সাতছড়িতে আরও অস্ত্র-গুলি উদ্ধার

 

স্টাফ রিপোর্টার: মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে হবিগঞ্জের চুনারুঘাটথানার সাতছড়ির সংরক্ষিত বনাঞ্চলে অভিযান চালিয়ে আরো দু ড্রাম সমরাস্ত্রউদ্ধার করেছে র্যাব।সোমবার গভীর রাতে তারা এই অস্ত্র ও গুলির সন্ধান পান।এর মধ্যে রয়েছে: এসএমজি ৯টি, এসএমসি ১টি, বেটাগান ১টি,  অটো রাইফেল ১টি, এসএলআর ৬টি, এলএমজি ২টি ও ২ হাজার ৪০০ রাউন্ড রাইফেলের গুলি। এর আগে চলতিবছরের ৩ জুন একই এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধার হয়েছিলো।

বনাঞ্চলের একাধিক শ্রমিক, টিপরা পল্লির বাসিন্দা ও র্যাব কর্মকর্তারাজানান, র্যাব সদর দফতর ও র্যাব-৯ এর সদস্যরা গত তিনদিন ধরে সাতছড়ি এলাকায়অভিযান চালাচ্ছে। অস্ত্র ও গুলিগুলো জাতীয় উদ্যানের উঁচু টিলার ওপরে পলিথিনদিয়ে মোড়ানো ২টি ড্রামের ভেতরে পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিলো। ড্রাম ২টি ছিলোগর্তের ভেতর। ফলে সেগুলো নষ্ট হয়নি। র্যাব-৯ শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের কোম্পানিকমান্ডার মোসাদ্দেক আলীর নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় টিপরাপল্লির সকল নারী-পুরুষকে নিরাপদ দূরত্বে রাখা হয়।

অভিযানসম্পর্কে জানাতে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে মৌলভীবাজারে শ্রীমঙ্গল র্যাব-৯ এরক্যাম্প কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে যোগ দেন ঢাকার র্যাবসদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া শাখারপরিচালক মুফতি মাহমুদ খান জানান, এর আগে উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের বিষয়েচুনারুঘাট থানায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। মামলা দুটিতদন্ত করছে পুলিশ। গতসোমবার উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের বিষয়েও মামলার প্রস্তুতিচলছে বলে তিনি জানান।

র্যাব কর্মকর্তারা জানান, ৩ জুন সাতছড়িজাতীয় উদ্যানের টিলায় বেশ কয়েকটি বাঙ্কার থেকে ২২২টি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্নকামান বিধ্বংসী রকেটসহ বিপুল পরিমাণ যুদ্ধাস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এরপর থেকেওই এলাকায় র্যাবের অভিযান ও গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। তারা আরোজানান, এ ধরনের অস্ত্র সাধারণত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা যুদ্ধক্ষেত্রেব্যবহার করে থাকেন। অস্ত্রের উত্স ও ব্যবহাকারীদের সম্পর্কে বিস্তারিতজানতে অনুসন্ধান চলছে। এদিকে প্রাথমিক তদন্তে উদ্ধার হওয়া ওই বিপুল পরিমাণঅস্ত্র ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলোর বলে একটি অসমর্থিত সূত্রে জানাগেছে।