সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক পুলিশের দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপই কাম্য

 

অবশ্যই সমাজের সকল হাফেজ অন্যায় করেন না, কেউ কেউ করেন। কারো কারো ভুল বা অপরাধের কলঙ্ক সমাজের শ্রদ্ধেয় গোষ্ঠীকে খাটো করে। এরকমই একজন মুক্তার হোসেন। তিনি হাফেজ বলে দাবি করেছেন। একই সাথে পুলিশের কাছে স্বীকারও করেছেন যে, তিনি সোনা-টাকা দ্বিগুন করার কথা বলে ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের এক নারীকে ঠকিয়েছেন। মুক্তার হোসেনকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি তার বাড়ি থেকে কিছু সোনা, মোবাইফোনসহ বিভিন্ন প্রকারের মালামালও উদ্ধার করেছে পুলিশ।

 

জিনের বাদশা সেজে মোবাইলফোনে প্রথমে এমনভাবে কথা বলেন যে, সরল সোজা অনেকেই তাকে বিশ্বাস করে ঠকে। কিছু মানুষ আছে যারা ধর্মীয় লেবাসে সাধারণ মানুষের সরলতার সুযোগ নিয়ে সোনা-দানা টাকা-কড়ি হাতিয়ে নিয়ে সটকে পড়ে। এদের অধিকাংশই ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যায়। হাতে গোনা কিছু ব্যক্তিকে পুলিশ হাতের নাগালে পায় বা ঠিকানা পেয়ে তার বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইন প্রয়োগের পথে হাঁটে। যশোর জেলা সদরের সীতারামপুরের মুক্তার হোসেন সে রকমই একজন। তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। তিনি যখনই নিজেকে হাফেজ বলে দাবি করেছেন, তখন তার নৈতিকতা স্খলনের বিষয়টি সামনে এসেছে। নীতি নৈতিকতার স্খলন রুখতে আইনের যথাযথ প্রয়োগের পাশাপাশি সামাজিক শিক্ষাও দরকার নয় কি?

 

প্রতারণার সুযোগের আড়ালে শুধু সরলতাই নয়, অসচেতনতার গভীরে লুকিয়ে থাকে লোভ। এখনও সচেতনতার আলো সমাজে তেমনভাবে ছড়ানো সম্ভব হয়নি, যেমনভাবে ছড়ালে প্রতারণার সুযোগ থাকে না। সচেতনতার আলো যেহেতু টর্চলাইট বা বৈদ্যুতিক বাল্বের মধ্যদিয়ে বের হয় না, বের হয় সমাজের আলোকিত মানুষগুলোর মাধ্যমে, সেহেতু তাদেরকেই অধিক দায়িত্বশীল হওয়া দরকার। এক নারীর দায়ের করা মামলার ভিত্তিতে পুলিশ মুক্তার হোসেনকে গ্রেফতার করেছে। সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক পুলিশের দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপই কাম্য।