জীবননগরের যুবক জাফরের হাত-পা’র রগ কেটে হত্যার চেষ্টা

সন্ধ্যায় অপহরণ : আলমডাঙ্গা গোয়ালবাড়ির মাথাভাঙ্গা নদীর ধার থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার

 

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: জীবননগর থেকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে আলমডাঙ্গার গোয়ালবাড়ি গ্রামের নদীর চর এলাকায় হাত-পার রগ কেটে জাফরকে হত্যার চেষ্টা করা হয় । গতরাত সাড়ে ৮টার দিকে দুর্বৃত্তরা তার দু হাত ও দু পায়ের রগ কেটে মৃত ভেবে মুমূর্ষু অবস্থায় ফেলে রেখে যায়। জাফরের শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার রায়পুর বাড়ান্দী মাঠপাড়ার শওকত আলীর ছেলে যুবক জাফর (২৫) জানান, তিনি গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে জীবননগর উপজেলা শহরের হাসপাতাল মোড়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় একটি মাইক্রোবাস এসে থামে এবং তার নাম ধরে ডাক দেয়। মাইক্রোবাসের কাছে এগিয়ে গেলে অজ্ঞাত চার ব্যক্তি তাকে জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। এরপর দুর্বৃত্তরা তার বুকের ওপর পা দিয়ে চেপে ধরে রাখে এবং লাথি মারতে মারতে অজ্ঞাত স্থানের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। তার মনে হয়েছে চুয়াডাঙ্গা একাডেমী মোড় থেকে আরো দুজন ওঠে। পরে তারা জাফরকে একটি মাঠের ভেতরে নিয়ে দু হাত ও দু পায়ের রগ কেটে মৃত বলে ফেলে রেখে চলে যায়।

আলমডাঙ্গা উপজেলার বাড়াদী ইউনিয়নের গোয়ালবাড়ি গ্রামের মাথাভাঙ্গা নদীর তীরবর্তী একটি ভাগাড় জমিতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিলেন জাফর। এক পর্যায়ে জাফরের আর্তচিৎকার শুনে এলাকার লোকজনের সহযোগিতায় রাত ৯টা ৪০ মিনিটে মুন্সিগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। গতরাত সাড়ে ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জাফর সাংবাদিকদের জানান, তিনি দুর্বৃত্তদের একজনকে চিনতে পেরেছেন। তার নাম আনারুল। বাড়ি দুর্গাপুর গ্রামে। জাফর অভিযোগ করে বলেন, তার তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী গোয়ালবাড়ি গ্রামের রাহাজ উদ্দিনের মেয়ে আনোয়ারার ফুফাতো ভাই আনারুলই আনোয়ারাকে বিয়ে শোনা যায়। এ কারণে সেই আমার হাত-পা’র রগ কেটে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র করেছে। ইমারজেন্সির কর্তব্যরত চিকিৎসক এহসানুল হক জানান, জাফরের পায়ের অবস্থা ভালো নয়।