হাতুড়ে ডাক্তার কাজি কামাল আবারও গ্রেফতার : ৬ মাসের জেল ২০ হাজার টাকা জরিমানা

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর আন্দুলবাড়িয়ায় ভারতীয় ভুয়া চিকিৎসকের চেম্বারে ভ্রাম্যমা আদালত

 

জীবননগর ব্যুরো/আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি: জীবননগর আন্দুলবাড়িয়ায় ভারতীয় ভুয়া চিকিৎসক কথিত চর্ম, যৌন, শিশু ও স্ত্রী চিকিৎসায় অভিজ্ঞ এবং মেডিসিন বিশেষজ্ঞ কাজি কামাল উদ্দিনকে পুলিশ আবারো গ্রেফতার করেছে। একই সময়ে গ্রেফতার করা হয়েছে প্রতারণার মাধ্যমে চক্ষুশিবিরের আয়োজন করে অর্থ হাতিয়ে নেয়া মেরাজ উদ্দিনকে। গ্রেফতারকৃত ভারতীয় ভুয়া চিকিৎসকসহ দুজনকে পুলিশ ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক জীবননগর ইউএনও নুরুল হাফিজ কাজি কামালকে ৬ মাসের জেল ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ মাসের জেল প্রদান করেন। অন্যদিকে মেরাজ উদ্দিনকে ৫ হাজার জরিমানা অনাদায়ে ১ মাসের জেল প্রদান করেন।

জানা যায়, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁও জেলার গাড়াপোতা গ্রামের কাজি কামাল অবৈধ অনুপ্রবেশ করে উপজেলার আন্দুলবাড়িয়ায় চিকিৎসা প্রদান শুরু করেন। দীর্ঘদিন ধরে কাজি কামাল কথিত চর্ম, যৌন, শিশু ও স্ত্রী চিকিৎসায় অভিজ্ঞ এবং মেডিসিন বিশেষজ্ঞে পরিচয়ে চিকিৎসা প্রদানকালে ২০১১ সালের ৪ অক্টোবর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে। আদালত তাকে সাজা প্রাদান করেন। হাজতমুক্ত হওয়ার পর কাজি কামাল আবারও আন্দুলবাড়িয়ায় ফিরে চিকিৎসা শুরু করেন। অভিযোগ পেয়ে জীবননগর থানার এসআই আবুল হাশেম গতকাল শনিবার ফোর্স নিয়ে আন্দুলবাড়িয়া পশ্চিমবাজারে অবস্থিত নিউ পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করেন। অন্যদিকে চক্ষুশিবির নামের একটি কেন্দ্রে অভিযান চালিয়ে এ কেন্দ্রের পরিচালক নরসিংদীর বাহাউদ্দিনের ছেলে মিরাজ উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে ভুয়া চিকিৎসক কাজি কামাল ও চক্ষুশিবিরের পরিচালক মিরাজকে ইউএনও নুরুল হাফিজের ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হয়। আদালত ভারতীয় ভুয়া চিকিৎসক কাজি কামালকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকার উভয়দণ্ডে দণ্ডিত করেন। জরিমানার টাকা অনাদায়ে আরো ১ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন এবং চক্ষুশিবিরের পরিচালক মিরাজ উদ্দিনকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।

এছাড়াও শুক্রবার রাতে জীবননগরে ভ্রাম্যমাণ আদালত এক গাঁজা বিক্রেতা ও দু মদ্যপায়ীকে জেল-জরিমানা করেছেন। জীবননগর থানা পুলিশ শুক্রবার অভিযান চালিয়ে উপজেলার পাথিলা গ্রামের আব্দুর জব্বার খানের ছেলে ছাত্তার খানকে (৬০) গাজা বিক্রির সময় হাতেনাতে গ্রেফতার করে। অপরদিকে দৌলৎগঞ্জপাড়ার ফকির মোহাম্মদের ছেলে জাহাঙ্গীর (৩২) ও তেঁতুলিয়া গ্রামের আমিনুর বিশ্বাসের ছেলে নুরুলকে (৩৮) মদ্যপানরত অবস্থায় গ্রেফতার করে। পরে তাদেরকে ইউএনও নুরুল হাফিজের ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হলে গাঁজা বিক্রেতা ছাত্তারকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং মদ্যপানের অভিযোগে জাহাঙ্গীর ও নুরুল প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে ১ মাসের কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করেন।