যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীর ওপর অমানুষিক নির্যাতন
বেগমপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার কোটালী গ্রামের এক পাষণ্ড স্বামী অমানবিক কাণ্ড ঘটিয়েছে। যৌতুকেরদাবি তুলে স্ত্রীর ওপর চালিয়েছে অমানুষিক নির্যাতন। নির্যাতন সইতে না পেরে হতদরিদ্র পিতার ঘরে আশ্রয় নিয়েছেন গৃহবধূ ছালমা। নির্যাতিত ছালমা স্বামীপক্ষের হুমকি-ধামকিতে মামলা করার সাহসপাচ্ছেন না।
জানাগেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের নলবিলা গ্রামের হতদরিদ্র সালাম ৮ বছর আগে মেয়ে ছালমাকে বিয়েদেন কোটালী গ্রামের আমজেদ হোসেনের ছেলে নুর আলমের সাথে। বিয়ের পর থেকে স্বামী নুর আলম ও শাশুড়ি লাইলী বেগম এবং ননদ শিরিনা বেগম যৌতুকের দাবিতে বিভিন্ন সময় শারীরিক অমানুষিক নির্যাতন চালিয়ে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল শনিবার সকাল ১০টার দিকে আবারও ছালামাকে মারপিট করে স্বামী পক্ষের লোকজন। অসুস্থ শরীর নিয়ে ছালমা গ্রামের পুকুরে গোসল করতে গেলে মাথাঘুরে পুকুরে পড়ে থাকেন। প্রতিবেশীরা ছালমাকে উদ্ধার করে মুমূর্ষু অবস্থায় ডাক্তার ডেকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। খবর পেয়ে ছালমার পরিবারের লোকজন তাকে দেখতে এলে তাদের ওপরও চড়াও হয় ছালমার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এসময় প্রতিবেশীসহ স্থানীয় ইউপি সদস্য মারামারি ঠেকাতে গেলে তাদেরকেও মারপিট করে ছালমার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। একপর্যায়ে ছালমাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে তার পিতার বাড়ির লোকজন নিয়ে যায়।
প্রতিবেশীরা জানায়, ৮ বছর দাম্পত্য জীবনে ছালমার কোলজুড়ে আসে দুটি সন্তান। বিয়ের পর থেকে ছালমার ওপর যে ধরনের নির্যাতন হয়েছে তা চোখে দেখারমতো নয়। এদিকে হতদরিদ্র ছালমার পিতা মেয়েকে নিয়ে পড়েছেন অথৈই সাগরে। স্বামীপক্ষের হুমকি-ধামকিতে আইনের আশ্রয় নিতেও সাহস পাচ্ছেন তারা।