স্টাফ রিপোর্টার: বিকাশ এজেন্টের মোবাইলফোনে বিকাশের নামে ভুয়া ম্যাসেজ দেয়ায় পারদর্শী রুহুল আমিন তার শিষ্য ফারুকসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। গতপরশু চুয়াডাঙ্গা রেলবাজারের বিকাশ এজেন্ট সাজ্জাদুল আলম রাজুর নিকট থেকে ৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে সটকানোর সময় ৩ জন হাতেনাতে ধরা পড়ে। এদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতেই বিকাশ এজেন্টের নামে ভুয়া ম্যাসেজ দেয়ার কাজে পারদর্শী রুহুল আমিন ও তার সাগরেদ ফারুককে গ্রেফতার করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- আলমডাঙ্গা ভদুয়ার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রুহুল আমিন, আনন্দধামের বাকু মণ্ডলের ছেলে চুয়াডাঙ্গা ফাতেমাপ্লাজার একটি কম্পিউটার দোকানের কর্মচারী ফারুক হোসেন, একই গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে সোহেল, বকশিপুরের আব্দুর রহিমের ছেলে রাজন ও বিনোদপুরের হারুনের ছেলে রনি। এদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে পুলিশ আদালতে সোপর্দের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আসাদুজ্জামান মুন্সী বলেছেন, বেশ কিছুদিন ধরেই বিকাশ এজেন্টদের নিকট ভুয়া ম্যাসেজ দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে একাধিক চক্র। বিকাশের ভুয়া ম্যাসেজ দেয়ার জন্য কিছু দক্ষতা অর্জন করে এসব চক্র অপকর্ম করছে। এদেরই একটি চক্র অল্প বয়সী তিনজনকে পাঠিয়ে রেলবাজারের বিকাশ এজেন্টের নিকট থেকে ৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে সরে পড়ার চেষ্টা করছিলো। বিকাশ এজেন্টের তড়িত পদক্ষেপে তিনজন হাতেনাতে ধরা পড়ে। এদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতেই রুহুল আমিন ও ফারুককে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। ফারুক বলেছে, তাকে ওই ম্যাসেজ দিয়ে প্রতারণা শিখিয়েছে রুহুল আমিন। তাকে ধরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
বিকাশ এজেন্টেদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সদর থানার ওসি বলেছেন, সকলকে সতর্ক হতে হবে। মোবাইলফোনে যেমন সুবিধা বাড়িয়েছে, তেমনই অসতর্ক হলেই প্রতারকরা হাতিয়ে নেবে টাকা। শুধু ম্যাসেজ এলেই হবে না, টাকা এলো কি-না তাও দেখে বুঝেই টাকা দিতে হবে। অন্যথায় চোখের পলকে প্রতারিত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।