যুবলীগ একাংশের সশস্ত্র মিছিলে তটস্থ শহর : চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে বর্বরোচিত হামলায় ৪ সাংবাদিক আহত

বিএডিসি লেবারদের বিরোধে যুবলীগের পাল্টাপাল্টি অবস্থান : সড়কে গণহারে অটোরিকশা ভাঙচুরের পরও পুলিশ ছিলো নীরব দর্শক

 

রাতভর পুলিশি অভিযানে দুজন গ্রেফতার : নিরাপত্তাহীনতায় সাংবাদিকদের গণজিডি আজ : হামলাকারীদের ধরা না হলে অবস্থান ধর্মঘটসহ বৃহত্তর কর্মসূচি

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে বর্বরোচিত হামলা চালিয়ে ৪ সাংবাদিককে আহত করেছে যুবলীগের একাংশ। হামলাকারীরা প্রেসক্লাবের পার্টিশনের থাইগ্লাস, চেয়ার, টেবিলসহ তছনছ ও সাংবাদিকদের ৫টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১টা ২০ মিনিটের দিকে সশস্ত্র মিছিল সহকারে এ তাণ্ডব চালান তারা। সশস্ত্র মিছিলকারীরা জেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়কে কমপক্ষে ১৫টি অটোরিকশা ভাঙচুরের পর চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে নগ্ন ও বর্বরোচিত হামলা চালিয়ে মিছিল করতে করতে সরকারি কলেজের বিপরীতে ওয়াপদায় ফিরে যান।

DSC04228

চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে হামলা মামলায় গতরাতে দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে হামলার প্রতিবাদে গতকালই মেহেরপুর, দর্শনা, দামুড়হুদাসহ বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদসভার আয়োজন করা হয়। আজ শুক্রবার সকালে চুয়াডাঙ্গার সকল সাংবাদিক নিরাপত্তা চেয়ে থানায় গণজিডি করবেন। হামলাকারীদের গ্রেফতার করা না হলে আজ বেলা ১১টা থেকে সদর থানা চত্বরে অবস্থান ধর্মঘট পালনের প্রাথমিক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব। গণজিডি ও অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচিতে অংশ নেয়ার জন্য শুক্রবার সকাল ১০টার মধ্যে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে উপস্থিত হওয়ার জন্য সকল সাংবাদিকের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা বিএডিসির লেবারদের মধ্যে বিরোধের জের ধরে স্থানীয় যুবলীগের দুটি অংশ পাল্টাপাল্টি অবস্থান নেয়। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই উত্তেজনা ছড়াতে থাকে। যুবলীগের একাংশ চুয়াডাঙ্গা পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেস্ট হাউসের সামনে সংগঠিত হতে থাকে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে উত্তেজনা তীব্রতর হয়ে ওঠে। বেলা ১টার দিকে সেখান থেকে বিভিন্ন প্রকারের ধারালো অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি কবরীরোড হয়ে শহীদ হাসান চত্বর থেকে কোর্টমোড়ের দিকে রওনা হয়। মিছিলকারীরা একের পর এক অটোরিকশা ভাঙচুর করে শহরে আতঙ্ক ছড়ান। প্রকাশ্যে মিছিলটি কোর্টমোড় হয়ে নগ্নহামলা চালায় প্রেসক্লাবে গিয়ে। এ সময় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন চলছিলো। হামলাকারীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রেসক্লাবের প্রধান ফটকের পাশের পার্টিশনের থাইকাঁচের দরজা ভাঙচুর করেন। মাছরাঙা চ্যানেলের চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি ফাইজার চৌধুরীর পেছনে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারেন। কোপে ল্যাপটপের ব্যাগ ও জামা কেটে যায়। অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান তিনি। পাশেই ছিলেন দি ডেইলি নিউনেশনের চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি মিজানুল হক মিজান। তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারলে তিনি হাত দিয়ে ঠেকান। হাত কেটে যায়। প্রাণ রক্ষার্থে আকুতি জানিয়েও যখন রক্ষা পাচ্ছিলেন না তখন দৈনিক জনকণ্ঠ ও চ্যানেল আই প্রতিনিধি রাজীব হাসান কচি চেয়ারের আড়ালে লোকান। তার ওপর কোপ মারলে কোপটি চেয়ারে লেগে তছনছ হয়ে যায়। চেয়ারের খণ্ডিত অংশে তিনি আহত হন। হামলায় দৈনিক যায়যায়দিন ও বৈশাখী টেলিভিশনের চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি মরিয়ম শেলীও আহত হন। উপস্থিত অন্য সাংবাদিকেরা পাশের ঘরে ঢুকে প্রাণে রক্ষা পেলেও প্রেসক্লাবের কমপক্ষে ৫০টি চেয়ার ভেঙে তছনছ করা হয়েছে। এছাড়া প্রেসক্লাবের সামনে রাখা এশিয়ান টিভি প্রতিনিধি আব্দুস সালামের মোটরসাইকেল, সাংবাদিক ফাইজার চৌধুরীর মোটরসাইকেল, সংবাদ সম্মেলনে যোগদানকারী হাসপাতালপাড়ার ব্যবসায়ী আক্তারুজ্জামান, জাফরপুরের খন্দকার সাইদুজ্জামানেরসহ মোট পাঁচজনের ৫টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। তাণ্ডব চালিয়ে হামলাকারীরা জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে ঘটনাস্থল ছেড়ে ওয়াপদায় ফেরেন।

প্রেসক্লাবে হামলার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ প্রতিবাদসভাসহ বিক্ষোভ মিছিল করে হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানান। হামলার খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইন, পুলিশ সুপার রশীদুল হাসান, সহকারী পুলিশ সুপার সালেহ উদ্দীন, চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সী আলমগীর হান্নান, ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক খুস্তার জামিলসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ প্রেসক্লাবে ছুটে যান। জেলা প্রশাসক প্রেসক্লাবের তছনছ অবস্থা দেখেন। তিনি হামলার বর্ণনা শুনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দেন। পুলিশ সুপার এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেফতারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, হামলাকারীরা যে দলের বা যারাই হোক তাদের কেউ রক্ষা পাবে না। পুলিশের দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ পেলে দায়ী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি। পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন প্রেসক্লাবের দৃশ্য দেখে বলেন, এ ধরনের হামলার নিন্দা জানানোর ভাষা আমার জানা নেই। হামলাকারীরা যে দলেরই হোক তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত। জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সী আলমগীর হান্নান জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আমরা লজ্জিত। আমরা ব্যথিত। এ ধরনের হামলার আড়ালে চক্রান্ত রয়েছে। যারা হামলা চালিয়েছে তাদের শনাক্ত করে অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। অপরদিকে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ তাৎক্ষণিক এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেন। প্রেসক্লাব সভাপতি মাহতাব উদ্দীনের সভাপতিত্বে প্রতিবাদসভাটি পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সরদার আল আমিন। বক্তব্য রাখেন- প্রবীণ সংবাদিক আজাদ মালিতা, হামলার শিকার সাংবাদিক ফাইজার চৌধুরী, রাজীব হাসান কচি, শাহ আলম সনি, শেখ সেলিম প্রমুখ। প্রতিবাদসভা শেষে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি জেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহীদ হাসান চত্বরে মিলিত হয়ে কলম-ক্যামেরা রাস্তায় রেখে মানববন্ধনের মাধ্যমে প্রতীকী প্রতিবাদ জানিয়ে হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানান। এ সময় কিছুক্ষণের জন্য শহীদ হাসান চত্বর স্থবির হয়ে পড়ে। সাধারণ মানুষ ঘটনার বর্ণনা শুনে হামলাকারীদের ছি ছি করতে থাকে। সন্ধ্যায় প্রেসক্লাবে সকল সাংবাদিক সমবেত হয়ে নতুন কর্মসূচি গ্রহণের লক্ষ্যে বিশদ আলোচনা করেন। প্রেসক্লাব সেক্রেটারি বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। অপরদিকে সদর থানা পুলিশ হামলার ফুটেজ ও ছবি দেখে হামলাকারীদের শনাক্ত করে গ্রেফতার অভিযানে নামে। গতরাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দুজনকে গ্রেফতার করেছে তারা। গ্রেফতারকৃতরা হলো- চুয়াডাঙ্গা জিনতলা মল্লিকপাড়ার আশরাফ আলীর ছেলে আজম ও একই পাড়ার আজিজুর রহমানের ছেলে আতিকুর রহমান রাব্বি। এরা দুজনই এজাহারনামীয় আসামি। রাব্বিকে তার বাড়ি থেকে ও আজমকে শহীদ হাসান চত্বর থেকে গ্রেফতার করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।

এদিকে সন্ধ্যার পর চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের প্রতিবাদসভায় উপস্থিত হন জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আরেফিন আলম রঞ্জু, যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান কবিরসহ কয়েকজন। আরেফিন আলম রঞ্জু বলেন, প্রেসক্লাবে হামলার সাথে জেলা যুবলীগের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। যারা হামলা চালিয়েছে তাদের উপযুক্ত শাস্তি আমরাও চাই। তিনিসহ জেলা যুবলীগের যুগ্মআহ্বায়ক স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলেছেন, বৃহস্পতিবার বেলা ১টার দিকে কিছু সংখ্যক উচ্ছৃঙ্খল বখাটে যুবক চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। এ হামলার জন্য জেলা যুবলীগ গভীরভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে। একই সাথে তীব্র নিন্দা প্রকাশ করছে।

