পৃথক দু গ্রামে পুকুরে ডুবে দু শিশুর মৃত্যু

চুয়াডাঙ্গার গাড়াবাড়িয়া ও মাখালডাঙ্গায় শোক

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়নের পৃথক দুটি গ্রামে দু শিশু পুকুরের পানিতে ডুবে মারা গেছে। এর মধ্যে মাখালডাঙ্গার বুদ্ধি প্রতিবন্ধী রনির (১২) মৃতদেহ গ্রামেরই একটি পুকুরের পাটজাগের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়। গাড়াবাড়িয়া বাগানপাড়ার শিশু শ্যামলী খাতুন (৯) তার চাচাতো বোনদের সাথে গ্রামের পুকুরে গোসল করতে গেলে পানিতে ডুবে মৃত্যু হয় তার। দু শিশুরই লাশ নিজ নিজ গ্রামের কবরস্থানে দাফনকাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।

জানা গেছে, গাড়াবাড়িয়া বাগানপাড়ার ভ্যানচালক জালাল উদ্দীনের শিশুকন্যা শ্যামলী খাতুন হালকা দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ছিলো। গতকাল বেলা আড়াইটার দিকে ভ্যাপসা গরমে সে তার চাচাতো দু বোনের সাথে গ্রামেরই কদর মহুরারের পুকুরে গোসল করতে নামে। চাচাতো দু বোন গোসল করে উঠলেও শ্যামলী আর ওঠেনি। পরে গ্রামেরই ফারুকের ছেলে সুজন গোসল করতে নেমে পায়ে কিছু বাঁধছে দেখে চমকে ওঠে। পরে শ্যামলীরই চাচি আছিয়া খাতুন পুকুর থেকে শিশু শ্যামলীর মৃতদেহ উদ্ধার করেন।

এদিকে একই ইউনিয়নের পাশের গ্রাম মাখালডাঙ্গা ভেন্নাতলাপাড়ার শের আলীর ছেলে রনি (১২) মানসিক প্রতিবন্ধী ছিলো। রাস্তায় ঘুরতো। বুধবার সকাল ১০টা থেকে নিখোঁজ হয়। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে গ্রামেরই জমির আলীর পুকুরের পাটজাগের নিচ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়রা বলেছে, গরমে সে পুকুরে নেমে ডুবে মারা যেতে পারে। অবশ্য কেউ কেউ নানা প্রশ্ন তুলে মৃত্যুর আড়ালে রহস্য থাকতে পারে বলে মন্তব্য করলেও তা তেমন কেউই আমলে নেয়নি। পরে দাফনের প্রক্রিয়া করা হয়।