চুয়াডাঙ্গায় আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে এমআরপি মেশিন না থাকায় শুয়ে বসেই অলস দিন কাটাচ্ছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা!

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালকের কার্যালয়ে কাজ না থাকায় এক প্রকার শুয়ে বসেই অলস দিন কাটাচ্ছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সকল প্রকার সুবিধা থাকা সত্ত্বেও শুধু মেশিন না থাকায় মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের (এমআরপি) কার্যক্রম শুরু করতে পারছে না। এর ফলে জেলার ১৫ লাখ মানুষকে পাসপোর্টের জন্য পার্শ্ববর্তী কুষ্টিয়া জেলায় প্রয়োজনে ছুটতে হচ্ছে। ফলে, এলাকার মানুষদেরকে যাতায়াতের জন্য গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা।

অথচ চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের জন্য প্রতিমাসে সরকারকে তিনতলা বাড়িভাড়া বাবদ গুনতে হচ্ছে ৩৩ হাজার টাকা। একমাস আগে কিনতে হয়েছে ১৩ লাখ টাকা মূল্যের নতুন জেনারেটর। এছাড়া রয়েছে, প্রয়োজনীয় চেয়ার টেবিল, ১৪টি কম্পিউটার ও ৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন-বোনাস। গত ১৮ মাসে তিনজন পাসপোর্ট কর্মকর্তা বদল হয়েছেন। এরা হলেন, শাহজাহান কবীর, মো. শফিউল্লাহ ও বর্তমানে রয়েছেন মো. রফিকুল ইসলাম।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ২০০৮ সালে পাসপোর্ট অফিসের কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর ২০১৩ সালের মার্চ মাস থেকে চুয়াডাঙ্গায় টাউন ফুটবল মাঠের বিপরীতে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে আলাদাভাবে পাসপোর্ট কর্মকর্তার অধীনে কার্যক্রম চলতে থাকে। চার মাস পর ওই বাড়ি ছেড়ে দিয়ে বর্তমানে সদর হাসপাতাল সড়কে একটি ১২ কক্ষের তিনতলা বাড়ি ভাড়া করা হয়। প্রতিমাসে বাড়িভাড়া বাবদ গুনতে হচ্ছে ৩৩ হাজার টাকা। এ অফিসে নিয়মিত ৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। তারা হলেন- উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) রফিকুল ইসলাম, হিসাবরক্ষক বীরেন্দ্র বাদল পাল, অফিস সহকারী মতিউর রহমান, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর শুভ্র কান্তি দেবনাথ (প্রেষণে মৌলভীবাজার), অফিস সহকারী সিরাজান মনিরা (প্রেষণে ঢাকা) ও রেকর্ডকিপার উজ্জ্বল হোসেন (প্রেষণে ঢাকা)। অনিয়মিত কর্মচারী রয়েছেন তিনজন। তারা হলেন- এমএলএসএস ফকরুল ইসলাম, নাইট গার্ড রুহুল আমীন ও ঝাড়ুদার মিজানুর রহমান।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পাসপোর্ট অফিসের উপসহকারী পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ‘বর্তমানে পাসপোর্ট নবায়ন, সংযোজন ও সংশোধনের কাজ ছাড়া কিছুই হচ্ছে না। তবে ঈদের আগেই এমআরপি মেশিন স্থাপনের চেষ্টা চলছে। যদি না হয় তবে ঈদের এক সপ্তাহ পর আশা করি মেশিন স্থাপনের কাজ শুরু হবে।’