চুয়াডাঙ্গার কৃতীসন্তান ডা. মাহাবুব হোসেন মেহেদীর আরেকটি সাফল্য

 

: কিশোর শামীমকে বিনা পয়সায় ক্যান্সার রোগের চিকিৎসা

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার কৃতীসন্তান ডা. মাহাবুব হোসেন মেহেদী দূরারোগ্যে ব্যাধি ক্যান্সার রোগের বিনামূল্যে চিকিৎসা করে কিশোর শামীমকে (১৪) সুস্থ করে তুলেছেন। এটি মাহাবুব হোসেন মেহেদীর আরেকটি সাফল্য। গতকাল শুক্রবার চুয়াডাঙ্গাস্থ নিজ চেম্বারে ডা. মাহাবুব হোসেন মেহেদী অপারেশন পরবর্তী পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে কিশোর শামীম সম্পূর্ণ নিরাপদ বলে জানান। চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার গঙ্গাদাসপুর গ্রামের দিনমুজুর মোলাম আলীর ছেলে শামীম দূরারোগ্য ক্রন্ডোফায়োমায়ো সারকোমা রোগে আক্রান্ত হয়েছিলো।

শামীমের পিতা-মাতা জানান, মাসছয়েক আগে আমার ছেলের ডান উরুতে ফোলা ও প্রচণ্ড ব্যথা অনুভূত হয়। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় চিকিৎসক, কবিরাজসহ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা করায়। কিন্তু আমার ছেলের রোগ ভালো হয় না। একজনের পরামর্শে ডা. মাহাবুব হোসেন মেহেদীর নিকট দেখায়। তিনি কয়েকটি পরীক্ষা করিয়ে বলেলন, ছেলের ক্যান্সার হয়েছে। এ কথা শুনে আমরা নির্বাক হয়ে যায়। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য ধার-কর্জ করে ছেলেকে ঢাকা ও রাজশাহী নিয়ে যাই। সেখানে চিকিৎসকরা বলেন, এ রোগের চিকিৎসা করাতে ২ লাখেরও বেশি টাকা লাগবে। অর্থাভাবে আমরা বাড়িতে ফিরে আসি। ধরনা দিই বিত্তবানদের দ্বারে দ্বারে। কিন্তু কেউ সাহায্যের হাত বাড়াননি। শেষ পর্যন্ত আবারও ডা. মাহাবুব হোসেন মেহেদীর নিকট আসি। তিনি বললেন, কেউ সাহায্যের হাত না বাড়ালেও আমি আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করবো। আপনারা ওষুধের ব্যবস্থা করেন। শেষ পর্যন্ত অনেক কষ্ট করে দু মাস আগে ডা. মেহেদী হোসেন আমার ছেলের পায়ে অপারেশন করেন। আজ (শুক্রবার) তিনি আমার ছেলের পায়ের সেলাই কেটে দিয়েছেন ও (শামীম) সুস্থ হয়ে গেছে। আমরা ডা. মাহাবুব হোসেন মেহেদীর দীর্ঘায়ু কামনা করি। আমার সন্তানকে সুস্থ করে তোলার জন্য।

ডা. মাহাবুব হোসেন মেহদী বলেন, আমি দরিদ্র পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছি মাত্র। সবই আল্লাহর ইচ্ছা। যে অপারেশন করা হয়েছে তাতে প্রায় লাখখানেক টাকা খরচ হতো। সব মিলিয়ে দু লাখের বেশি। আজ (শুক্রবার) ওর অপারেশন পরবর্তী সেলাই কাটাসহ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। শামীম সম্পূর্ণ সুস্থ। আসলে দূরারোগ্য ব্যাধি হলেও যদি শুরুতেই এ রোগ সম্পর্কে ভালোভাবে নিশ্চিত হওয়া যায় তাহলে আল্লাহ সহায় থাকলে তাকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব। অপনারা আমার ও আমার বাবা-মায়ের জন্য দোয়া করবেন। আমি যেন সব সময় চুয়াডাঙ্গাবাসীর পাশে থাকতে পারি।