়পর্বে ছিলো রেলবাজার সুর-ছন্দ শিল্পী গোষ্ঠীর আয়োজনে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে সাবেক কাউন্সিলর সাবেক জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন প্রধান অতিথি চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়রের প্রতিনিধি প্যানেল মেয়র শেখ গোলাম মোস্তফা মাস্তার। বিশেষ অতিথি রেলবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ডা. নাজমুল আলম খান, অ্যাড. শফিকুল ইসলাম শফি, ওবাইদুল হক জোয়ার্দ্দার, যুবলীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম আসমান, মিরাজুল ইসলাম কাবা ও আয়োজক কমিটির পক্ষে স্বাগত বক্তব্য রাখেন গিয়াস উদ্দীন বাচ্চু।
মূল আকর্ষণ দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয় বংশীবাদক ফজলু ফকিরের বাজানো ‘বাঁশি বাঁজিলো রে দূরে কদম তলায়’ সুরের মূর্ছনার মধ্যদিয়ে। এছাড়া শিল্পী শোভা পারভীন ও ছোট্ট শিশু মৌটুসীর নৃত্য-গান মাতিয়ে তোলে দর্শকদের। ব্যবসায়ী টিপু সুলতানের গোলাপী এখন ট্রেনে ছবির….আছেন আমার মুক্তার…….আছেন আমার ব্যারিস্টার এবং লাল্টুর গাওয়া প্রয়াত বশির আহাম্মেদের……ডেকোনা আমারে তুমি কাছে ডেকো না…গান শুনে তো সবাই অবাক। সঙ্গীত অনুষ্ঠানের মূল পরিকল্পনাকারী শিল্পী মজিবর রহমান, আ. হামিদ, পুষ্পিতা, আ.হালিম ও হাসু। মানিক ও বিল্লালের নেতৃতে ডিজিটাল ড্যান্স গ্রুপের ব্রেক ডান্স ছাড়াও পুলিশ বাহিনীর দায়িত্ব-কর্তব্য তুলে ধরে স্ব-রচিত কবিতা আবৃত্তি করেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশের সদস্য এসআই নাসিরুল ইসলাম।
শোভা পারভিনের শেষ পরিবেশনা ‘..দিলে বড় জ্বালারে পাঞ্জাবিওয়ালা…’। গান শুনেতো দর্শকরা স্টেজে উঠে পড়ার মতো অবস্থা হয়ে যায়। রাত তখন বাজে সাড়ে ১২টা। সভাপতি মতিয়ার রহমান পরবর্তীতে আবারো আয়োজন করা হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আশ্বাসের মাধ্যমে দর্শক শান্ত করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটান। আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত করে তোলেন উপস্থাপক সাংবাদিক ইসলাম রকিব।