দুর্ঘটনা : গুরুতর আহত সাংবাদিক রাজন রাশেদকে নেয়া হয়েছে ঢাকায়

চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা মোড়ে চলন্ত মোটরসাইকেলে অপর একটি মোটরসাইকেল বেপরোয়া গতিতে ছুটে এসে মারে ধাক্কা

 

স্টাফ রিপোর্টার: মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় সাংবাদিক রাজন রাশেদ গুরুতর আহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহত সাংবাদিক মাদরাসা শিক্ষক রাশেদীন আমিন রাজন ওরফে রাজন রাশেদকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় গতকালই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। গতরাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তিনি মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছিলেন। তার আশু সুস্থতা কামনায় দোয়া কামনা করা হয়েছে।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদার গোপালপুরের মৃত রুহুল আমিন বিশ্বাসের ছেলে রাশেদীন আমিন রাজন বাংলাদেশ টেলিভিশনের চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি। চুয়াডাঙ্গা আলিয়া মাদরাসার সহকারী শিক্ষক। তিনি শনিবার দুপুরে গ্রামের বাড়ি গোপালপুর থেকে বড় মেয়ে প্রভাকে সাথে নিয়ে চুয়াডাঙ্গা ঈদগাপাড়াস্থ নিজ বাড়ির উদ্দেশে মোটরসাইকেলযোগে রওনা হন। চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা মোড় হয়ে কবরী রোডের দিকে যাওয়ার সময় অপর এক মোটরসাইকেলচালক বেপরোয়া গতিতে এসে রাজন রাশেদের মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। রাজন রাশেদ আছড়ে পড়েন। রক্তাক্ত জখম হন। মাথায় গুরুতর আঘাতে তিনি সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন। তবে তার মোটরসাইকেলে থাকা মেয়ে অক্ষত থাকেন। রক্তাক্ত জখম অবস্থায় আওয়ামী লীগ নেতা জামাল উদ্দীনসহ স্থানীয়রা রাজন রাশেদকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেন। মাথায় আভ্যন্তরীণ আঘাতে বমি ও বাম কান দিয়ে রক্তক্ষরণ দেখে চিকিৎসকেরা চমকে ওঠেন। চিকিৎসা দেয়ার পাশাপাশি তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন।

অপরদিকে সাংবাদিক রাজন রাশেদ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার খবর পেয়ে দ্রুত হাসপাতালে ছুটে যান চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব সেক্রেটারি দৈনিক মাথাভাঙ্গা সম্পাদক সরদার আল আমিন, রাজন রাশেদের বড় ভাই ডাক্তার রুহুল আমিন রতন, দৈনিক মাথাভাঙ্গার বার্তা সম্পাদক আহাদ আলী মোল্লা, প্রেসক্লাবের সহসভাপতি জেড. আলম, সহসম্পাদক রফিক রহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রিচার্ড রহমান, অর্থ সম্পাদক বিপুল আশরাফ, দফতর সম্পাদক আব্দুস সালাম, কার্যকরি সদস্য মরিয়ম শেলী, রাজন রাশেদের সহকর্মী সাংবাদিক ইসলাম রকিব, দেশ টিভি প্রতিনিধি খাইরুজ্জামান সেতুসহ অনেকে। হাসপাতালের সার্জারি কনসালটেন্ট ডা. ওয়ালিয়ার রহমান নয়ন, সার্জারি কনসালটেন্ট ডা. নূরুদ্দিন রুমিসহ অনেকেই সাংবাদিক রাজন রাশেদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হাসপাতালে ছুটে আসেন।

চিকিৎসকদের পরামর্শে গতকালই রাজন রাশেদকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে ঢাকার উদ্দেশে নেয়া হয়। গতরাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মেডিকেল কলেজ হাসপতালে ভর্তি করানো সম্ভব হয়েছে। তার সাথে থাকা বড় ভাইসহ অন্যরা জানিয়েছেন, প্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরীক্ষার পাশাপাশি চিকিৎসা চলছে। তবে শঙ্কামুক্ত নয়। বড় ভাই ডা. রুহুল আমিন রতন তার ছোট ভাই রাজন রাশেদের আশু সুস্থতা কামনায় সকলের নিকট দোয়া প্রার্থনা করে বলেছেন, সকলে দোয়া করুন, আমি যেনো আমার ভাইকে সুস্থ করে আবারও তার সহকর্মীসহ সকলের মাঝে ফিরিয়ে আনতে পারি।

সাংবাদিক রাজন রাশেদ চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের ক্রীড়া সম্পাদক। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় তিনি গুরুতর আহত হওয়ায় প্রেসক্লাবের পক্ষে তার সুস্থতা কামনা করে দোয়া প্রার্থনা করা হয়েছে।