স্বেচ্ছায় মাদকসেবন ও ব্যবসা ছেড়ে দিলেন মেহেরপুরের ইছাখালীর বকুল

আমার অপরাধে আমার স্ত্রীকে অপরাধী হতে হবে এটা মেনে নেয়া যায় না

 

মেহেরপুর অফিস: ‘আমার অপরাধে আমার স্ত্রীকে অপরাধী হতে হবে। এটা মেনে নেয়া যায় না। মাদকব্যবসার মাধ্যমে অবৈধ আয়ের সিংহভাগ টাকা যদি আইন আদালত করতে খরচ করতে হয়, তবে সে ব্যবসার দরকার আছে বলে আমি মনে করি না। আমার ব্যবসাটাও অবৈধ এবং যুব সমাজের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তাই আমি এ ব্যবসা আর করবো না।’ কথাগুলো বললেন, মেহেরপুর সদর উপজেলার বুড়িপোতা ইউনিয়নের ইছাখালী গ্রামের মৃত আতর আলীর ছেলে বকুল হোসেন (৩৫)।

ভারত সীমান্তবর্তী গ্রাম সদর উপজেলার ইছাখালীর বকুল হোসেন ছিলেন একজন চিহ্নিত মাদকব্যবসায়ী। বিগত ৬/৭ বছর ধরে তিনি মাদকব্যবসাসহ মাদকসেবন করে আসছিলেন। এটা খারাপ যেনে তিনি প্রায় ১৫ দিন আগে মাদকসেবন ও ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছেন। গতকাল শুক্রবার দুপুরের দিকে তিনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জনগণের উপস্থিতিতে শপথ নেন তিনি আর কখনও এ অবৈধ মাদকব্যবসা করবেন না এবং মাদকসেবন করবেন না। মাদক ছাড়তে উদ্বুদ্ধ করবেন সমাজের আরো পাঁচজনকে।

নিজ গ্রাম ইছাখালীর মধ্যপাড়ায় শতাধিক লোকের উপস্থিতিতে দু হাত উঁচু করে বকুল হোসেন মাদক বিক্রি ও সেবন করবেন না বলে অঙ্গীকার করেন। এ সময় উপস্থিত সকলে হাতে তালি দিয়ে তাকে প্রত্যয়কে সমর্থন করেন। তিনি বলেন, মাদক বিক্রি করতে গিয়ে আমাকে সমাজে হেয় হতে হয়েছে। এদিক থেকে যা রোজগার হয় তা থানা পুলিশ ও আইন আদালত করতে ফুরিয়ে যায়। নিজের জন্য কিছুই থাকে না। আমি অপরাধ করেছি। এতে শাস্তি পাচ্ছে আমার স্ত্রী নারছিনা খাতুন ওরফে টলে। পুলিশ আমাকে না পেয়ে আমার স্ত্রীকে আটক করে নিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে সে জামিনে মুক্তি পেয়েছে।

এ সময় সেখানে বুড়িপোতা ইউপির ১নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য আব্দুল লতিফ মাদকব্যবসায়ী বকুল সম্পর্কে বলেন, সে ৬/৭ বছর ধরে মাদকব্যবসা করে আসছিলো। একাধিকবার জেল জরিমানা দিয়েছে। সে এলাকার জন্য ক্ষতিকারক ব্যক্তি ছিলো। বর্তমানে সে স্বেচ্ছায় মাদকব্যবসা ও সেবন ত্যাগ করায় আমি তাকে সাধুবাদ জানাই। মাদকব্যবসা ছাড়ার অঙ্গীকার করে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার অঙ্গীকার করায় এ সময় সেখানে উপস্থিত সকলে তাকে ধন্যবাদ জানান।