পিতা-মাতা ও স্বামী পরিত্যক্তা কন্যা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে মাতিয়ে তুলেছে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল

স্টাফ রিপোর্টার: স্বামী কন্যার পর পিতা-মাতাও মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন। পিতা-মাতা ও কন্যা তিনজনকেই চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনজনের আচরণ গতকাল মঙ্গলবার দিনভর চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের অন্য রোগী ও রোগীর লোকজনের কাছে কৌতূহলের বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের সরোজগঞ্জ বোয়ালিয়ার আবুল হোসেনের মেয়ে সেলিনা আক্তার আম্বিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পর কোলজুড়ে দু সন্তান আসে। সন্তান স্ত্রী রেখে নিরুদ্দেশ হন স্বামী। এরপর থেকেই মানসিক ভারসাম্য হারাতে শুরু করেন আম্বিয়া। গত ১৩ সেপ্টেম্বর তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে ডায়রিয়া আক্রান্ত হিসেবে হাসপাতালে ভর্তি হন তার পিতা আবুল হোসেন। একই সময়ে হাসপাতালের বিছানায় ঠাই নিয়েছেন আবুল হোসেনের স্ত্রী কুলছুম। তিনিও মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন। মা-মেয়ের পাগলামির পাশাপাশি আবুল হোসেনও মাঝে মাঝে মস্তিষ্কবিকৃত রোগীর মতো আচরণ করছেন। ফলে পিতা-মাতা ও কন্যা তিনজনের আচরণ গতকাল মঙ্গলবার হাসপাতালে কৌতূহলী হয়ে ওঠে।

বোয়ালিয়া গ্রামের একাধিক ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেছেন, ওরা খুবই দরিদ্র। আম্বিয়া স্বামী পরিত্যক্তা হওয়ার পর মাঝে মাঝেই মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে পাগলামি আচরণ করে। এখন শুনছি পিতা-মাতাও মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন।