আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জ সোনাতনপুর পুরাতন কবরস্থানে কৌতুহলী জনতার ভিড়
মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: মাদারগাছের নরম পাতা পোকায় খেয়ে ত্যাগ করছে স্বচ্ছ মল, আর সেই মলকেই নির্মল নিয়ামত ভেবে রোগের প্রতিষেধক টনিক হিসেবে খাচ্ছে-মাখছে বোকারামের দল। চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জ সোনাতনপুর পুরাতন কবরস্থানে ওই পানি ধরতে জমছে ভিড়। দৃশ্য দেখে সচেতন যুবসমাজ বলেছে, মানুষ আবার কবে সচেতন হবে?
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, মাদারগাছের নিচে উৎসুক জনতার ভিড়। মাদারগাছ থেকে পড়া পানি কেউ ভরছে বোতলে। কেউ নিচ্ছে গ্লাসে। স্থানীয়রা জানালেন, গত ৪ দিন ধরে আলমডাঙ্গার জেহালা ইউনিয়নের মুন্সিগঞ্জ সোনাতনপুরের পুরাতন কবরস্থানে মাদার গাছ থেকে অঝরে বৃষ্টির মতো পানি ঝরছে খবর ছড়িয়ে পড়ে। দৃশ্য দেখতে উৎসুক মানুষ ভিড় জমাতে থাকে। এরই মাঝে কে বা কারা ওই পানিকে নিয়ামত বলে প্রচার করে সর্বরোগের ওষুধ হিসেবে দাবি করতে থাকে। এতে কান দিয়ে এলাকার সরলসোজা মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়তে থাকে। কেউ কেউ পানি সংগ্রহ করে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছে। এ পানি স্রষ্টার কুদরত বলে মনে করছে অনেকেই। আবার অনেকেই কবরে গোরআজাবের কারণে গাছ কাঁদছে বলেও প্রচার করছে। কেউবা জিনে পানি দিচ্ছে রোগের ওষুধ হিসেবে বলে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ কেউ খেয়ালই করছে না মাদারগাছের অসংখ্য পোকা! পাতা খেয়ে মল হিসেবেই ত্যাগ করছে ওই পোকায়। তা নিয়েই ছড়াচ্ছে নানাজনে নানা মন্তব্য।
গাছের গোড়ায় পাতা হয়েছে ঘটি, বাটি থালা ও বোতল। বিভিন্ন গ্রাম থেকে নসিমন, করিমনযোগে আসা মহিলা ও পুরুষ পানি সংগ্রহ করছে। বিভিন্ন রোগের টনিক হিসেবে এ পানি সংগ্রহ করা হচ্ছে। গাছের নিচে কেবা কারা পরিষ্কার করে দিয়েছে। গাছের পাতার গায়ে শাদা শাদা এক ধরনের পোকা শাদা ফেনা তৈরি করেছে। সেই শাদা ফেনা থেকে এ পানি পড়ছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এলাকাবাসী জানায়, মাদার গাছের পাতা দিয়ে এমনিতেই পানি পড়ে। সেই পানি পড়া নিয়ে এক শ্রেণির অসাধু ব্যক্তি তাদের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য অপপ্রচার চালিয়ে ব্যবসা করার চেষ্টা করছে।