ঝিনাইদহ শহরে বিদ্যুত ভেলকিবাজিতে গ্রাহকদের দুর্ভোগ

 

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ শহরে বিদ্যুতের ভেলকিবাজিতে গ্রাহকরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। কারিগরি ত্রুটি দেখিয়ে প্রতিদিন ঘোষণা ছাড়াই বিদ্যুত বন্ধ করে দেয়া হয়। এতে স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। এদিকে বিদ্যুত সরবরাহের দাবিতে প্রতিনিয়ত ওয়েস্ট জোন পাউয়ার ডিস্ট্রিবিউশনের (ওজোপাডিকো) ঝিনাইদহ অফিস ঘেরাও করা হচ্ছে। পবহাটি গ্রামে তিনদিন ধরে বিদ্যুত বন্ধ থাকার কারণে গত শুক্রবার রাতে শতাধিক গ্রাহক ঝিনাইদহ অফিস ঘেরাও করে। এর আগে সদর উপজেলার ধানহাড়িয়া ও উদয়পুর গ্রামের কয়েকশ গ্রাহক অফিস ঘেরাও করে নির্বাহী প্রকৌশলীর অফিস তছনছ করে। গ্রাহকরা অভিযোগ করেছেন, নিয়মিত লাইনের কাজ না করার কারণে প্রায় বিদ্যুত বিভ্রাট দেখা দিচ্ছে। ওভারলোডের কারণে ট্রান্সফরমার বিকল হচ্ছে। বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে পড়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইন বন্ধ থাকছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শহরের অনুমোদনবিহীন একাধিক ইজিবাইক চার্জার কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। এসব অবৈধ চার্জার কেন্দ্র থেকে মাসোয়ারা আদায় করা হয়। ঝিনাইদহ শহরের প্রিয়া সিনেমা হল ও প্রেসক্লাবের পশ্চিম দিকে দুটি ইজিবাইক চার্জার কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। সন্ধ্যারাতে এসব কেন্দ্রের মিটার কারসাজি করা হয়। ইজিবাইক চার্জার কেন্দ্রে এলাকায় লো-ভোল্টেজ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। ঘরবাড়িতে সন্ধ্যার পর কোনো লাইট জ্বলে না। বিষয়টি শহরের দায়িত্বে থাকা সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল আওয়ালকে জানানো হলেও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেন না বলে অভিযোগ।

এদিকে বিদ্যুত গ্রিডের নির্বাহী প্রকৌশলী আনিসুর রহমান জানান, প্রতিদিন যে চাহিদা তার প্রায় সব আমরা পাচ্ছি। মাঝে মধ্যে কম বেশি হচ্ছে। তিনি জানান, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কারিগরি ত্রুটির কারণে বিদ্যুত বন্ধ হচ্ছে, তেমন কোনো লোডশেডিং নেই। গ্রিডসূত্রে জানা গেছে, জেলায় প্রতিদিন বিদ্যুত চাহিদা রয়েছে ৬০ মেগাওয়াট। পাওয়া যায় ৪৫ থেকে ৫০ মেগাওয়াট। এর মধ্যে ওজোপাডিকো ২৩ মেগাওয়াট ও পল্লী বিদ্যুত সমিতি ২৭ মেগাওয়াট পেয়ে থাকে। তবে গ্রামে সন্ধ্যার পর বিদ্যুতের চাহিদা কমে এলেও শহরে সারারাতই চাহিদা থাকে।