চুয়াডাঙ্গা খাড়াগোদার শাহাদতকে মালয়েশিয়ায় নেয়ার পথে হত্যার অভিযোগ : সোয়া দু লাখ টাকায় রফা

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা খাড়াগোদার যুবক শাহাদতকে মালয়েশিয়ায় নেয়ার পথে টাকা না পেয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠে আদমব্যাপারী ছাদেক ও জামিরুলের বিরুদ্ধে। অবশেষে আইনি জটিলতা এড়াতে সোয়া দু লাখ টাকায় রফা করে নেয় আদমব্যাপারীরা। আপস মীমাংসার এক মাস অতিবাহিত হলেও টাকা দিতে তালবাহানা শুরু করে দিয়েছে কথিত আদমব্যাপারী ছাদেক ও জামিরুল। ফলে মানবতের জীবনযাপন করছে নিখোঁজ শাহাদতের স্ত্রী-পুত্রের। স্থানীয়রা মন্তব্য করে বলেছে, তখনকার আপস-মীমাংসাটা ছিলো আদমব্যাপারীদের কৌশল মাত্র।

জানা গেছে, সংসারের সচ্ছলতা আনতে পরিবারের সদস্যদের না জানিয়ে গত ১৫ জুলাই চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের খাড়াগোদা গ্রামের ৩ যুবকের সাথে সোনাই মণ্ডলের ছেলে এক সন্তানের জনক শাহাদত হোসেন মালয়েশিয়ার উদ্দেশে পাড়ি জমায়। থাইল্যান্ড সীমান্ত পর্যন্ত নিয়ে গিয়ে কথিত আদমব্যাপারী একই গ্রামের ছাদেক ও জামির শাহাদতকে মালয়েশিয়ায় পাঠিয়ে দিয়েছি বলে তার পরিবারের নিকট ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা দাবি করে। শাহাদতের ভাই সিদ্দিক আদমব্যাপারীর দাবিকৃত টাকার মধ্যে ১ লাখ টাকা পরিশোধও করে। বাকি টাকা ভাইয়ের সাথে কথা বলার পর পরিশোধ করবো বলে জানায়। হঠাৎ খবর আসে টাকার কারণে শাহাদতকে দালালরা পথিমধ্যে মারধর করে হাত-পা বেঁধে সাগরের পানিতে ফেলে দিয়েছে। সে সময় ছাদেক ও জামিরুল হত্যার বিষয়টি জনলেও বাকি টাকা আদায়ের জন্য কথাটি গোপন রাখে। ভাইয়ের লাশটি ফেরত পেতে আদমব্যাপারীদের কাছে আকুতি-মিনতি করেও কোনো লাভ হয় না শাহাদতের পরিবারের লোকজনের। উল্টো হুমকিধামকি দিয়ে তাড়িয়ে দেয় তাদের। শাহাদতের পরিবারের লোকজন আইনের আশ্রয় নিতে গেলে নড়েচড়ে বসে আদমব্যাপারীরা। এ নিয়ে গত ৬ আগস্ট খাড়াগোদা বাজারে বসে সালিস বৈঠক। দীর্ঘ শুনানি এবং দর কষাকষির একপর্যায়ে শাহাদতের লাশ ফেরত দিতে না পারলেও তার পরিবারকে ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা ৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কথিত আদমব্যাপারীরা পরিশোধ করার প্রতিশ্রুতি দিলে শাহাদতের পরিবারের লোকজন আইনের আশ্রয় নেয়া থেকে বিরত থাকে। ঘটনার এক মাস অতিবাহিত হলেও টাকা দিতে তালবাহানা শুরু করে দিয়েছে কথিত আদমব্যাপারী ছাদেক ও জামির।