২৬৪ রানে রোহিতের বিশ্বরেকর্ড

মাথাভাঙ্গা মনিটর: শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চতুর্থ ওয়ানডেতে অনন্য এক রেকর্ড গড়েছেন রোহিত শর্মা। ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি রান এখন ভারতের এ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের। গতকাল বৃহস্পতিবার কোলকাতার ইডেন গার্ডেনসে উপস্থিত দর্শকদের বিস্ময়াভিভূত করে ১৭৩ বলে ২৬৪ রানের ইনিংস খেলেন রোহিত। আগের সর্বোচ্চ ২১৯ রানের ইনিংসটি ছিলো তারই স্বদেশি বীরেন্দর শেবাগের। ১৪৯ বলের ইনিংসটি শেবাগ খেলেছিলেন ২০১১ সালের ডিসেম্বর মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। রোহিতের দৃষ্টিনন্দন ব্যাটিঙে সেটাকেই এখন কম মনে হচ্ছে। ৫০তম ওভারে নুয়ান কুলাসেকারার শেষ বলে মাহেলা জয়াবর্ধনের হাতে ধরা পড়ার আগে ভারতকে বড় সংগ্রহ এনে দেন রোহিত। ৫ উইকেট হারিয়ে ৪০৪ রান করে স্বাগতিকরা। ওয়ানডে ক্রিকেটে এটি রোহিতের দ্বিতীয় দ্বিশতক। এ কৃতিত্বও আগে গড়তে পারেনি কোনো ক্রিকেটার। ওয়ানডে ক্রিকেটে দ্বিশতক করা অন্য ব্যাটসম্যান হলেন শচীন টেন্ডুলকার। আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্রিকেটে সবার আগে দ্বিশতক করেন ভারতের এ ব্যাটিং কিংবদন্তি। অপরাজিত ২০০ রানের ইনিংসটি ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলেছিলেন তিনি। ২০১৩ সালের নভেম্বর মাসে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২০৯ রান করে ওয়ানডেতে তৃতীয় দ্বিশতকটি করেছিলেন রোহিত। কলকাতায় এবার তিনি গড়লেন ইতিহাস। রোহিত শুরুটা করেছিলেন ধীরে; অর্ধশতক করেন ৭২ বলে। তখন বোঝা যায়নি কতটা বিধ্বংসী হতে পারেন তিনি। এরপরই মেরে খেলতে থাকেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান; একশ রান করেন ঠিক একশ বলে। শতকের পরও থামেননি, বোলারদের পিটিয়ে ১২৫ বলে ১৫০ রান পূর্ণ করেন রোহিত। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় দ্বিশতক করতে খেলেন ১৫১ বল। শেষের দিকে বলে ব্যাট লাগালেই বাউন্ডারি পাচ্ছিলেন রোহিত। শ্রীলঙ্কার বোলারদের ইয়র্কার অথবা ফুলটস- কোনোটাই আর তাকে থামাতে পারেনি। প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ২৫০ পেরুতে তার লাগে মাত্র ১৬৬ বল। তবে রেকর্ড গড়তে ভাগ্যেরও সহায়তা পেয়েছেন রোহিত। ১৬ বলে ৪ রান করা অবস্থায় শামিন্দা এরাঙ্গার বলে থিসারা পেরেরা তার ক্যাচ ফেলে দিয়েছিলেন। দ্বিতশক করার পরও সহজ সুযোগ দিয়েছিলেন রোহিত। ৪৬তম ওভারে কুলাসেকারার ফুলটস বলে সীমানার পাশে সহজ ক্যাচ ছাড়েন সেকুগে প্রসন্ন। বল তার আঙ্গুল গলে চার হয়ে যায়। তখন ২০১ রানে ব্যাট করছিলেন রোহিত। পরের ওভারেই এরাঙ্গার বলে জীবন পাওয়ার সময় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ভেঙে ২২২ রান ছিল রোহিতের। এবার বলের নিচে গিয়েও ক্যাচ ধরতে পারেননি লাহিরু থিরিমান্নে, উল্টো সীমানা পেরিয়ে যায় বল। ইনিংসের শেষ বলে আউট হওয়ার আগে সব কীর্তি করা সারা রোহিতের। ফেরার সময় সতীর্থদের কাছ থেকে তাই পান গার্ড অব অনার।