কদর কমছে ব্রাজিলের ফুটবলারদের

মাথাভাঙ্গা মনিটর: বিপুল সংখ্যক ফুটবলার তৈরির জন্য খ্যাতি আছেব্রাজিলের। কিন্তু খেলোয়াড় গড়ে তোলার ধারাটা হয় শুকিয়ে গেছে অথবা ইউরোপীয়ক্লাবগুলো আর ব্রাজিলিয়ানদের কদর করছে না। কারণ পরিসংখ্যান অনুযায়ীসম্প্রতি শেষ হওয়া দলবদলে ইউরোপের ক্লাবগুলোতে ব্রাজিল থেকে ফুটবলার যাওয়ারসংখ্যা অনেক কমে গেছে।দল-বদলেরজানালা বন্ধ হওয়ার আগে ব্রাজিল থেকে এবার ইউরোপের ক্লাবগুলোতে গেছে ১৭৮ জন ফুটবলার, যা ২০১১ সালে ফিফা দল-বদলের হিসেব রাখার শুরুর পর থেকে কোনো বছরে সবচেয়েকম।ফিফার তথ্য অনুযায়ী,এবার ব্রাজিল থেকে ইউরোপে যাওয়া বেশিরভাগ ফুটবলারইবিনা ট্রান্সফার ফিতে অথবা ধারে গিয়েছেন। বাকি ফুটবলারদের বিক্রি করে ব্রাজিলেরক্লাবগুলো আয় করে ৬ কোটি ৮০ লাখ ডলার, যা গত বছরের প্রায় একতৃতীয়াংশ।
সাম্প্রতিক বছরগুলোর মতো নেইমার, লুকাস সিলভা ও অস্কারের মতো কোনোবড় ফুটবলার এবার ব্রাজিল থেকে ইউরোপে পা রাখেনি। এ বছর ব্রাজিল থেকে সবচেয়ে বেশিদামে কেনা খেলোয়াড়ের মূল্য ১ কোটি ইউরো। বোটাফোগোর ১৯ বছর বয়সী সেন্টার-ব্যাকদোরিয়ার জন্য এ অর্থ ব্যয় করে অলিম্পিক মার্শেই।ক্রীড়া পরিসংখ্যানবিদ ওকলাম লেখক পাওলো ভিনিসিয়াস কোয়েলিয়ো গত রোববার ফোলহা দে এস পাওলো পত্রিকায় লেখেন, ব্রাজিলের ক্লাবগুলোর জন্য গত ৩০ বছরের মধ্যে এটা সবচেয়ে বাজে দল-বদলেরবাজার।বিশেষজ্ঞরা এর জন্য বিশেষ কিছু কারণ বের করেন।বিশ্বকাপে চরমহতাশার পর স্বাভাবিক মানের চেয়ে খারাপ অবস্থায় থাকা ব্রাজিলের ফুটবলে এখন খুব কমইপ্রতিভাবান ফুটবলার আছে। আর বিশ্বকাপে ব্রাজিলের খুব কম ফুটবলারই বিশ্ববাসীর নজরকাড়তে পেরেছে। ফলে ইউরোপের ক্লাবগুলোর কোচরা তাদের দলে টানতে তেমন আগ্রহ দেখাননি।অনেকে আবার ব্রাজিলের ফুটবলারদের বড় বাজার রাশিয়া ও ইউক্রেনের ফুটবল বাজারেরঅস্থিতিশীল অবস্থাকেও কারণ হিসেবে দেখছেন।নেইমার, লুকাস ও দোরিয়ার মতোফুটবলারদের আইনজীবী হিসেবে কাজ করা মার্কোস মত্তা মনে করেন, ব্রাজিলের ঘরোয়া লিগেইএখন ভালো মানের খুব বেশি ফুটবলার নেই।তবে এ বছর ব্রাজিল থেকে ফুটবলাররপ্তানি কমলে কি হবে, সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত কিন্তু ফুটবল পাগল দেশটিইএগিয়ে।ফিফার ট্রান্সফার ম্যাচিং সিস্টেমের তথ্য অনুযায়ী ২০১১ সাল থেকে এমরসুমের দলবদল শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত বিশ্বে ব্রাজিলের ৫ হাজার ৫২৬ জন ফুটবলারক্লাব বদল করেছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আর্জেন্টিনার চেয়ে সংখ্যাটা দ্বিগুণেরওবেশি।