যুবলীগের বিবৃতিতে বলা হয়, চুয়াডাঙ্গা বিএডিসি লেবার সর্দ্দার মোমিন দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসী কায়দায় বিএডিসির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জিম্মি করে ধান, গম, লোহাসহ বিভিন্ন মালামাল চুরি করে। মোমিন সাধারণ শ্রমিকদের ওপর বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে আসছে। গত কয়েকদিন আগে শ্রমিকদের একাংশ মোমিন গং-এর চোরাই মালামাল হাতেনাতে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে মোমিন গং বিভিন্ন অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে শান্তিপ্রিয় শ্রমিকদের নির্যাতন করে বিএডিসি থেকে বের করে দেয়। এ ক্ষোভের বহির্প্রকাশ হিসেবে চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন এলাকায় খণ্ড খণ্ড মিছিল বের করেন তারা। এ মিছিল থেকে প্রেসক্লাবে আনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। এর সাথে চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। যদি কোনো যুবলীগ সদস্য এ মিছিলে থাকে তাহলে সাংগঠনিকভাবে তার বা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। যারা এ ঘট্নার সাথে জড়িত আছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছে যুবলীগ। একই সাথে ঘটনার মূলনায়ক বিএডিসির মোমিন গং-এরও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে যুবলীগ।

বিএডিসির লেবারদের মধ্যে চোরাই মালামাল আটক নিয়ে সৃষ্ট বিরোধে যুবলীগ জড়িয়ে পড়লেও প্রেসক্লাবে হামলা কেন? জেলা শহরে সশস্ত্র মিছিল ও অটোরিকশা ভাঙচুর করে ত্রাস সৃষ্টির চিত্র প্রকাশ না করার হুমকি? নাকি চুয়াডাঙ্গায় যা ইচ্ছে তাই করলেও যাতে সাংবাদিকেরা লিখতে না পারে সেজন্যই হামলা? চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে গতকাল বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদসভার আয়োজন করা হয়। প্রকৃত হামলাকারীদের রাতের মধ্যে গ্রেফতার করা না হলে আজ সকাল ১১টা থেকে থানায় অবস্থান ধর্মঘট পালনের ঘোষণা দিয়েছে প্রেসক্লাব।

এদিকে এ হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মুহা. অহিদুল ইসলাম বিশ্বাস। তার স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে- ‘বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের ওপর আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীবাহিনী কর্তৃক হামলার তীব্র নিন্দা ও ঘৃণা জ্ঞাপন করছি। দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তা ও প্রশাসনের কর্মকর্তাগণকে অনুরোধ করছি’।

দর্শনা অফিস জানিয়েছে, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব ভাঙচুর ও সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে প্রতিবাদসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে দর্শনা প্রেসক্লাবে। প্রেসক্লাবের সভাপতি হানিফ মণ্ডলের সভাপতিত্বে সভায় হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবি তুলে আলোচনা করেন- প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক সমিতির সমন্বয়ক মনিরুজ্জামান ধীরু, প্রেসক্লাব সহসভাপতি কামরুজ্জামান যুদ্ধ, সাধারণ সম্পাদক ইকরামুল হক পিপুল, সহসম্পাদক নজরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহসান হাবীব মামুন, অর্থসম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, ক্রীড়া সম্পাদক রাজিব মল্লিক, এফএ আলমগীর প্রমুখ।

সরোজগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব ভাঙচুর ও সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত করায় সরোজগঞ্জ সাংবাদিক ইউনিটের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। অবিলম্বে ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।

দামুড়হুদা অফিস জানিয়েছে, প্রেসক্লাবে অস্ত্রধারীদের অবৈধ অনুপ্রবেশ করে ভাঙচুর, অতঃপর বলিষ্ঠ সাংবাদিকগণের রক্ত ঝরানো, সবশেষে সাংবাদিকদের ক্যামেরা ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করাকে অত্যন্ত ঘৃণিত ও বিবেকহীন মানুষদের কাজ বলে দামুড়হুদা উপজেলা সদরের জাতীয় পত্রিকায় কর্মরত সাংবাদিকেরা মনে করেন। অস্ত্রধারীদের প্রতি নিন্দা জ্ঞাপন করেন তারা। সেই সাথে জানান তীব্র প্রতিবাদ। আর দাবি করেন সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে হোক বিচার। বিবৃতিদাতারা হলেন- দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের মো. হাবিবুর রহমান, দেশ নিউজের আব্দুস সালাম, আমার দেশের মো. শাহাবুদ্দিন, মাইটিভি ও বর্তমানের শামসুজ্জোহা পলাশ, মানবজমিনের তাছির আহমেদ ও সমকালের বখতিয়ার হোসেন বকুল।

গাংনী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব ভাঙচুর ও সাংবাদিকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা ও হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে মেহেরপুর গাংনী প্রেসক্লাব। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে গাংনী প্রেসক্লাব সভাপতি হারুন-অর রশিদ রবি ও সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল হক মানিক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ওই নিন্দা জ্ঞাপন করা হয়।

প্রতিবাদে আরো জানানো হয়- পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিক ও প্রেসক্লাবে হামলার ঘটনা এতোটাই জঘন্য নিন্দনীয় যে, এর প্রতিবাদের ভাষাও সাংবাদিকদের জানা নেই। দ্রুততম সময়ে হামলাকারীদের গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। আহত সাংবাদিকদের প্রতি সমবেদনাও জ্ঞাপন করেন প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ।