মোটরসাইকেলসহ ৮ লক্ষাধিক টাকার মালামাল ডাকাতি

আলমডাঙ্গার নগরবোয়ালিয়া গ্রামে পর পর দু রাতে ডাকাতদলের হানা

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার নগরবোয়ালিয়া গ্রামে পর পর দু রাতে ডাকাত দল হানা দিয়েছে। গত বুধবার রাতে গ্রামবাসীর প্রতিরোধের মুখে ডাকাতরা পালিয়ে গেলেও আগের রাতে তিনটি বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলসহ ৮ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুটে নিয়েছে। গ্রামের ইতিহাসে এই প্রথম ডাকাতির ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন গ্রামবাসী।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে একদশ সশস্ত্র ডাকাত নগরবোয়ালিয়া গ্রামের কাবের আলীর ছেলে মতিয়ার রহমানের বাড়িতে হানা দেয়। বাড়ির লোকজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকা, সোনার গয়না ও মোবাইল সেট লুটে নেয়। পরে একই গ্রামের রহমত আলীর ছেলে সিরাজুল ইসলাম এবং তার ছেলে সিলু মিয়ার বাড়িতে হানা দেয়। মতিয়ারের বাড়ির মতো একই কায়দায় লুটপাট চালায়। নগদ টাকা, সোনার গয়না, মোবাইল সেট ও সিলুর ব্যবহৃত একটি ডিসকভারী মোটরসাইকেল (যার নং কুষ্টিয়া ল-১১-১৭৮৬) লুটে নিয়ে পালিয়ে যায়। তিন বাড়ি থেকে গয়না, মালামাল ও নগদ টাকাসহ প্রায় ৮ লক্ষাধিক টাকার মালামাল ডাকাতি হয়েছে বলে দাবি ভুক্তভোগীদের। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে ওই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই বুধবার সন্ধ্যারাতে আবারো ডাকাতদল হানা দেয় নগরবোয়ালিয়া গ্রামে। গ্রামবাসী টের পেয়ে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এতে ডাকাতি করতে ব্যর্থ হয়ে পালিয়ে যায় ডাকাতদলের সদস্যরা।

গ্রামের অনেকেই অভিন্ন ভাষায় বলেছে, নগরবোয়ালিয়া গ্রামের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো ডাকাতির ঘটনা ঘটলো। এতে গ্রামবাসীর মধ্যে অজানা নানান আতঙ্ক বিরাজ করছে। সামনে ঈদুল আজহা। তাই অনেকেই কোরবানির গরু বিক্রি করছেন। গরু ক্রেতা-বিক্রেতারা তাই রয়েছেন ডাকাত হানার আতঙ্কে। ডাকাতি হওয়া মালামাল উদ্ধারের পাশাপাশি গ্রামের মানুষের ডাকাতের হাত থেকে রক্ষায় প্রশাসনের দৃঢ় সহযোগিতা কামনা করেছেন ভুক্তভোগীসহ গ্রামবাসী। ডাকাতদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার এবং গ্রামবাসীর নিরাপত্তার জন্য পুলিশ সতর্ক রয়েছে বলে গতরাতে মাথাভাঙ্গাকে জানান আলমডাঙ্গা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির উদ্দীন মোল্লা।