জাহাঙ্গীরনগর ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যায়ের বিজ্ঞান অনুষদেও রংধনুর শিক্ষার্থীদের কৃতিত্বের স্বাক্ষর

 

স্টাফ রিপোর্টার: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান অনুষদে ভর্তিযুদ্ধে চুয়াডাঙ্গার রংধুনর শিক্ষার্থীদের সফলতার পাশাপাশি জাহাঙ্গীরনগর ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদে ভর্তিযুদ্ধেও কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃতিত্ব দেখিয়েছে ১৯ জন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬ জন ও মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিঙে দুজন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৩ জনের অনন্য উদাহরণ তো রয়েছেই। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তিযুদ্ধে এবার অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে চুয়াডাঙ্গার শিক্ষার মান বৃদ্ধিরই স্বাক্ষর রেখেছে শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে রংধনুর পরিচালক আব্দুস সালাম (সালাম স্যার) বলেছেন, আমার ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত রংধনুর শিক্ষাদান পদ্ধতি নিয়ে একটি মহল বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এ প্রসঙ্গে বলতে চাই- রংধনুর শিক্ষাদান পদ্ধতি পরীক্ষিত না হলে দিন দিন শিক্ষার্থীরা জাতীয় পর্যায়ে ভালো ফলাফল করছে কীভাবে? সে কারণে অভিভাবকদের বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে যারা অপপ্রচার চালান তাদেরকে পরশ্রীকাতরতা পরিহারের আহ্বান জানাচ্ছি। আমি চুয়াডাঙ্গার শিক্ষার মান বৃদ্ধিতে সর্বস্তরের সচেতনমহলের সহযোগিতা প্রত্যাশী।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় বিজ্ঞান অনুষদ এ ইউনিট থেকে ৪৪০ আসনের বিপরীতে যারা কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছে তারা হলো- চুয়াডাঙ্গা কেদারগঞ্জপাড়ার হারুন-অর-রশীদের ছেলে আব্দুল্লাহ-আল-মাহবুব (মেধা তালিকা ১৮৯তম), ঈদগাপাড়ার হাফিজুর রহমানের ছেলে ইমরান কবীর রোমেল (মেধা তালিকা ২৭১তম), মুক্তিপাড়ার সাইদুর রহমানের মেয়ে সুমাইয়া রহমান (৩৪৭তম), হাসপাতালপাড়ার মোয়াজ্জেম হোসেনের ছেলে মুন্তাসির মুনেম প্রান্ত (৪৪৯তম) ও বড়বাজারপাড়া আব্দুর রহিমের মেয়ে ফারহানা আফরিন লাম (৪৯২তম)। সুমাইয়া ডি ও এইচ এবং লাম এইচ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষাতেও কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছে।

জীববিজ্ঞান অনুষদ ডি ইউনিট থেকে ৩৪৫ আসনের বিপরীতে যারা কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছে তারা হলো- চুয়াডাঙ্গা সিঅ্যান্ডবিপাড়ার সিরাজুল ইসলামের মেয়ে ফাতেমা জান্নাত কেয়া (৩৫৪তম), হাসপাতাল সড়কের মাহবুবুর রহমানের মেয়ে সাদিয়া জান্নাত মিষ্টি (৪৭০তম) ও সিনেমাহলপাড়ার বিশ্বনাথ কর্মকারের মেয়ে অদিতি কর্মকার (৫৯৭তম)। কেয়া এইচ ইউনিটেও কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছে।

তথ্যপ্রযুক্তি অনুষদ এইচ ইউনিট থেকে ৫০ আসনের বিপরীতে যারা কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছে তারা হলো- চুয়াডাঙ্গা শেখপাড়ার মামুদ একরাম জোয়ার্দ্দারের মেয়ে যারীন তাসনিম মৌ (৪৬তম) ও সিনেমাহলপাড়ার আতিকুর রহমান আতিকের মেয়ে আইরিন রহমান আভা (৭৬তম)। বিবিএ অনুষদ ই ইউনিট থেকে মুক্তিরপাড়ার রমজান আলীর ছেলে এহসান ইমাম নাঈম সবুজ (৪৬তম) সরাসরি মেধা তালিকায় ভর্তি যোগ্যতা অর্জন করেছে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভর্তি পরীক্ষায় এ ইউনিট থেকে ৮১০ আসনের বিপরীতে যারা কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছে তারা হলো- চুয়াডাঙ্গা কলেজপাড়ার রুহুল আমীনের ছেলে তানভীর মুকীত (৪২৩তম), আলমডাঙ্গা কুলপালার আবুল কাশেমের ছেলে হুমায়ুন কবীর শামিম (৭৭২তম), চুয়াডাঙ্গা বেলগাছির আবু কাউছার বিশ্বাসের ছেলে সায়হাম বিশ্বাস (৮৯২তম), আলমডাঙ্গার সোনাতনপুরের শহিদুল ইসলামের ছেলে সানাউল্লাহ আশিক (১১০৩তম) ও চুয়াডাঙ্গা বেলগাছির আবু তালেব জোয়ার্দ্দার তালুর ছেলে কারিমুল জোয়ার্দ্দার (১৪৭৫তম)। ডি ইউনিট থেকে গুলশানপাড়ার মিজানুল হকের ছেলে আরাফাতুল হক প্রান্ত (৫২৪তম) যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখেছে। তানভীর ও আশিক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও এ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছে। চট্টগ্রাম মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিঙে ভর্তি পরীক্ষায় আশিক ও সিনেমাহলপাড়ার ইমাম হোসেনের ছেলে আজিমুল ইসলাম আজিম কৃতিত্ব দেখিয়েছে। এছাড়াও যারা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় সুবিধাজনক অবস্থায় থেকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হয়েছে তারা হলো- ঈদগাপাড়ার সাদিয়া আক্তার তিলা, রেলস্টেশনপাড়ার রাশমিন ফারদিন সূচনা, কোর্টপাড়ার ফাতেমা তুজ জহরা মিম, গুলশান পাড়ার সুমাইয়া তাসমিন, সিনেমাহলপাড়ার জেসমিন নাহার জুঁই ও ফার্মপাড়ার নূরে সানজানা জান্নাত মিম।

উল্লেখ্য, শুধুমাত্র মাহবুব ও রোমেল রংধনুতে অষ্টম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছে। বাকি সকলেই অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছে।