নজরুলের স্ত্রী বিপুল ভোটে জয়ী

 

স্টাফ রিপোর্টার: নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ডে গতকাল শনিবার উপনির্বাচনঅনুষ্ঠিত হয়েছে। বেসরকারিভাবে পাওয়া ফলাফল অনুযায়ী এ নির্বাচনে বিপুল ভোটেজয়লাভ করেছেন চাঞ্চল্যকর সাত খুনের ঘটনায় নিহত প্যানেল মেয়র ও ওয়ার্ডকাউন্সিলর নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি।নজরুল ইসলাম ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন।এউপনির্বাচনে সিংহ প্রতীক নিয়ে সেলিনা ইসলাম পেয়েছেন ৫ হাজার ২৬৬ ভোট। তাঁরনিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইকবাল হোসেন আপেল প্রতীকে পেয়েছেন এক হাজার ৯৫৮ভোট। পদ্ম ফুল প্রতীক নিয়ে ৬৮৭ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন আরেকপ্রতিদ্বন্দ্বী মাসুম রানা। গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নারায়ণগঞ্জজেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচনী কর্মকর্তামো. তারিফুজ্জামান এ ফলাফল ঘোষণা করেন।জয়লাভের পর সেলিনা ইসলাম বিউটিকান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘এ বিজয় জনগণের বিজয়। এ বিজয় আমার স্বামী প্রয়াতনজরুল ইসলামের। আমার স্বামী সারা জীবন সাধারণ মানুষের পাশে ছিলেন। তাদেরদুঃখ-দুর্দশায় তাঁদের পাশে তিনি যেভাবে ছিলেন,আমিও সেভাবে থাকবো। আমি আমারস্বামীর অসমাপ্ত সব কাজ সম্পন্ন করব। আমি আমার স্বামীসহ সাত খুনের ঘটনায়ন্যায়বিচারের জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাবো।’ সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২ নম্বরওয়ার্ডের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে চলেবিকেল ৪টা পর্যন্ত। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে বিপুল সংখ্যকবিজিবি,ৱ্যাব ও পুলিশ মোতায়েন ছিলো।ভোট শুরুর আগে সকালে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থীই নির্বাচনে প্রভাববিস্তার ও কারচুপির অভিযোগ আনেন। তবে শেষ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়।

জানা গেছে,নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি,পাইনাদী,মৌচাক,নতুন মহল্লা,আবদুল আলী পুল,হীরাঝিল,মুজিববাগ,মিতালী মার্কেটএলাকা নিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ড গঠিত। এই ওয়ার্ডেরমোট ভোটার ১৬ হাজার ৭২৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮ হাজার ৫১৬ ও নারী ভোটার৮ হাজার ২১৩ জন। নির্বাচনের মোট কেন্দ্র ৮টি।

উল্লেখ্য,গত ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুলইসলাম,আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়। এর তিন দিন পর ৩০এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তাঁদের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতনজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি ফতুল্লা মডেল থানায় কাউন্সিলর নূরহোসেনকে প্রধান আসামি করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।এ ছাড়া আইনজীবী চন্দন সরকারের জামাই বিজয় কুমার পাল ফতুল্লা মডেল থানায় আলাদাভাবে হত্যা মামলা দায়ের করেন।এ হত্যা মামলায় ইতোমধ্যে ৱ্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্টকর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মাদ,মেজর আরিফ হোসেন ও লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এমএম রানা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ও হত্যাকাণ্ডের বর্ণনাদিয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ছাড়া অপহরণ ওখুনের ঘটনায় ৱ্যাব-১১-এর ছয়জন সদস্য প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী হিসেবে আদালতেস্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।