মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার বড়পুটিমারী গ্রামে সন্তানহারা মায়ের বুকফাটা আর্তনাদ- আমার সন্তানের লাশটা অন্তত ফেরত দাও। ২৫ দিন আগে অবৈধভাবে পানিপথে বড় পুটিমারী গ্রামের হুমায়ন ও ওবাইদুল এবং জোড়গাছা গ্রামের ভাদু ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান। পথিমধ্যে পানি পিপাসা লাগলে জাহাজের ওপর তলায় পানি খেতে গেলে তাকে মেরে পানিতে ফেলে দেয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে। গত ১৬ সেপ্টেম্বর সকালে থাইল্যান্ড সাগরের উপকূলে জাহাজ থেকে হুমায়ন নামেনি বলে দালালচক্র মোবাইলফোনে জানায় তার পরিবারের কাছে। বিকেলে একই মোবাইলফোনে জানায় হুমায়ন অসুস্থ। মোবাইলফোনে তার সাথে কথা বলতে চাইলে দালাল ফোন বন্ধ করে দেয়। আলমডাঙ্গা জেহালা ইউনিয়নের বড়পুটিমারী গ্রামের কলমের ছেলে হুমায়ন (২৭), আলমের ছেলে ওবাইদুর (১৬) ও জোড়গাছা গ্রামের ভাদু বাড়ি থেকে অবৈধভাবে মালয়েশিয়ার পথে যাওয়ার উদ্দেশে বের হয়।
হুমায়নের মা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার সন্তান মারা গেছে তাকে তো আর ফিরে পাবো না, আমার সন্তানের লাশটা অন্তত ফেরত চাই। হুমায়নের পিতা জানান, ফসলের জমি বন্দক রেখে টাকা দিয়েছি সন্তানকে। এ ব্যাপারে গ্রামবাসী জানায়, কয়েক মাস আগে বড়পুটিমারী গ্রামের দোলালের ছেলে সাহানাজ অবৈধপথে মালয়েশিয়া যায়। সেখানে ভালো কাজ করছে বলে এলাকায় প্রচার করা হয়। সেই প্রচারে কান দিয়ে এলাকার বেকার যুবকেরা হুমড়ি খেয়ে পড়ে অবৈধ পথে বিদেশ যাওয়ার জন্য।
পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে টেকনাফের জাহাঙ্গীরের মাধ্যমে হুমায়ন, ওবাইদুল ও ভাদু ২ লাখ টাকার বিনিময়ে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে হুমায়নের মৃত্যু হয়। গতকাল জাহাঙ্গীরের ০১৮৩৬-৫৭২৮২৭ নম্বরে ফোন দিলে বারবার তিনি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।