চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুরেও জামায়াতে ইসলামীর ঢিলেঢালা হরতাল পালিত

 

স্টাফ রিপোর্টার: যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশ দেয়ার প্রতিবাদে ও মুক্তির দাবিতে জামায়াত আহূত হরতালে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশেই ছিলো ঢিলেঢালা ভাব। হরতালের সমর্থনে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের চুয়াডাঙ্গাতেও তেমন কোনো তত্পরতা দেখা যায়নি। আভ্যন্তরীণ রুটে কিছু বাসসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করলেও দূরপাল্লার কোচ চলেনি। অধিকাংশ দোকানপাট আংশিক খোলা ছিলো। ব্যাংকে অনেকটাই স্বাভাবিক লেনদেন হয়েছে। দূরপাল্লার বাস চলাচল না করায় অনেকেই ট্রেনের দিকে ঝুঁকেছেন। ট্রেন স্বাভাবিকভাবেই চলাচল করেছে। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উপস্থিতি ছিলো কম।

জীবননগর ব্যুরো জানিয়েছে, যুদ্ধাপরাধের বিচারে জামায়াত নেতা মাও. দেলোয়ার হোসেন সাইদীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে জামায়াতের ডাকা ৪৮ ঘণ্টা হরতালের দ্বিতীয় দিন জীবননগরে ঢিলেঢালাভাবে পালিত হয়েছে। গতাকাল সকাল থেকে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি ছিলো লক্ষণীয়। হরতালের পক্ষে-বিপক্ষে রাজপথে কারো দেখা মেলেনি। অফিস-আদালত, ব্যাংক-বীমা, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও স্কুল-কলেজ যথারীতি খোলা ছিলো। শুধুমাত্র দূরপাল্লার যানবাহন ছাড়া সব ধরনের যান চলাচল ছিলো স্বাভাবিক।

মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, জামায়াতের নায়েবে আমির মাও. দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর মানবতা বিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডের প্রতিবাদে সারাদেশের ন্যায় মেহেরপুরেও ২য় দিনের মতো সকাল-সন্ধ্যা ঢিলেঢালা হরতাল পালিত হয়েছে। গতকাল রোববার ভোর থেকে হরতালের কারণে আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার সকল পরিবহণ চলাচল বন্ধ ছিলো। তবে ছোটখাটো যানবাহন নসিমন, করিমন, আলগামন, অটো-রিকশা, রিকশা-ভ্যান চলাচল করেছে। অফিস-আদালত, স্কুল-কলেজ, দোকানপাট খোলা ছিলো। হরতালের পক্ষে কাউকে কোনো মিছিল মিটিং কিংবা পিকেটিং করতে দেখা যায়নি। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। শহরের মোড়ে মোড়ে ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ মোতায়েন ছিলো। শহরে ৱ্যাবের টহলও লক্ষ্য করা গেছে।