চুয়াডাঙ্গা বড়শলুয়ার একটি পরিবার কিছুদিনের মধ্যেই উচ্ছন্নে

স্ত্রী হত্যার দেড় মাসের মাথায় স্বামীর আত্মহত্যা

স্টাফ রিপোর্টার: স্ত্রী হত্যামামলার আসামি স্বামী নওশাদ (৪৫) আত্মহত্যা করেছেন। গতকাল রোববার সকালে তিনি বিষ পান করেন। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতলে ভর্তির ঘণ্টাখানেকের মাথায় সকাল ১০টার দিকে তিনি মারা যান। স্ত্রী আম্বিয়াকে হত্যার পর চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের বড় শলুয়া গ্রামের নওশাদ এর আগেও দু দফা আত্মহত্যার অপচেষ্টা চালায় বলে তার নিকটজনেরা জানিয়েছেন।

জানা গেছে, বড়শলুয়া গ্রামের দুখু মিয়ার মেয়ে আম্বিয়ার সাথে একই গ্রামের মৃত মনছের আলীর ছেলে নওশাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর নানা অজুহাতে স্ত্রীকে নির্যাতন করতো নওশাদ। অভিযোগ ওঠে, স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে কয়েক দফা আত্মহত্যার অপচেষ্টা চালান আম্বিয়া খাতুন। গত ২৯ জুন রাতে মারা যান আম্বিয়া খাতুন। অভিযোগ ওঠে তার স্বামী তাকে মারপিট করে মুখে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করেছে। আম্বিয়ার মৃত্যুর পর অবশ্য স্বামী নওশাদ দাবি করেন তার স্ত্রী হৃদরোগে মারা গেছে। আম্বিয়ার পিতা বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্ত শেষে দাফনকাজ সম্পন্ন করা হয়। নওশাদকে পুলিশ গ্রেফতারও করে। জামিনে মুক্ত হয়ে তিনি পর পর দু দফা আত্মহত্যার অপচেষ্টা চালান। দু দফা হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেও তৃতীয় দফায় তার আর বাড়ি ফেরা হলো না।

পরিবারের সদস্যরা বলেছে, নওশাদ রোববার সকাল ৭টার দিকে বাড়ি বসে বিষ পান করেন। তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সকাল ৯টার দিকে হাসপাতালে ভর্তির ঘণ্টাখানেকের মাথায় ১০টার দিকে তিনি মারা যান। মৃতদেহ সাথে সাথে নিজ গ্রামে নেয়া হয়। গতকালই দাফনকাজ সম্পন্ন করা হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়ে বলেছে, নওশাদ দীর্ঘদিন ধরেই রগচটা প্রকৃতির ছিলেন। তিনি শুধু তার স্ত্রীকেই নির্যাতন করতেন না, ছেলের সাথেও বাধিয়ে রাখতেন ঝগড়া। রগচটার কারণেই সংসারটা উচ্ছন্নে গেলো।