ঝিনাইদহের ডক্টরস ক্লিনিকে এসে হলো লাশ : প্যাথলজি বিভাগের তিনজন আটক

 

সন্তানের জন্য উদগ্রীব স্বামী-স্ত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার

ঝিনাইদহ অফিস: সন্তানের জন্য উদগ্রীব দম্পতি সন্তান হচ্ছে না কেন তা জানতে ঝিনাইদহের ক্লিনিকে এসে লাশ হয়েছে। গতকাল শনিবার ঝিনাইদহ শহরের ডক্টরস ক্লিনিক থেকে স্বামী ও স্ত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এ দম্পতি কয়েক বছর ধরে সন্তানের সম্ভাবনা না পেয়ে ক্লিনিকটিতে সিমেন (স্পাম) পরীক্ষা করতে এসেছিলো। এ ঘটনায় পুলিশ ক্লিনিকের প্যাথলজি বিভাগের ৩ জনকে আটক করেছে। নিহতরা হলেন- মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার বগুড়া গ্রামের ঝন্টু ফকিরের ছেলে জুয়েল হোসেন (৩০) ও তার স্ত্রী নাসরিন খাতুন (২৬)।

ডক্টরস ক্লিনিকের মালিক হামিদুন্নেছা পাখি জানান, শনিবার দুপুর ২টার সময় মাগুরার শ্রীপুর উপজেলের বগুড়া গ্রামের জুয়েল হোসেন ও তার স্ত্রী নাসরিন খাতুন ক্লিনিকে আসেন। তারা জানান, তাদের গত ৬ বছর আগে বিয়ে হলেও কোনো সন্তান হয়নি। তাই সিমেন (স্পাম) পরীক্ষার পরামর্শ দেয়া হয়। তখন তারা ডক্টরস ক্লিনিকের প্যাথলজিতে সিমেন পরীক্ষা করাতে চাইলে সিমেন সংগ্রহে ইন্টারকোর্সের জন্য ক্লিনিকের একটি কক্ষে কৌটাসহ পাঠানো হয়। প্রায় ২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও তারা দরজা না খুললে ক্লিনিকের ওয়ার্ডবয় কলিমুদ্দিন দরজা ধাক্কা দিয়ে কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে দরজার সিটকিনি ভেঙে ভেতরে ঢুকে উভয়ের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিকেল ৪টার দিকে ক্লিনিকের ওই কক্ষ থেকে বেডের ওপরে স্ত্রী নাসরিন ও মেঝেতে স্বামী জুয়েল হোসেনের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সহকারী পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম জানান, বিষয়টি রহস্যজনক। মৃতদেহ দুটির ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর মূল কারণ জানা যাবে বলে তিনি জানান। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালমর্গে নেয়া হয়েছে। পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।