সারাদেশে বিক্ষোভ যশোরে গুলি : হরতালসহ কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

লতিফ সিদ্দিকীকে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ : সাত মামলা : ঢাকা ও চট্টগ্রামে সমন জারি

স্টাফ রিপোর্টার: ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে গ্রেফতার ও তার ফাঁসির দাবিতে উত্তাল সারাদেশ। গতকাল বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুর, ঝিনাইদহসহ সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। যশোরের আয়োজনে পুলিশ গুলিবর্ষণ করেছে। ঝিনাইদহ ও মেহেরপুরে পুলিশি বাধার মুখে পড়েছে বিক্ষোভ। বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে লতিফ সিদ্দিকীকে গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবি করা হয়েছে।

১৫ অক্টোবরের মধ্যে তাকে গ্রেফতার না করলে ২৬ অক্টোবর সারাদেশে হরতালের ডাক দিয়েছে সম্মিলিত ইসলামী দল। গ্রেফতার না করলে ঈদের পর কর্মসূচি দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ২০ দলীয় জোট। এদিকে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশালে লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে সাতটি মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রামে তার বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন আদালত। লতিফ সিদ্দিকীকে গ্রেফতার দাবিতে আজ ঢাকায় এবং আগামীকাল সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে হেফাজতে ইসলাম। অপরদিকে আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, লতিফ সিদ্দিকীকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মেক্সিকোতে মন্ত্রী হিসেবে তার একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার কথা ছিলো। তিনি এতে অংশ নেননি। এতে প্রমাণ হয় তার অব্যাহতি কার্যকর হয়েছে। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। গতকাল বুধবার বিকেল ৫টার দিকে চুয়াডাঙ্গা শহীদ হাসান চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় হাসান চত্বরে এসে প্রতিবাদ সমাবেশ করে। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের জেলা সভাপতি প্রভাষক আবুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক ডা. জিনারুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মু. ইমরান সরকার, অর্থসম্পাদক মাও. সাইফুল ইসলাম প্রমুখ। বক্তারা বলেন, অবিলম্বে লতিফ সিদ্দিকীকে গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করতে হবে। যদি সরকার তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয় তাহলে সারাদেশের জনগণ নাস্তিকবিরোধী আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামা দল চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার যুগ্মআহ্বায়ক হাফেজ মাহবুবুল আলম স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, পবিত্র হজ ও তাবলিগ জামাত সম্পর্কে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর বিতর্কিত বক্ত্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলা ওলামাদলের নেতৃবৃন্দ। তিনি বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেন, লতিফ সিদ্দিকী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ), পবিত্র হজ, পবিত্র মক্কা শরিফ ও তাবলিগ জামাত সম্পর্কে যে অসম্মানজনক বক্তব্য রেখেছেন তা বাংলাদেশসহ সকল মুসলিম বিশ্বের ধর্মীয় আবেগে চরম আঘাত হেনেছে। শুধু বিশ্বের মুসলমানরায় নয় এমনকি অন্য ধর্মের চিন্তাশীল মানুষেরাও শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)কে শ্রেষ্ঠ মানব হিসেবে অবিহিত করেছেন। অথচ মুসলমান নামধারী বর্তমান অবধ্য সরকারের মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী নবীজী সম্পর্কে যে অপমানজনক কথা বলেছেন তা কেবল চরমসীমা লঙ্ঘনকারীই করতে পারে। তারা অবিলম্বে লতিফ সিদ্দিকীকে গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান জানান।

মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, ডাক ও টেলি যোগাযোগ মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর দেয়া বক্তব্যে হজ ও তাবলীগ জামায়াতকে নিয়ে কটূক্তি করার প্রতিবাদে ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন মেহেরপুর জেলা শাখার অনুষ্ঠিতব্য মিছিল পুলিশ পণ্ড করে দিয়েছে।

ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন মেহেরপুর জেলা শাখার পক্ষ থেকে গতকাল বুধবার বিকেল ৫টার দিকে মেহেরপুর হোটেল বাজার জামে মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে একটি মিছিল বের করার চেষ্টা করে। মিছিল করার পুলিশি অনুমতি না থাকায় পুলিশ তা পণ্ড করে দেয়। এ সময় মিছিলকারীরা রাস্তার ওপরেই বসে পড়ে সমাবেশ করে। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের জেলা সভাপতি আব্দুল কাদের, সাধারণ সম্পাদক মুফতি আবুল কালাম কাছেমী, সাংগঠনিক সম্পাদক রেদওয়ানুল করিম প্রমুখ। এ সময় বক্তারা বলেন, যে দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ মুসলমান; সে দেশে এ ধরনের মুরতাদ কাফেরের নেতৃত্ব চলতে পারে না।

গাংনী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর ফাঁসি দাবি করেছে মেহেরপুর জেলা বিএনপি। মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার প্রতিবাদে গতকাল বুধবার সকালে গাংনী উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে উপজেলা বিএনপি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন জেলা বিএনপি সভাপতি মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আমজাদ হোসেন।

তিনি বক্তব্যে আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর দেয়া বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশে শতকরা ৯৫ ভাগ মুসলমানের বসবাস। ধর্ম নিরপেক্ষ এদেশের মানুষ সম্প্রীতির সাথে ধর্ম পালন করে। তাই ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত কোনোভাবেই এদেশের মুসলমানরা মেনে নেবেন না। বর্তমান সরকারের ইশারায় তিনি ওই বক্তব্য দিয়েছেন উল্লেখ করে আমজাদ হোসেন আরো বলেন, এর প্রতিবাদে যখন দাঁড়িওয়ালা টুপিওয়ালা ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা রাস্তায় নামবে তখন সরকার বিশ্বের দরবারে দেখাবে জঙ্গিরা রাস্তায় নেমেছে।

তিনি বলেন, দাবি বাস্তবায়ন না হলে ধর্মপ্রাণ সকল মুসলমানদের নিয়ে রাজপথের আন্দোলনের মধ্যদিয়ে লতিফ সিদ্দিকীর বিচার করা হবে। শান্তি রক্ষা ও নির্ঘিঘ্নে ধর্ম পালনে অনতিবিলম্বে আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীকে মন্ত্রিসভায় থেকে বহিষ্কার ও গ্রেফতারপূর্বক ফাঁসির দাবি জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপি সহসভাপতি আব্দুর রাজ্জাক। উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক গাংনী উপজেলা চেয়ারম্যান মোরাদ আলী, গাংনী পৌর বিএনপি সভাপতি ইনসারুল হক ইন্সু, উপজেলা যুবদলের সভাপতি আক্তারুজ্জামান, সম্পাদক সাজেদুল ইসলাম বুলবুল, পৌর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আক্তারুজ্জামান মাস্টার, উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দাল হক, পৌর ২নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি সুরেলী আলভী ও উপজেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি কামরুল ইসলামসহ নেতৃবৃন্দ।

এদিকে মহানবী (স.) এবং হজ নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করার প্রতিবাদে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে যশোরে আয়োজিত ২০ দলীয় জোটের মানববন্ধনে গুলি চালিয়েছে পুলিশ। গতকাল বুধবার বিকেল ৪টার দিকে জেলার প্রেসক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

যশোরে পুলিশের এলোপাতাড়ি গুলিতে যুবদল, মহিলা দলনেত্রী, পুলিশ কনস্টেবলসহ চারজন আহত হয়েছেন। এ সময় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে চার সাংবাদিকসহ অন্তত ৩০ জন আহত হন। পুলিশ ভাঙচুর করে ৭১ টিভির ক্যামেরা। ঘটনার সময় পুলিশ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকসহ ২০জনকে আটক করেছে।

আহত গুলিবিদ্ধরা হলেন, যশোর পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড মহিলা দলের সভাপতি সোনালী বেগম, পুলিশ কনস্টেবল মতিউর রহমান, উপশহর সি ব্লক এলাকার যুবদলকর্মী কামাল হোসেন ও পুলেরহাট এলাকার রঞ্জু নামে এক যুবক। পুলিশের লাঠিচার্জে আহত সাংবাদিকরা হলেন প্রেসক্লাব যশোরের সহসভাপতি এসএম হাবিবুল্লাহ হাবিব, ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের যশোর করসপনডেন্ট এসএম সোহেল, চ্যানেল আইয়ের যশোর প্রতিনিধি আকরামুজ্জামান ও ৭১ টিভির যশোর প্রতিনিধি এসএম ফরহাদ।

এছাড়াও আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২০/২৫ জন। শহরের মুজিব সড়কে প্রেসক্লাবের সামনে বুধবার বিকেল ৪টার দিকে ২০ দলীয় জোট কর্মসূচি পালন করতে এলে এ ঘটনা ঘটে। ডাক ও টেলিযোগমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী মহানবী (স.) ও ইসলাম ধর্ম সম্বন্ধে কটূক্তি করায় তার শাস্তির দাবিতে জেলা ২০ দলীয় জোট মানববন্ধন কর্মসূচি ডেকেছিলো। পুলিশি অ্যাকশনে কর্মসূচি পণ্ড হয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিক ও পথচারীরা জানান, বিকেল ৪টার ঠিক আগ দিয়ে ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা মুজিব সড়কে প্রেসক্লাবের গেটের সামনে আসতে থাকেন। ৪টার আগেই পুলিশ রাস্তা থেকে ধাওয়া করে প্রেসক্লাবের ভেতর থেকে ধরে ভ্যানে ওঠায় জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের কর্মী সাব্বির হোসেন ও ঘোপ সেন্ট্রাল রোড জামে মসজিদের মোয়াজ্জিন সাব্বির হোসেন। এর অল্প সময় পর রাস্তা থেকে আটক করা হয় ওলামা দলের সদস্য সচিব মোশাররফ হোসেনকে। এ সময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, নগর সাধারণ সম্পাদক মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চুসহ ২০ দলের নেতারা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তারা ওলামা দল নেতাকর্মীদের আটকের প্রতিবাদ করেন। উপস্থিত সাংবাদিক নেতারাও ক্লাব চত্বর থেকে মানুষকে আটক করার প্রতিবাদ জানান। এ সময় কোতোয়ালি থানার ওসি ইনামুল হকের সাথে রাজনীতিক ও সাংবাদিকদের বাদানুবাদ হয়।

এ পরিস্থিতিতে পূর্বনির্ধারিত মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের ব্যাপারে বিএনপি নেতারা দৃঢ় থাকেন। পুলিশও যেকোনো মূল্যে কর্মসূচি ঠেকিয়ে দিতে তৎপর হন। একপর্যায়ে শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ২০ দলের কয়েকশনেতাকর্মী প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হন। ২০ দলের নেতাকর্মীরা পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে মানববন্ধনে দাঁড়িয়ে যান। এ সময় পুলিশ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ ও ব্যবসায়ী মাসুম হোসেনসহ অন্তত ১৫ জনকে আটক করে।

শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনে লাঠিচার্জ ও নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে ২০ দলীয় জোটের নেতা কর্মীরা রাস্তার ওপর বসে পড়লে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। পরে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ ও অন্তত ২০ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় সাংবাদিকসহ অন্তত ৩০ জন আহত হন। পুলিশের এলোপাতাড়ি গুলির কারণে এলাকা ফাঁকা হয়ে গেলে রাস্তায় থাকা বিএনপি নেতাকর্মীদের পুলিশ ধাওয়া করে। পরে মুজিব সড়কের পাশে খন্দকার ট্রেডার্সে ঢুকে পুলিশ কাছ থেকে কামাল নামে এক যুবকের বুকে গুলি করে। আহত কামাল উপশহর সি ব্লকের বাসিন্দা। তিনি দোকানের পাশে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। এদের মধ্যে কামাল নামে এক বিএনপি কর্মীর অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে। জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন দাবি করেন, গুলিবিদ্ধ কামাল জাতীয়তাবাদী যুবদলকর্মী। ঘটনার সময় পুলিশের এলোপাতাড়ি গুলিতে কনস্টেবল মতিউর রহমান আহত হন। তার বা হাতে গুলি লাগে। এছাড়া রঞ্জু ও সোনালি নামে যুবদল ও মহিলা দলের দু নেতাকর্মীও গুলিবিদ্ধ হন। আহত চারজনকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কামাল ছাড়াও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন অন্তত ৮ জন। এছাড়াও আহত হয়েছেন আরো ২০/২৫ জন। আটককৃতদের মধ্যে দুজনকে ডিবি পুলিশ হেফাজতে নেয়া রাখার খবর মিলেছে। বাকিদের সম্পর্কে পুলিশ পরিষ্কার করে কিছু বলছে না।