বাংলাদেশিদের ভিসা : ভারতে টাস্কফোর্স গঠন

মাথাভাঙ্গা মনিটর: বাংলাদেশ ও পকিস্তানের সংখ্যালঘুদের কথা বিবেচনায় রেখে ভিসা জটিলতা নিরসনে একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে ভারত সরকার।

ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যরা ভারতের ভিসা ও নাগরিকত্ব নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে যেসব সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন, তার সমাধানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে এ টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় ভিসা পেতে জটিলতা নিয়ে আলোচনার মধ্যেই দেশটির সরকারের এই ঘোষণা এলো। ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গত তিন মাসে বিদেশে ১২টি মিশনে ভারতীয় ভিসা আবেদনের জন্য অনলাইন আবেদন পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। এর ফলে এখন ১৫২টি দেশ থেকে অনলাইনে ভারতীয় ভিসার আবেদন করা যাচ্ছে।

এছাড়া পর্যটন শিল্পের বিকাশের স্বার্থে ভারতের নয়টি বিমানবন্দরে ভিসা অন অ্যারাইভাল সুবিধা চালু করেছে, যার তত্ত্বাবধান করছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। দায়িত্ব গ্রহণের ১০০ দিন পূর্তিতে শুক্রবার নয়াদিল্লিতে নিজের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে এসব বিষয়ে কথা বলেন ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, যেসব সংখ্যালঘু বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি চাপের মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন, তাদের দুর্দশা লাঘবে কাজ করবে এ টাস্কফোর্স। রাজনাথ সিংয়ের ভাষায়, যারা দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিতে চান, এ টাস্কফোর্স তাদের নাগরিকত্বের সনদ দেবে। পাশাপাশি সীমান্ত পথে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বিস্তৃত পরিকল্পনা তৈরির কাজ করছে বলে জানান তিনি। বাংলাদেশ ও নেপাল থেকে বিপুল হারে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগ তুলে ভারতের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোর বেশ কয়েকটি দল ও সংগঠন সম্প্রতি ব্যাপক হইচই শুরু করে।

প্রকৃত অবস্থা যাচাই করতে নিজে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলো সফর করবেন বলে রাজনাথ সিং জানান। তিনি বলেন, আগামী দু থেকে তিন মাসের মধ্যে আমি সীমান্ত এলাকায় সফর শুরু করবো। আল-কায়েদার সাম্প্রতিক হুমকি প্রসঙ্গে ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অধিকাংশ মুসলিম সংগঠনই ওই হুমকির সমালোচনা করেছে। এসব সংগঠন বলেছে, তারা ভারতে উন্নয়ন ও শান্তি চান। ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে রাজানাথ সিং বলেন, সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলেই ওই পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।

ভারতের মাওবাদী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলোতে অস্ত্র সমর্পণ করে শান্তির পথে আসার আহ্বান জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ও আমর্ড বর্ডার ফোর্স (এসএসবি) দুটি নতুন ব্যাটালিয়ন করে অস্ত্র সমর্পণকারীদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেবে।