মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নার্স-আয়াদের দৌরাত্ম্য যেন থামছেই না। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে প্রতিনিয়তই হয়রানির শিকার হচ্ছেন অনেকেই। সরকারি হাসপাতালের সেবা যেন নার্স-আয়াদের উপরি দিয়ে কিনতে হচ্ছে। ভুক্তভোগীরা বারবার কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেও অজ্ঞাত কারণে সুবিচার পাচ্ছে না। এমন অভিযোগের পাল্লা দিন দিন ভারি হচ্ছে।
জানা গেছে, গত বুধবার মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ডেলিভারির জন্য ভর্তি হন সদর উপজেলার হরিরামপুর গ্রামের মাহবুলের স্ত্রী তাসলিমা ও গাংনীর ষোলটাকা গ্রামের রফজেল আলীর স্ত্রী মাকছুদা খাতুন। মাকছুদা একটি মৃত সন্তান প্রসব করেন। আর তাসলিমার সিজারিয়ান অপারেশন করা হয়। এরপর দু প্রসূতিকে নিয়ে নার্স-আয়াদের সেই চিরচেনা টানাহেঁচড়া শুরু হয়।
রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, গত বুধবার রাতে হাসপাতালে দায়িত্বরত নার্স নন্দিতা ও তার সঙ্গীয় আয়া বিলকিস এবং রেহেনা রোগীর স্বজনদের কাছে টাকা দাবি করেন। কিন্তু দিতে রাজি না হলে তারা খারাপ ব্যবহার করেন। একপর্যায়ে প্রসূতির প্যাড পরিবর্তনের জন্য ১শ টাকা ও স্যালাইন পরিবর্তনের জন্য ৬০ টাকা জোরপূর্বক আদায় করেন।
একই আচরণ করা হয় মাকছুদা ও তার পরিবারের লোকজনের সাথে। মৃত শিশু সরানোর ও রোগীর পরিচর্যার জন্য তারা জোরপূর্বক এক হাজার টাকা নেন। এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের কাছে এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন তাসলিমা খাতুন। গত বুধবার রাতের ঘটনা উল্লেখ করে তিনি সুবিচার দাবি করেছেন। জানতে চাইলে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. অলোক কুমার দাস জানান, অভিযোগটি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।