কোন্দলের কোপানলে বিএনপি : ২০ দলীয় জোটে টানাপোড়েন

স্টাফ রিপোর্টার: বেশ কিছু ইস্যুতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটে টানাপোড়েন চলছে। এ নিয়ে দলের হাইকমান্ড রয়েছে অস্বস্তিতে। এর মধ্যেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলও। বিশেষ করে পুনর্গঠনকে কেন্দ্র করে এসব ঘটনা ঘটছে। কোন্দলের কারণে স্থগিত করা হয়েছে ছাত্রদলের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা। চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি পুনর্গঠন করা হলেও জেলা কমিটি গঠনের লক্ষ্যে সম্মেলন আয়োজনের তেমন তোড়জোড় নেই। অভিযোগ, কোন্দলের কারণেই কমিঠিগঠন কার্যক্রমে নেমে এসেছে স্থবিরতা। রংপুর জেলা ও মহানগর বিএনপির কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে কয়েক মাস ধরে চলছে সংঘাত। সর্বশেষ যার পুনরাবৃত্তি দেখা গেছে সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের কমিটি নিয়ে। কোন্দলের বহির্প্রকাশ ঘটেছে শ্রমিকদলের বিদ্রোহীদের পাল্টা কমিটি ঘোষণার মধ্য দিয়ে। দু গ্রুপের মুখোমুখি অবস্থানের কারণে সম্প্রতি মানিকগঞ্জ জেলা সফরে যেতে পারেননি দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়া তৃণমূল সফরে গিয়ে অনেক কেন্দ্রীয় নেতা তোপের মুখে পড়েন। মূলত বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্বের কারণেই এসব ঘটনা ঘটছে।

দলীয় নেতাকর্মীরা জানান, এসব কোন্দলের পেছনে কেন্দ্রীয় অনেক নেতার হাত রয়েছে। পকেট কমিটি বানানোর কারণেই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে। কোন্দলের কারণে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে দলের পুনর্গঠন। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সরাসরি হস্তক্ষেপ না করলে সরকারবিরোধী আন্দোলনেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। সম্প্রতি সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে টানা কয়েকদিন ধরে হট্টগোল চলেছে। সোমবারের হরতালে সিলেট ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা রাজপথে ছিলেন। তবে তা সংবিধান সংশোধনের প্রতিবাদে নয়, নিজ দলের প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে।

জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান বলেন, বিএনপি অন্যতম বড় একটি রাজনৈতিক দল। এ দলে অসংখ্য যোগ্য নেতা রয়েছেন। কিন্তু সে তুলনায় পদের সংখ্যা কম। যে কারণে কমিটিতে রেখে সব নেতাকে সন্তুষ্ট করা সম্ভব নয়। তাই সামান্য ক্ষোভ থাকতেই পারে।

তিনি আরও বলেন, কমিটি ঘোষণার ক্ষেত্রে কেউ যাতে পকেট কমিটি বানাতে না পারেন সেজন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনে দলের চেয়ারপারসন নির্দেশ দিয়েছেন। তারপরও যদি এমন অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে যাচাই করে সমাধানের চেষ্টাও করা হবে। তবে এসব বিষয় আন্দোলন বা দল পুনর্গঠনের ওপর প্রভাব ফেলবে না বলে জানান তিনি। সূত্র জানায়, গত এক মাস যাচাই-বাছাই শেষে ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠনের লক্ষ্যে সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রস্তুত করা হয়। নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের লক্ষ্যে খালেদা জিয়া ৩ দিন ছাত্রদলের নেতাদের সাথে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। নতুন কমিটির একটি খসড়াও চূড়ান্ত করেন তিনি। কিন্তু ঘোষণার আগেই গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে নতুন কমিটির সভাপতি হচ্ছেন রাজীব আহসান আর আকরামুল হাসান মিন্টু হচ্ছেন সাধারণ সম্পাদক। এছাড়া সুপার ফাইভের বাকি নেতাদের নামও মাঠ পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়ে।

নতুন কমিটির সম্ভাব্য নামের তালিকা ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন পদবঞ্চিতরা। ছাত্রদলের পদপ্রত্যাশী কয়েকজন নেতা সমর্থকদের নিয়ে ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন। এমনকি কয়েকশ নেতাকর্মী খালেদা জিয়ার গাড়ি ঘেরাও করেন। এ সময় তারা বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ও সহছাত্রবিষয়ক সম্পাদক সুলতান সালাহ উদ্দীন টুকুর বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দিতে থাকেন। পরে খালেদা জিয়া গেটের সামনে গাড়ি থেকে নেমে উপস্থিত নেতাকর্মীদের বিষয়টি দেখার আশ্বাস দেন। ওই রাতেই নতুন কমিটি ঘোষণার সিদ্ধান্ত ছিলো। কিন্তু পরিস্থিতির কারণে ঝুলে যায় কমিটি ঘোষণা। শিগগিরই ঘোষণা করার সম্ভাবনাও কম।

বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানী এ বিষয়ে বলেন, যে পরিস্থিতি তাতে নতুন কমিটি ঘোষণা করা সম্ভব নাও হতে পারে। তবে দলের চেয়ারপারসন যে কোনো পরিস্থিতিতেই কমিটি ঘোষণা করতে পারেন। এদিকে দীর্ঘ এক যুগ পর সিলেট জেলা ও মহানগর কমিটি ঘোষণার পর বিদ্রোহের আগুন জ্বলছে ছাত্রদলে। পদবঞ্চিতরা নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করছে। ককটেলেরও বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। নতুন কমিটির নেতারা বিদ্রোহীদের তোপের মুখে রয়েছেন। কমিটিতে সাবেক শিবির নেতাদের স্থান দেয়া হয়েছে এমন অভিযোগও উঠেছে। এ অবস্থায় ঘোষিত কমিটি বাতিল করা না হলে যেকোনো মুহূর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন অনেকে।
এদিকে ২৭ এপ্রিল আনোয়ার হোসেনকে সভাপতি এবং নুরুল ইসলাম নাসিমকে সাধারণ সম্পাদক করে শ্রমিকদলের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটি ঘোষণার পর থেকেই দেখা দেয় কোন্দল। বিদ্রোহীরা খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে বিক্ষোভ করেন। তারপরও কোনো আশ্বাস না পেয়ে বুধবার বিদ্রোহীরা নিজেরাই একটি কমিটি ঘোষণা করেছে। বর্তমান কমিটিকে অবৈধ দাবি করে মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনকে সভাপতি ও আবুল খায়ের খাজাকে সাধারণ সম্পাদক করে ২০১ সদস্যের এ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ নিয়ে শ্রমিকদলের দু গ্রুপের মধ্যে চলছে টানটান উত্তেজনা।

এ প্রসঙ্গে আবুল খায়ের ভূঁইয়া জানান, বিএনপির কেন্দ্রীয় কয়েকজন নেতা নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য একটি পকেট কমিটি দিয়েছেন। অনেকের কাছ থেকে তারা আর্থিক সুবিধাও নিয়েছেন। পাল্টা কমিটির বিষয়ে শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, নতুন যে কমিটি গঠনের কথা বলা হচ্ছে, তা অবৈধ।

সূত্র জানায়, বিগত আন্দোলনে ব্যর্থ হয়েছে- এমন দাবি করে ঢাকা মহানগর বিএনপির নতুন কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেয় দলের একটি অংশ। সাদেক হোসেন খোকাকে বাদ দিয়ে মির্জা আব্বাসকে আহ্বায়ক ও হাবিব-উন নবী খান সোহেলকে সদস্য সচিব করে ওই কমিটি ঘোষণাও করা হয়। কিন্তু এরপর থেকেই শুরু হয় অভ্যন্তরীণ কোন্দল। কয়েকদিন পর তা প্রকাশ্যে রূপ নেয়। কিছুতেই সোহেলকে মেনে নিতে পারছেন না আব্বাস। তাদের কোন্দল নিরসনে খালেদা জিয়া হস্তক্ষেপ করেন। এখন প্রকাশ্যে না হলেও মনস্তাত্ত্বিক লড়াই চলছেই। কোন্দলের কারণে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে মহানগর কমিটির পুনর্গঠন। কমিটি মেয়াদ শেষ হলেও এখনও সম্পন্ন হয়নি ওয়ার্ড ও থানা কমিটি পুনর্গঠনের কাজ। জানতে চাইলে হাবিব উন নবী খান সোহেল কাছে দাবি করেন, তাদের মধ্যে কোনো বিভেদ নেই। মহানগর নেতারা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছেন।

অপরদিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের কেউ কেউ দাবি করেছে, সরকারবিরোধী সম্ভাব্য আন্দোলন সংগ্রামকে দুর্বল করতে ক্ষমতাসীনদের ষড়ন্ত্রের বিষয়ে আগে থেকেই সতর্ক ছিলো ২০ দলীয় জোট। জোটে ভাঙন সৃষ্টি করতে ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তা ব্যর্থ হয়েছে। তবুও হাল ছাড়েননি তারা। ২০ দলীয় জোট এবং জোটে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা ও শৃঙ্খলা ভঙের অভিযোগে বিভিন্ন সময় বহিষ্কৃতরা একত্রিত হয়েছেন। চূড়ান্ত আন্দোলন ঘোষণার আগে ২০ দলের ভেতরে থাকা স্পাইরা শনাক্ত হওয়ায় জোটে স্বস্তিও ফিরে এসেছে। ২০ দলীয় জোটের প্রধান দুই শরিক বিএনপি ও জামায়াত নেতারা শীর্ষ নিউজের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন।

বিএনপির স্থানীয় কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ। যেখানে রাজনীতি ও নতুন পার্টি করার অধিকার সকলেরই আছে। তিনি বলেন, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট থেকে বহিষ্কৃত একটি অংশ নতুন রাজনৈতিক জোট গঠন করলেও এতে জোটে কোনো ধরনের প্রভাব পড়বে না। তিনি আরো বলেন, কারো জন্য কোনো কিছু বসে থাকে না। জোটের নীতি ও আদর্শ বিরোধী কাজ করলে যে কেউ ২০ দলে থাকার অধিকার হারাতে পারেন। মাহবুবুর রহমান বলেন, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ঐক্যবদ্ধ আছে, থাকবে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সুবিধাবাদীরা অতীতেও চিহ্নিত হয়েছিলেন, এখনো হচ্ছেন। স্বার্থের জন্যই কেউ কেউ ষড়যন্ত্রে অংশ নিয়েছিলো।

২০ দলীয় জোটের অন্যতম প্রভাবশালী শরিক জামায়াতে ইসলামী জোটের ঐক্যের বিষয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামের (কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ) একজন সদস্য বলেন, দেশের মানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো চারদলীয় জোট। জাতির ঐতিহাসিক প্রয়োজনে চারদলীয় জোট ২০ দলীয় জোটে পরিণত হয়েছে। পর্যায় ক্রমে গণতান্ত্রকামী দেশের অন্যরাজনৈতিক দলগুলোও এ জোটে অংশ নিয়ে রাজপথে অবস্থান করবে।

তিনি বলেন, যারা রাজনীতিবিদ তারা দেশ ও দলের প্রয়োজনের কথা বিবেচনা করে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। বাংলাদেশের প্রতিটি মুক্তিকামী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত সরকারবিরোধী এ জোট একসাথে কাজ করবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

শুক্রবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেছেন, বহিষ্কৃত কিছু ব্যক্তিকে প্রলোভন দেখিয়ে বিএনপিকে ভাঙার ষড়যন্ত্র নতুন নয়। এর আগে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদও এ চেষ্টা চালিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। আপনারাও (আওয়ামী লীগ সরকার) ব্যর্থ হবেন।

