তিস্তা চুক্তির সময়সীমা জানতে চাইবে ঢাকা

স্টাফ রিপোর্টার: ঝুলে থাকা তিস্তা চুক্তি কবে নাগাদ হবে, সেই সময়সীমা সুনির্দিষ্ট করার লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ পরামর্শক কমিশনের বৈঠকে যাচ্ছে ঢাকার প্রতিনিধি দল। সেই সঙ্গে সীমান্ত চুক্তি কার্যকরের ফয়সালার সুনির্দিষ্ট সময়সীমাও তুলে ধরা হবে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর নয়া দিল্লিতে অনুষ্ঠেয় মন্ত্রী পর্যায়ের এই বৈঠকে। ২০১১ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরের সময় দুই পক্ষের সম্মতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করা এই কমিশনের এটা তৃতীয় বৈঠক। মনমোহন সিংয়ের ওই সফরের সময় তিস্তা চুক্তি সইয়ের সব প্রস্তুতি থাকলেও শেষ মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তিতে তা আটকে যায়। এরপর থেকে তা ঝুলন্ত অবস্থায় আছে। স্থল সীমান্ত চুক্তি কার্যকরে ভারতের সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন হলেও সেই উদ্যোগও সেদেশে বিরোধিতার মধ্যে আটকে রয়েছে।  কংগ্রেস সরকার দুটি বিষয়ে আশা দিয়ে এলেও এর মধ্যেই গত জুন মাসে ভারতে তাদের হটিয়ে ক্ষমতায় বসেছে বিজেপি সরকার। নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে সরকার গঠনের পর এটাই যৌথপরামর্শক কমিশনের প্রথম বৈঠক।  এই বৈঠকের মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক একটি ‘নতুন উচ্চতায়’ পৌঁছাবে বলে মনে করছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। দায়িত্ব নেয়ার পর আবুল হাসান মাহমুদ আলীর পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে এটাই হবে প্রথম ভারত সফর।  বৈঠকে নিরাপত্তা, বাণিজ্য, যোগাযোগ, জ্বালানি, পানিসম্পদ, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, অবকাঠামো খাতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার পাশাপাশি ভারত-বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে সম্পর্কোন্নয়ন, সংস্কৃতি, পরিবেশ এবং শিক্ষা নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ভারতের কাছে বৈঠকে নিরাপত্তার বিষয়টি সবচেয়ে প্রাধান্য পাবে। এর বিপরীতে বাংলাদেশ দুটি নির্দিষ্ট প্রস্তাব- নদী অববাহিকা ব্যবস্থাপনা এবং বঙ্গোপসাগরে সম্পদ আহরণের ব্যাপারে সহযোগিতার বিষয়ে গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা করবে।

বৈঠকে সীমান্ত অঞ্চলে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)-এর হাতে বাংলাদেশের নাগরিক নিহত হওয়ার ব্যাপারে তীব্র প্রতিবাদও করা হবে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা জানান।

তিনি বলেন, “কিন্তু আমরা ভারতের সঙ্গে দীর্ঘদিন ঝুলে থাকা কিছু ইস্যু (তিস্তার পানি বণ্টন এবং স্থল সীমান্ত চুক্তি) বাস্তবায়নের ব্যাপারে নির্দিষ্ট সময়সীমা সম্পর্কে জানতে চাইব