চুয়াডাঙ্গায় ফেনসিডিল নিয়ে দু পক্ষের বিরোধ : হামলা

 

হামলায় একজনের পায়ের রগ কর্তন : অপরপক্ষের একজনকে বোমাসহ দেয়া হয়েছে পুলিশে

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা পলাশপাড়ার আনোয়ার হোসেন বিপুলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে পায়ের রগ কেটে দেয়াসহ কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে। তার ওপর হামলাকারীদের অন্যতম তপনকে ধরে বোমাসহ পুলিশে সোপর্দ করেছে অপরপক্ষ। গতরাত সাড়ে ৯টার দিকে পাল্টাপাল্টি এ ঘটনা ঘটেছে। ফেনসিডিল নিয়ে বিরোধের সূত্রপাত বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে। এলাকায় দু পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের পলাশপাড়ার মৃত জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে আনোয়ার হোসেন বিপুল (২৭) ও তার ভাগ্নে তপু মোটরসাইকেলযোগে কেদারগঞ্জ জীবননগর বাসস্ট্যান্ডের নিকটস্থ এক চা দোকানে গেলে এলাকার কয়েকজন যুবক তাদের ওপর হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে বিপুলের দু পায়ে কোপ মারে। বাম পায়ের রগ কেটে যায়। অপর পায়ের গুঁড়ালিতেও রক্তাক্ত জখম হয়। তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। ঘটনার পর অপর পক্ষের তপনকে আটক করা হয়। সে চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের জীবননগর বাসস্ট্যান্ডপাড়ার বুড়োর ছেলে। সেসহ একইপাড়ার আসলাম উদ্দীনের ছেলে আলিফ, মসলেম উদ্দিনের ছেলে শিহাবসহ অন্যরা বিপুলের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ করা হয়। তপনকে একটি বোমাসাদৃশ্য বস্তুসহ পুলিশে দেয়া হয়। তপন অবশ্য বলেছে, ওই বোমা তার কাছে ছিলো না। অপরপক্ষ বোমাটিসহ তাকে পুলিশে দিয়েছে। স্থানীয়দের তেমন কেউ মুখ না খুললেও অপরপক্ষের লোকজন বলেছে, ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানোর পর বোমা মারতে চেয়েছিলো। বোমাসহ হাতেনাতে ধরে তাকে পুলিশে দেয়া হয়েছে।

বিপুলকে গতরাতেই চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল থেকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালের উদ্দেশে নেয়া হয়েছে। সদর থানার ওসি আহত বিপুলের নিকট থেকে ঘটনার বর্ণনা শুনেছেন। হামলাকারীদের তিনি ধরতে অভিযানের নির্দেশ দিয়েছেন। অপরদিকে স্থানীয় একাধিকসূত্র বলেছে, সম্প্রতি তপন, আফিলসহ কয়েকজন কিছু ফেনসিডিল কেড়ে নেয়। গতকাল দর্শনায় গেলে এদের একজনকে আটকে রেখে ফেনসিডিলের মূল্য পরিশোধের জন্য চাপ দেয়া হয়। মোবাইলফোনে বিপুলকে টাকার দায়িত্ব নিতে মোবাইলফোনে অনুরোধ করে আলিফরা। তাতে সাড়া না দিয়ায় বিপুলের সাথে বিরোধ দানা বাধে। এরই জের ধরে গতকাল বিপুল ও তার ভাগ্নের ওপর হামলা চালানো হয়। ঘটে পাল্টাপাল্টি ঘটনা।