জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত আজ

স্টাফ রিপোর্টার: আগের সূচি অনুযায়ী ২ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিলো জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা। কিন্তু জামায়াতে ইসলামীর হরতালের কারণে ২ ও ৩ নভেম্বরের পরীক্ষার নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয় ৭ ও ১৪ নভেম্বর। কিন্তু এরপরও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারছেন না শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা। আগামী বৃহস্পতিবারও হরতাল ডেকেছে জামায়াতে ইসলামী। ওই দিনের পরীক্ষার বিষয়ে আজ সোমবার সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। তবে হরতাল থাকলে পরীক্ষা হবে না সে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মন্ত্রণালয়। ফলে পরীক্ষা শুরুর আগেই ২১ লাখ খুদে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা সূচি বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। অপর জামায়াত নেতা মোহাম্মদ কামরুজ্জামানের আপিলের রায় ঘোষণা করা হবে আগামীকাল সোমবার। রায় বিপক্ষে গেলেই আবারও হরতালের হুমকি দিয়ে রেখেছে জামায়াত। ফলে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের উৎকণ্ঠার পাশাপাশি পরীক্ষা সময়মতো শেষ করা নিয়েই শঙ্কায় আছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. দিলারা হাফিজ গতকাল বলেন, আগামীকাল আরো একটি রায় আছে। আমরা মন্ত্রীর সাথে আলাপ করেছি। আগামীকাল যদি আরো কোনো কর্মসূচির ঘোষণা আসে সেটি দেখেই পরীক্ষার নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হবে। কালকেই তা সবাইকে জানিয়ে দেয়া হবে। বোর্ডের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান বলেন, দেশের স্বার্থেই রাজনীতি। ভবিষ্যত প্রজন্মকে গড়ে তোলাই সবার মূল লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য ব্যহত হয় এমন কোনো কর্মসূচি কারোই দেয়া উচিত নয়।

হরতালের কারণে এবার জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা ২ নভেম্বরের পরিবর্তে শুরু হচ্ছে ৫ নভেম্বর। শিশুদের ব্যস্ত থাকার কথা তাদের প্রস্তুতি নিয়ে। কিন্তু সঠিক সময়ে পরীক্ষা হবে কি-না তা নিয়েই শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা আছেন উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায়। আগামী সপ্তার পরীক্ষাগুলো নিয়েও শিক্ষার্থীরা বেশ চিন্তিত। আবার ২৩ নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে প্রাথমিক ও এবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা। আর এর আগেই শেষ করতে হবে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা। কিন্তু ভবিষ্যত কর্মসূচির কথা ভেবে পরীক্ষার নতুন তারিখও নির্ধারণ করতে পারছে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ফলে তারাও উদ্বেগের মধ্যেই দিন কাটাচ্ছেন। গত বছরও জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা শুরুর দিনেই হরতাল আহ্বান করেছিলো বিএনপি-জামায়াত জোট। ফলে ৪ নভেম্বর পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে ৭ নভেম্বর থেকে শুরু করতে হয়। এ ছাড়া পুরো পরীক্ষায়-ই ছিলো আরো একাধিক হরতাল। এ বছরও সেই অবস্থারই পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা।