বিপুল ভোটে সালাউদ্দিন মিয়া প্যানেলের জয়লাভ
ভালাইপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার কলাবাড়ি রামনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির দ্বিবার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সালাউদ্দিন মিয়া সমর্থিত প্যানেল ও হাসানুজ্জামান সজীব প্যানেল এবং আবুল কালাম স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। নির্বাচনে সালাউদ্দিন মিয়া প্যানেল ২ হাজার ২১৮ ভোট ও হাসানুজ্জামান সজীব প্যানেল ২৪৫ ভোট এবং আবুল কালাম স্বতন্ত্রপ্রার্থী ১৩৮ ভোট পায়। বেশি পেয়ে বেসরকারিভাবে সালাউদ্দিন মিয়া প্যানেল জয়লাভ করে।
জানা গেছে, ম্যানেজিং কমিটির দ্বিবার্ষিক নির্বাচন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। ভোটগ্রহণকালে কোনো ধরনের অরাজকতা ছাড়ায় নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে সালাউদ্দিন মিয়া প্যানেলের রাহেন উদ্দিন মই মার্কা নিয়ে পেয়েছেন ৫৭৭ ভোট, মহিউদ্দিন ময়েন চেয়ার মার্কা নিয়ে পেয়েছেন ৫৭১ ভোট, মফিজুর রহমান সুজন ফুটবল মার্কা নিযে পেয়েছেন ৫৬৮ ভোট ও ফরিদুল ইসলাম আনারস মার্কা নিয়ে পেয়েছেন ৫০২ ভোট। নির্বাচনে হাসানুজ্জান সজীব প্যানেলের ইয়াছিন মোরগ মার্কা নিয়ে পেয়েছেন ২৮ ভোট, হাসানুজ্জামান সজীব হাতপাখা মার্কা নিয়ে পেয়েছেন ১০৫ ভোট, গোলজার হোসেন দেয়াল ঘড়ি মার্কা নিয়ে পেয়েছেন ৬৮ ভোট ও ওমর ফারুক দোয়াত কলম মার্কা নিয়ে পেয়েছেন ৪৪ ভোট এবং স্বতন্ত্রপ্রার্থী আবুল কালাম ছাতা মার্কা নিয়ে পেয়েছেন ১৩৮ ভোট। শিক্ষক সদস্য হিসেবে ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও মিজানুর রহমান ৯ ভোট ও সহিদুল ইসলাম ৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনে প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ কুমার শাহা, সহকারী পিসাইডিং অফিসার ছিলেন মুক্তারপুর নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বখতিয়ার রহমান ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের হিসাবরক্ষক আক্তারুজ্জামান। পোলিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারী রফিকুল ইসলাম, মকলেছুর রহমান ও তালসারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সহিদুল ইসলাম।
এদিকে ভোট গণনাপর্বে উভয় প্যানেলের প্রার্থীরা আলোচনা করে গণনায় কেউ যেন কারচুপি করতে না পারে সেই লক্ষ্যে দৈনিক মাথাভাঙ্গার সাংবাদিককে গণনা স্থানে থাকার পরামর্শ দেন। কিন্তু নির্বাচনে প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ পাওয়া দামুড়হুদা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ কুমার শাহা সাংবাদিকের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন এবং প্রশাসনিক হুমকি দেন। বিষয়টি জানাজানি হলে উভয় প্যানেলের নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ করলে তাদের সাথেও বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন বিকাশ কুমার শাহ। বিষয়টি জেলা মাধ্যমিক অফিসার খতিয়ে দেখবেন বলে অভিযোগ করেছেন।
পরে ঢাকঢোল পিটিয়ে জাকজমকপূর্ণ নির্বাচন স্থানে উপস্থিত থেকে নির্বাচনী মাঠ মাতিয়ে রাখেন জুড়ানপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী, আলামিন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সাইফুল মিয়া, দুবাই প্রবাসী ও দুবাই স্টারের স্বত্বাধিকারী মামুন মিয়া, আলমগীর হোসেন, মজিবার রহমান, হাবিবুর রহমান, আলামিন, আব্দুর রহিম, সেলিম হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, আজিজুল হক প্রমুখ।