ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তির ৫ ঘণ্টার মাথায় মৃত্যু

কর্তব্যরত চিকিৎসকের দাবি- হৃদরোগেও ভুগছিলেন তিনি

স্টাফ রিপোর্টার: ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তির ৫ ঘণ্টার মাথায় মারা গেছেন। গতকাল বুধবার বেলা সোয়া ২টার দিকে আলমডাঙ্গা কৃষ্ণপুরের ডায়রিয়া আক্রান্ত গরুব্যবসায়ী আলতাফ হোসেন (৪৫) মারা যান। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়ার পর আলোচনায় উঠে আসে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকায় গণহারে ডায়রিয়া আক্রান্ত হলেও সুস্থ করে বাড়ি ফেরানো প্রসঙ্গ।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা উপজেলার জেহালা ইউনিয়নের কৃষ্ণপুরের মহির উদ্দীনের ছেলে আলতাফ হোসেন পেশায় গরুব্যবসায়ী। তিনি গতপরশু মঙ্গলবার রাতে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হন। গতকাল বুধবার সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা সোয়া ২টার দিকে তিনি মারা যান। তার মৃত্যুর পর স্ত্রীসহ নিকটাত্মীয়স্বজনের আহাজারিতে পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে।

মৃত্যুর পর সদর হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, রোগী আলতাফ হোসেন ডায়রিয়া রোগেই শুধু আক্রান্ত ছিলেন না, তিনি হৃদরোগেও ভুগছিলেন। এ কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে আমরা ধারণা করছি। মেডিসিন কনসালটেন্ট ডা. পরিতোষ কুমার ঘোষের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত রোগীর অবস্থা সকলেরই খারাপ ছিলো।

এদিকে গত ঈদের পর পরই চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার কয়েকটি মহল্লায় গণহারে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হতে থাকে। পক্ষকালে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দেড় হাজার ছাড়িয়ে যায়। অতো রোগী যে হাসপাতালের চিকিৎসকেরা দক্ষতার সাথে পরিস্থিতি সামলে সকলকে সুস্থ করে বাড়ি ফেরাতে পেরেছেন। সেই হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীর মৃত্যু কেন? এ প্রশ্নের জবাব খুঁজতে চেয়েছেন অনেকে। এদিকে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা এলাকায় পৌর মেয়রের তত্ত্বাবধানে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর টিউবওয়েল স্থাপনের কাজ অব্যাহত রেখেছে। চুয়াডাঙ্গা নির্বাহী প্রকৌশলী ওমর আলী এ তথ্য জানিয়ে বলেছেন, ৩৬টি জেলায় পৌর মেয়রের তত্ত্বাবধানে প্রতি পৌরসভায় ৫০টি করে টিউবওয়েল স্থাপনের বরাদ্দ পাওয়া গেছে। তারই অংশ হিসেবে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকায় টিউবওয়েল স্থাপনের কাজ চলছে। ইতোমধ্যেই ১০টি টিউবওয়েল স্থাপন করা হয়েছে।