আদম ব্যাপারীর খপ্পরে পড়ে একটি পরিবার নিঃস্বপ্রায়

 

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনী উপজেলার হাড়িয়াদহ গ্রামের সুকুমার দাসের পরিবার আদম ব্যাপারীর খপ্পরে পড়ে এখন নিঃস্বপ্রায়। বিদেশ যেতে সহায়সম্বল বিক্রি করে সর্বস্ব তুলে দিয়েছেন আদম ব্যাপারীর কাছে। কিন্তু বিদেশ পাঠানো তো দূরের কথা টাকা ফেরত দিতে টালবাহানা করছে অভিযুক্ত দু আদম ব্যাপারী। ঋণের জ্বালায় বিষপানে আত্মহত্যার অপচেষ্টা করেছেন তার স্ত্রী সুমিত্রা দাসী। তিনি এখন গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

সুকুমার দাস জানান, তার সীমিত আয়ে টেনেটুনে সংসার চলে। একার রোজগারে ধারদেনার মধ্যে দিনতিপাত হয়। এরমধ্যে রয়েছে বিদেশ খরচ জোগানোর জন্য নেয়া ঋণের বোঝা। আদম ব্যাপারীর পিছু ঘুরেও কোনো সমাধান মেলেনি। তাই পরিবারে সব সময় ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। এর জের ধরে গত শুক্রবার তার স্ত্রী সুমিত্রা দাসী কীটনাশক পান করেন। পরিবারের লোকজন টের পেয়ে মৃতপ্রায় অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। এখন তিনি কিছুটা সুস্থ হলেও আশঙ্কা কাটেনি বলে জানান চিকিৎসক।

তিনি অভিযোগ করেন স্ত্রীকে লিবিয়া পাঠানোর জন্য বছর দুয়েক আগে হাড়িয়াদহ গ্রামের তৈরুদ্দীনের ছেলে আব্বাস আলী ও মুজিবনগর উপজেলার দারিয়াপুর গ্রামের কাশেম মাস্টারের ছেলে মুক্তার হোসেনের হাতে ৭২ হাজার টাকা দেয়া হয়। টাকা জোগাতে গরুসহ বিভিন্ন মালামাল বিক্রির পাশাপাশি এনজিও থেকে ঋণ নেন। দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও বিদেশ না পাঠিয়ে টালবাহানা শুরু করে আসছে আব্বাস ও মুক্তার।

জানতে চাইলে অভিযুক্ত মুক্তার হোসেন জানান, চার মাসের মধ্যে টাকা ফেরত দেয়ার জন্য সুকুমারের কাছ থেকে সময় নেয়া হয়েছে।