কারাগারে ঢুকেই অসুস্থ জয়ললিতা

মাথাভাঙ্গা মনিটর: হিসাব বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় তামিলনাডুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতাকে ৪ বছরের কারাদণ্ড ও ১০০ কোটি টাকা জরিমানা করেছেন বেঙ্গালুরুর একটি বিশেষ আদালত। দীর্ঘ ১৮ বছর মামলা চলার পর দোষী সাব্যস্ত হলেন তিনি। শনিবার তাকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। এদিকে ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, স্থানীয় সময় সাড়ে পাঁচটার দিকে কারাগারে নেয়া হলে অসুস্থ হয়ে পড়েন জয়া।

রায় ঘোষণার পরপরই চেন্নাইয়ের রাস্তায় নেমে তীব্র প্রতিবাদ করেছে জয়ললিতার সমর্থকরা। জয়ললিতার সাজার জন্য বিরোধী ডিএমকেই দায়ী করছেন তারা। অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগে তার বেশ কিছু সমর্থককে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ।

রায় উপলক্ষে এ দিন সকালে বিশেষ বিমানে বেঙ্গালুরু পৌঁছান তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন মামলার অন্য অভিযুক্ত শশীকলা নটরাজন এবং লাভারাসি। ৬৬ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকার হিসাব বহির্ভূত মামলায় অপর অভিযুক্ত শশীকলার ভাইপো এবং তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীর পালিত পুত্র সুধাকরণ। রায় ঘোষণার আগে পারাপ্পান্না আগ্রাহারা জেলের এক কিলোমিটার এলাকাকে ছোটখাটো দুর্গে পরিণত করা হয়।

১৯৯১ সালে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী হন জয়া। কিন্তু পাঁচ বছর বাদে তাকে সরিয়ে ডিএমকে নেতা এম করুণানিধি ক্ষমতায় ফিরতেই জয়ললিতার বিরুদ্ধে হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তির মামলা দায়ের হয়।

জয়ললিতার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ২৮ কেজি সোনা, ৮৮০ কেজি রুপো, সাড়ে দশ হাজার শাড়ি, ৭৫০ জোড়া জুতো, ৯১টি দামি ঘড়ি ও আরও অনেক মূল্যবান জিনিস আটক করে আয়কর দফতর। অভিযোগ প্রমাণে আয়কর দফতর তথা সরকার পক্ষ মোট ২৫৯ জন সাক্ষ্যকে হাজির করিয়েছেন এ পর্যন্ত। এর পাল্টা জয়ললিতার তরফে পেশ করা হয়েছে ৯৯ জন সাক্ষীকে। মামলায় অভিযুক্ত কিছু বেসরকারি সংস্থা বারবার দিন পিছনোর আর্জি জানিয়েও শ্লথ করেছেন মামলার গতি। পরে এ ধরনের পাঁচটি সংস্থার বিরুদ্ধে জরিমানা ধার্য করে আদালত। ২০০৩ সালে এক ডিএমকে নেতার আর্জিতে নিরপেক্ষ বিচারের স্বার্থে মামলাটি চেন্নাই থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় প্রতিবেশী রাজ্যের বেঙ্গালুরুতে। খবর এনডিটিভি ও আনন্দবাজার পত্রিকার।

Leave a comment