বিয়ের বয়স কমানোর চিন্তাভাবনায় উদ্বেগ

স্টাফ রিপোর্টার: বিদ্যমান বিয়ের বয়স কমিয়ে ছেলেদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ১৮ এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে ১৬ করা যায় কি-না, তা নিয়ে সরকারের চিন্তাভাবনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের নারী ও মানবাধিকার সংগঠনের প্রতিনিধিরা। গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভায় সাজা ও জরিমানার পরিমাণ বাড়িয়ে বাল্যবিয়ে নিরোধ আইন-২০১৪’র খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেয়ার পর বয়সের বিষয়টি পর্যালোচনার জন্য আইন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি এক বিবৃতিতে বলেছে, বিয়ের ক্ষেত্রে বয়স নির্ধারণের জন্য যে আলোচনা চলছে, তা এ দেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে কোনোক্রমেই সঙ্গতিপূর্ণ নয়। এ ধরনের বিধান বাস্তবায়িত হলে সমাজ জীবনে এর বিরূপ প্রভাব অবশ্যম্ভাবী। আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে মন্ত্রিসভাকে বিয়ের ন্যূনতম বয়স কমানোর চিন্তাভাবনা থেকে সরে এসে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। কেননা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সনদ এবং দেশের শিশু আইন ২০১৩সহ বিভিন্ন আইনে ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত কোনো ছেলে বা মেয়েকে শিশু বলা হয়েছে। শ্রমজীবী নারী মৈত্রীর আহ্বায়ক বহ্নিশিখা জামালী এক বিবৃতিতে এ ধরনের প্রস্তাবকে বিপদজনক ও অপরিণামদর্শী হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রজনন স্বাস্থ্যের যে অবস্থা তাতে করে নারীদের বিয়ের বয়স কমানোর কোনো সুযোগ নেই। ১৯২৯ সালের বাল্যবিয়ে-সংক্রান্ত আইনে বর্তমানে নারীদের ক্ষেত্রে ১৮ বছরের কম এবং পুরুষদের ক্ষেত্রে ২১ বছরের কম হলে নাবালক বলা হয়েছে।