হংকংয়ের জালে আর্জেন্টিনার গোল উৎসব

মাথাভাঙ্গা মনিটর: চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের কাছে হারের ধাক্কা সামলে দুর্বল হংকংকে উড়িয়ে দিয়েছে আর্জেন্টিনা। এশিয়া সফরের শেষ এ প্রীতি ম্যাচে ৭-০ গোলে জিতেছে কোচ জেরার্দো মার্তিনোর দল। গতকাল মঙ্গলবার হংকং স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনার প্রথম একাদশে ছিলেন না সবচেয়ে বড় তারকা লিওনেল মেসি। তবে বদলি হিসেবে নেমেই জোড়া গোল করেন তিনি। দুটি করে গোল করেন গনসালো হিগুয়াইন ও নিকোলাস গাইতান। অপর গোলটি এভের বানেগার। ফিফা ৱ্যাঙ্কিঙের ১৬৪তম স্থানে থাকা দল হংকিঙের মাঠে গোল পেতে আর্জেন্টিনার অপেক্ষা করতে হয় ১৯ মিনিট পর্যন্ত। আর্জেন্টিনার একটি আক্রমণ গোলরক্ষক ঠেকিয়ে দিলেও ডি বক্সের মধ্যে তা পুরোপুরি বিপদমুক্ত করতে ব্যর্থ হন ডিফেন্ডার লি। বল পেয়ে জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ করেন বানেগা। প্রথমার্ধের নির্ধারিত সময় শেষের তিন মিনিট আগে ডিফেন্ডার লিওনেল ভানগিওনির ক্রস থেকে দারুণ হেডে লক্ষ্যভেদ করেন হিগুয়াইন। এর দু মিনিট পরেই গাইতানের দারুণ এক শটে ব্যবধান ৩-০ করে আর্জেন্টিনা। ডি বক্সের মধ্যে বল পেয়ে প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়কে কাটিয়ে বাঁ পায়ের জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ করেন বেনফিকার এ মিডফিল্ডার। ম্যাচের ৫৪তম মিনিটে দলের চতুর্থ গোলটি করেন নাপোলির খেলোয়াড় হিগুয়াইন। মাঝ মাঠের কাছ থেকে বানেগার দেয়া লম্বা পাস পেয়ে দ্রুত গতিতে ডি বক্সের মধ্যে ঢুকে গাইতান বল বাড়ান হিগুয়াইনকে। ওখান থেকে অনায়াসে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন হিগুয়াইন। অবশেষে ৬০তম মিনিটে হাভিয়ের পাস্তোরের বদলে মাঠে নামেন মেসি। মাঠে নামার ছয় মিনিটের মাথায় গোল করেন বার্সেলোনার এই তারকা। প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের বাধা এড়িয়ে বানেগাকে পাস দিয়ে ক্ষীপ্র গতিতে ডি বক্সের মধ্যে ঢুকে পড়েছিলেন মেসি। বানেগাও দ্রুত গতিতে মেসিকে ফিরতি পাস দিতে ভুল করেননি। বিপদ বুঝতে পেরে এগিয়ে এসেছিলেন স্বাগতিক গোলরক্ষক কিন্তু মেসির শট ঠেকাতে পারেননি তিনি। ৭২তম মিনিটে আবারো গোল। নিজের দ্বিতীয় গোল করে ব্যবধান ৬-০ করেন গাইতান। ডি বক্সের ডান দিক থেকে হিগুয়াইনের সাথে বল দেয়া নেয়া করে গোলমুখে ছুটে আসা গাইতানকে পাস দেন মেসি। ওখান থেকে বল জালে পাঠাতে আলতো একটা টোকার দরকার ছিলো, ব্যর্থ হননি গাইতান। ৭৬তম মিনিটে ব্যবধান কমানোর ভালো একটা সুযোগ পেলেও তা কাজে লাগতে পারেনি হংকং। ৮৫তম মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন মেসি। ডি বক্সের মধ্যে আড়াআড়িভাবে বাঁ দিকে দৌড়ে তিন জন খেলোয়াড়কে এড়িয়ে, দুই জনের মধ্যে দিয়ে বল জালে পাঠান টানা চারবারের বর্ষসেরা মেসি। নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে হ্যাটট্রিকও হতে পারতো মেসির। কিন্তু গোলমুখে ঠিকমতো শট নিতে পারেননি তিনি।