ক্ষুদ্র ঋণ দেয়া এবং বর্তমান বাস্তবতা

 

‌            মূলধন হলেই সকল ক্ষেত্রে সফল হওয়া যায় না এবং অনেকে সফল হতে পারেনি। বিষয়টি নানা প্রশ্নের সৃষ্টি করে। এখন ক্ষুদ্রঋণ দিয়ে দারিদ্র্য বিমোচনের পাশাপাশি স্বাস্থ্য ও শিক্ষা বিষয়গুলোর উন্নয়ন ঘটানোর তাগিদ দেয়া হচ্ছে। ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে দারিদ্র্য নিরসনের লক্ষ্যে কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে কেএসএফ কাজ করে যাচ্ছে। পরিবারভিত্তিক উন্নয়নের কাজে ১০ হাজার থেকে ১০ লাখ টাকা ঋণ দেয়ার ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।

 

বাংলাদেশে ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণের জন্য গঠিত হয়েছে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরও)। এ অথরিটি ক্ষুদ্রঋণের সুদের হার, কর্মী ব্যবস্থাপনাসহ সকল প্রকার অনিয়ম ও নিয়ম-কানুন সুপারিশ ও মনিটরিং করে থাকে। বাংলাদেশে সব বেসরকারি ক্ষুদ্রঋণ প্রদানকারী সংস্থাগুলোর বাধ্যতামূলকভাবে এমআরওর নিয়মনীতি মেনে চলতে হয় ও এর সদস্য পদ লাভ করতে হয়। পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের শুরু থেকে অদ্যাবধি ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নরগণ ও দেশের প্রথিতযশা আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অর্থনীতিবিদগণ। তাই পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি নিয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ থাকে না। বর্তমানে দেশের ১১ লাখ দরিদ্র জনগোষ্ঠী পিকেএসএফের আওতায় এসেছে। আগে যেখানে ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত ক্ষুদ্র ঋণের সুদ দিতে হতো এখন সেটা নেমে এসেছে সর্বোচ্চ ২৭ শতাংশে।

 

ক্ষুদ্রঋণ ব্যবস্থাকে শতভাগ সফল করতে হলে ঋণ গ্রহীতাকে সচেতন ও শিক্ষিত হতে হবে। ঋণের অর্থটি কোন খাতে ব্যবহার করে কীভাবে সুদ পরিশোধ করে নিজের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে পারে সে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা থাকতে হবে। এসব না দেখে ঋণ দিলে তা শুধু অনাদায়ীই হয় না, কিস্তি আদায়কারীদের কাবলি তাগাদায় প্রাণও বিপন্ন হয় অনেকের। ফলে ঋণদাতা সংস্থাসমূহের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিশেষ যত্নবান হওয়া জরুরি।