সরকারি জমির ওপর অবৈধ স্থাপনা নির্মাণে আলমসাধুচালক সমিতির ক্ষোভ: বৈঠক
মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার জেহালা ইউনিয়নের পিটিআই মোড়ের সরকারি জমির ওপর গড়ে তোলা গোডাউনেঅগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। অবৈধভাবে গোডাউন গড়ে তোলায় তাতে ক্ষুব্ধ জনতা আগুন দিয়েছে বলে স্থানীয়দের অনেকেই মন্তব্য করেছেন। গতকাল বিকেলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে নেন।
এলাকাসূত্রে জানা গেছে, গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গা সড়কের পিটিআই মোড়ের অদূরে গড়ে তোলা গোডাউনে আগুন লাগে। নির্মিত গোডাউন ও কাঠের গোলায় ক্ষুব্ধ জনতা আগুন ধরিয়ে দেয়। স্থানীয়রা বলেছে,গত ১০ বছর ধরে এলাকার ভ্যান ও আলমসাধুচালক সমিতি পিটিআই মোড়ের পশ্চিম পাশের সরকারি জমির বড় বড় গর্ত নিজ উদ্যোগে মাটি ভরাট করে।সমিতির কার্যালয় ও দোকান করার ব্যবস্থা করে। দোকানগুলো ভূমিহীনদের মাঝে বিতরণেরও উদ্যোগ নেয়া হয় বলে জানিয়েছে সমিতির নেতৃবৃন্দ। সেই উদ্যোগ ভেস্তে দিয়ে গত কয়েক বছর আগে চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের বোয়ালমারী গ্রামের মৃত শফির ছেলে বিপ্লব ও তার ভাই শান্ত ওই স্থানে গোডাউন ও কাঠের গোলা নির্মাণ করেন। নির্মিত দোকান ভাড়ায় দেন।গতকাল বিকেল ৫টার সময় থেকে এলাকার লোকজন ও ভ্যান, আলমসাধু চালকেরা সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে পিটিআই মোড়ে জড়ো হতে থাকে। এ সময় মোমিনপুর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দার উপস্থিত হন। এলাকার জনতা ও ভ্যান, আলমসাধুচালক সমিতির লোকজনের সাথে বৈঠকে বসে। এ সময় উত্তেজিত হয়ে দু ভাই বিপ্লব ও শান্ত ভ্যান, আলমসাধু চালকদের ওপর চড়াও হলে উত্তেজিত জনতা পেট্রোল ঢেলে কাঠের গোলা ও গোডাউনে আগুন লাগিয়ে দেয়। দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে আগুন। বিপ্লব ও শান্ত পালিয়ে সরে পড়ে রক্ষা পান। সংবাদ পেয়ে চুয়াডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম আধাঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয়রা বলেছে,আলমসাধুচালকদের জায়গা দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের কারণে তাদের মধ্যে ক্ষোভ দান বাধে। দীর্ঘদিনের ক্ষোভের বহির্প্রকাশ ঘটেছে গতকাল। বেতবাড়িয়া গ্রামের নির্মলের ছেলে সুকেশ প্রতি মাসে ৫শ টাকায় ওই দোকান ভাড়ায় নিয়েছিলেন বলে জানা যায়।