কোনো ষড়যন্ত্রই সরকারের পতন ঠেকাতে পারবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ২০ দলীয় জোটের বিষয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন ও জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গত মঙ্গলবার নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২০ দল আয়োজিত সমাবেশে বলেন, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ভাঙার কোনো সম্ভাবনা নেই। সরকারবিরোধী এ জোট শক্তিশালী আছে এবং থাকবে।

খালেদা জিয়া বলেন, যারা দেশপ্রেমিক তারা বেঈমান, মুনাফেক ও দালালের সঙ্গে যেতে পারে না। ভবিষ্যতে তার নেতৃত্বাধীন এ জোট আরো শক্তিশালী হবে বলেও জানিয়ে দেন তিনি। তিনি বলেন, দেশ ও গণতন্ত্র রক্ষায় ২০ দলীয় জোট রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ জোট রাজপথ ছাড়বে না।

ওই সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে তার দলের সম্পর্কের বিষয়টিও পরিষ্কার করেন। তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী এখন বিএনপির সঙ্গে রয়েছে তাই আওয়ামী লীগ এ দলটিকে খারাপ হিসেবে আখ্যায়িত করছে। জামায়াতকে নানাভাবে অপবাদ দেয়ার চেষ্টা করছে। জামায়াতকে কখনো জঙ্গি আবার কখনো স্বাধীনতাবিরোধী বলা হচ্ছে।

বেগম জিয়া বলেন, এই জামায়াতকে নিয়েই আওয়ামী লীগ জোট করে বিএনপির বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলন করেছে। তখন জামায়াত ছিলো আওয়ামী লীগের বন্ধু ও স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি। ২০ দলীয় জোটের অবস্থান সম্পর্কে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ভাঙেনি। এ জোট অটুট রয়েছে। হালুয়া-রুটির লোভ সামলাতে না পেরে কিছু লোক জোটের বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র করায় তারা ছিটকে পড়েছেন। বৃহস্পতিবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল বলেন, টাকা পয়সা ও মন্ত্রিত্বের প্রলোভন দেখিয়ে আন্দোলন স্তব্ধ করা যাবে না।

তিনি বলেন, সরকার যতোই ষড়যন্ত্র করুক না কেন, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আন্দোলনের স্রোতে ক্ষমতাসীনরা খড়কুটার মতো ভেসে যাবে। প্রসঙ্গত, দেশ, জাতি ও জনগণের স্বার্থরক্ষা এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণের স্লোগানকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার ১০টি দল একত্রিত হয়ে ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট নামে একটি নতুন রাজনৈতিক জোট গঠিত হয়। নতুন এ জোটে রয়েছে- ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (শেখ শওকত হোসেন নীলু’র অংশ), ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি’র একাংশ-এনডিপি (আলমগীর মজুমদার),  বাংলাদেশ মুসলিম লীগের একাংশ (জোবাইদা কাদের-আতিক), ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপ এর একাংশ (শেখ আনোয়ারুল হক), জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল-জাগো দল (মালেক), লেবার পার্টি’র একাংশ (সেকান্দর আলী), বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টি’র একাংশ (আবদুর রশিদ প্রধান), ইনসাফ পার্টি (শহীদ চৌধুরী), তৃণমূল ন্যাপ ভাসানী এবং ভাসানী ফ্রন্ট (মমতাজ চৌধুরী)।

এর মধ্যে মুসলিম লীগ, এনডিপি, ইসলামিক পার্টি, লেবার পার্টি ২০ দলীয় জোটে রয়েছে। এ জোটের নেতৃত্বে ছিলেন- এনপিপির একাংশের চেয়ারম্যান শেখ শওকত হোসেন নিলু। দীর্ঘদিন তিনি ২০ দলীয় জোটের সাথে একযোগে আন্দোলনে ছিলেন। জোটে থেকে আওয়ামী লীগের সাথে গোপনে যোগাযোগ রক্ষার অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে। এ অভিযোগে গত ১৯ জুলাই দলের প্রেসিডিয়ামের এক সভায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ ও জোটবিরোধী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। পরে ১১ আগস্ট ২০ দলীয় জোট থেকেও বহিষ্কৃত হন তিনি।