দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গায় নিরাময় ক্লিনিকের সেবিকা হুসনেয়ারাকে অমানুষিক নির্যাতন

 

ভ্রাম্যমাণ/কার্পাসডাঙ্গা প্রতিনিধি: স্ত্রী-সন্তান রেখে স্কুলশিক্ষক ক্লিনিকের সেবিকা এক সন্তানের জননীকে গোপনে বিয়ে করেছেন। বিয়ের কথা স্কুলশিক্ষকের স্ত্রী-সন্তানেরা জানতে পেরে ওই ক্লিনিকে গিয়ে সেবিকাকে বেধড়ক মারপিট করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল সোমবার দামুড়হুদা কার্পাসডাঙ্গা বাজারে নিরাময় ক্লিনিকে।

জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার কাঞ্চনতলা গ্রামের মিজানুর রহমানের স্ত্রী কার্পাসডাঙ্গা নিরাময় ক্লিনিকের সেবিকা এক সন্তানের জননী হুসনেয়ারা বেগমের (৩৫) সাথে কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের ওসমানপুর (বেদেপোতা) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তিন সন্তানের জনক ইদ্রিস আলী (৫০) বিয়ে করেছেন। শিক্ষক ইদ্রিস আলীর স্ত্রী রশিদা জানতে পেরে ছেলে আব্দুল্লাহ (২৫) ও মেয়ে মিতা খাতুনকে (৩০) সাথে নিয়ে গতকাল সোমবার সকাল ৯টার দিকে কার্পাসডাঙ্গা বাজারের নিরাময় ক্লিনিকে গিয়ে হুসনেয়ারাকে খুঁজতে থাকেন। তিনি ওয়ার্ডে কর্মরত থাকা অবস্থায় তারা ৩ জন চুলের মুঠি চেপে ধরে মেঝের ওপর ফেলে লাঠিপেটা কিলঘুষি মেরে রক্তাক্ত জখম করেন। হুসনেয়ারার অভিযোগ, এ সময় তার গলায় থাকা সোনার চেন, কানের দুল ও মোবাইলফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায় তারা। ক্লিনিক মালিক বিল্লাল হোসেন জানান, আমাদের কিছু না বলে ওই ৩ জন ক্লিনিকে প্রবেশ করে হুসনেয়ারকে মারপিট করেন।

এদিকে হুসনেয়ারা বেগম বলেন, আমি স্কুলশিক্ষক ইদ্রিস আলীকে চাচা বলে ডাকি। তার সাথে বিয়ে করার প্রশ্নই ওঠে না। এ ঘটনায় নিরাময় ক্লিনিক মালিক বিল্লাল হোসেন দামুড়হুদা মডেল থানায় স্কুলশিক্ষক ইদ্রিস আলীসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন।

Leave a comment