দুসরা অবৈধ নয়

মাথাভাঙ্গা মনিটর: দুসরা ছিলো তারই যুগান্তকারী এক আবিষ্কার। সেই দুসরা এখন বিতর্কে। বিশেষ করে সাঈদ আজমলের বোলিং অ্যাকশন নিষিদ্ধ হওয়ার পর এ ডেলিভারিটি এখন বিরাট আলোচনায়। নিজের আবিষ্কার প্রশ্নের মুখে দেখেই কি না ঢাল হয়ে দাঁড়ালেন সাকলাইন মুশতাক। বললেন, দুসরা অবৈধ নয়। উর্দু শব্দ ‘দুসরা’ অর্থ ‘দ্বিতীয়টি’। ডেলিভারিটি লেগ-সাইড থেকে পিচ করে অফসাইড দিয়ে বেরিয়ে যায়। ব্যাটসম্যানদের ধন্ধে ফেলার দারুণ এক কৌশল বটে। সাকলাইনের মতো আজমলও দারুণ সাফল্য পেয়েছিলেন এ ডেলিভারিতে। কিন্তু গোলটা বাধলো অন্যখানে। দুসরা ডেলিভারির সময় আজমলের কনুই আইসিসির বেধে দেয়া ১৫ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যায়।  কিন্তু এ কারণে দুসরাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে হবে, সেটি মানতে নারাজ সাকলাইন। বললেন, কে বলেছে দুসরা অবৈধ? বেধে দেয়া নিয়মের মধ্যেই এটি সহজেই করা যায়। তবে এটি কোনো সহজ ডেলিভারি নয়। কোনো বোলার যদি এ ডেলিভারিতে সিদ্ধহস্ত হয়, সে বেধে দেয়া সীমা (কনুইয়ের) ছাড়িয়ে যায় না। দুসরা করতে শক্ত পেশি থাকতে হবে। এরপর ফিটনেসের ব্যাপার। গ্রিপ, ছন্দ, বল ছোড়া সবই নিখুঁত হতে হবে। এর একটিও অনুপস্থিত থাকলেই বেধে দেয়া সীমা অতিক্রম হয়ে যাবে।

সাকলাইন জানলেন, টেবিল টেনিস বলেও তিনি দুসরা করতে পারেন! বললেন, লাহোরে বাড়ির ছাদে ভাই ও ভাতিজার সাথে খেলার সময় টেবিল টেনিস বলে দুসরা করার চেষ্টা করেছি। যখন দেখতাম বল ভিন্ন দিকে টার্ন নিচ্ছে, খুবই মজা পেতাম। আজমল প্রসঙ্গে পাকিস্তানের এ স্পিন কিংবদন্তির মন্তব্য, তার ব্যাপারে ভীষণ আশাবাদী। তবে নিশ্চয়তা দিচ্ছি না। রিপোর্টগুলো ও ফুটেজ দেখি। এরপর যথাসাধ্য চেষ্টা করবো।