আলমডাঙ্গার খাসকররা বাজারপাড়ায় দুটি পরিবারের বিরোধ চরমে

 

আবারও পরস্ত্রীকে ভাগিয়ে নেয়ার হুমকি

হামলায় পরকীয়া প্রেমিকসহ আহত ৬

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গার পল্লি খাসকররা বাজারপাড়ার মন্টুর বাড়িতে হামলা চালিয়ে তার দু স্ত্রীসহ ৬ জনকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে বাড়ি। মন্টুর ছেলে এক সন্তানের জনক রিপন পরস্ত্রীকে দু দফা ভাগিয়ে নিয়ে কয়েকদিন অজ্ঞাত স্থানে অবস্থান করে। পরস্ত্রী তার স্বামী ঘরে ফিরলেও রিপন আবারও ভগিয়ে নেয়ার হুঙ্কার দিলে এ হামলার ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা এ তথ্য দিয়ে বলেছে, গতকাল শুক্রবার বাদ জুম্মা হামলাকারীরা রিপন ও তার দাদিকে পিটিয়েছে।

রিপন ও তার পিতা মন্টু অভিযোগ তুলে বলেছে, গ্রামেরই হানেফ মণ্ডলের ছেলে ইমদাদুলসহ তাদের লোকজন কান কথা শুনে হামলা চালিয়ে মারপিট করেছে। ভাঙচুর করেছে ঘরবাড়ি। ওই ইমদাদুলেরই স্ত্রী দু সন্তানের জননী মৌসুমি খাতুন স্বামী সন্তান রেখে ৪ মাস আগে রিপনের সাথে খুলনায় পাড়ি জামায়। সপ্তাখানেকের মাথায় মৌসুমিকে ফিরিয়ে আনেন তার পিতা হাবিবুর রহমান। স্বামীর সংসারে ফেরানো হলেও মৌসুমি রোজার মধ্যে আবারও রিপনের সাথে ঢাকায় পাড়ি জমায়। সেখানে গিয়ে দুজন বিয়ে করে বলেও গ্রামে খবর রটে। সেখান থেকেও মৌসুমিকে ফিরিয়ে এনে স্বামীর সংসারে দেয়া হয়। রিপন গ্রামে ফিরলে মৌসুমির স্বামী ও পিতাপক্ষের হামলার শিকার হতে পারে আশঙ্কায় বেশ কিছুদিন আত্মগোপন করে। সপ্তাখানেক আগে নিজ বাড়িতে ফেরে। গতকাল রিপন মোবাইলফোনে ইমাদুলকেই তার স্ত্রীকে ভাগিয়ে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয়। এ হুমকির পরই ইমদাদুল, তার পিতা হানেফ মণ্ডল, শ্বশুর হাবিবুর রহমানসহ তাদের লোকজন গতকাল শুক্রবার বাদ জুম্মা হামলা চালায়। হামলায় রিপনের মা জাহানারা খাতুন, সৎ মা আফরোজা খাতুন, দাদি আখিরন নেছা (৭০), রিপনের ভাই মিল্টন আহত হয়। বাড়ি ঘর আংশিক ভাঙচুরও করা হয়।

স্থানীয়রা মন্তব্য করতে গিয়ে বলেছে, যেমন রিপন, তেমনই মৌসুমি। ওই মৌসুমি গ্রামেরই মেয়ে। ইমদাদুলের সাথে প্রেমসম্পর্ক গড়ে তুলে নিজেদের পছন্দে বিয়ে করে। দাম্পত্য জীবনে দু সন্তানও আসে। এরই মাঝে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তোলে এক সন্তানের জনক রিপনের সাথে। দফায় দফায় রিপনের সাথে ভেগে যাওয়া এবং রিপনের হুঙ্কারে দু পরিবারের মধ্যে চরম বিরোধ দানা বেধেছে। হামলার পর দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা তীব্রতর হয়ে উঠেছে। পাল্টা হামলারও আশঙ্কা করছে অনেকে।