জীবননগরে বক্তারা দিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির বক্তব্যের সেদিনের জবাব

 

 

সুই ঝাঁজরকে বলে আপনার পাছায় ফুটো কেন : এখন যদিআপনার কথা বলি তাহলে ইজ্জত যাবে কোথায়?

এম আর বাবু/সালাউদ্দীন কাজল: জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে গতকাল সোমবার জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে শোকসভা ও গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশাল এ গণজমায়াতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দামুড়হুদা উপজেলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাদুল ইসলাম আজাদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগার টগর।

শোকসভা ও গণজমায়াতে বক্তারা গত ৮ আগস্ট জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের ব্যানারে অনুষ্ঠিত জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদের হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনের গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও সমালোচনা করেন।তারা বলেন, ‘আপনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, আমাদের অভিভাবক। আমাদেরকে বাইপাস করে আপনি দামুড়হুদা ও জীবননগরে এসে যে বক্তব্য দিলেন তাতে দলের মধ্যে চরম বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে। আপনার বক্তব্য সংযত হওয়ার দরকার ছিলো। খুস্তার জামিলকে রাজাকার হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, আপনি রাজাকার নিয়ে বসবাস করেন। আর আমাদের পরিবারের সদস্যদেরকে বলেন জামায়াত-শিবির। বক্তারা বলেন, সুই ঝাঁজরকে বলে ভাই তোমার পাছায় ফুঁটো কেন।এখন আমরা যদি আপনার কথা বলি তাহলে আপনার ইজ্জত যাবে কোথায়?

জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শোকসভা ও গণজমায়াতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক চেয়ারম্যান আজাদুল ইসলাম আজাদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ৭৫’র ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে তার পরিবারের নিহত সকল সদস্য ও আত্মীস্বজনের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বলেন, ‘গত ৮ আগস্ট জীবননগরে কতিপয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীর আয়োজনে হুইপ শোকের মাসে কীভাবে সংবর্ধনা নিতে আসলেন? এবং সংবর্ধনা নিতে এসে যে ধরনের উল্লাস করেছেন এবং আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে যে ধরনের মিথ্যা কুৎসা রটনা করেছেন তার জবাব যদি এখন দেয়া যায় তাহলে ওনার কেমন লাগবে এটা তার বোঝার দরকার ছিলো। ইটটি মারলে পাটকেলটি খেতে হয় এটা যদি উনি বুঝতেন তাহলে শোকের মাসে সংবর্ধনা নিতে এসে এ ধরনের কুৎসা রটনা করতেন না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের যে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, তা তিনি পূরণ করে যেতে পারেননি। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার জন্য প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা লড়াই করে চলেছেন এবং তিনি যখন বাংলার মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করছেন তখন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে হুইপেরও দায়িত্ব দলকে সুসংগঠিত করে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করা। কিন্তু উনি তা না করে আওয়ামী লীগকে দ্বিখণ্ডিত করার ষড়যন্ত্রে নেমেছেন। তিনি হুইপ হয়ে কী করে আরেক সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রপাকাণ্ডা করেন। তিনি গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কী করে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করলেন? আমি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। অথচ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে হুইপের অনুসারী মঞ্জুসহ তার অনুসারীরা জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীর পক্ষ নিয়ে আমাকে ফেল করানোর জন্য উঠে পড়ে লাগলেন। আমি পরাজিত হয়েছি। আমি প্রকাশ্যে বলতে চাই, আমাকে ফেল করানোর মূলে ছিলেন মঞ্জু, মতিয়ার আর হুইপ। আমি হুইপকে জিজ্ঞেস করতে চাই? মঞ্জু সাহেব যিনি কখনো নির্বাচন করেন না, অথচ কার স্পর্ধায় প্রতিবার দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে কাজ করেন? মঞ্জুর কথাশুনে আপনি আওয়ামী লীগকে দ্বিখণ্ডিত করছেন। আমি জামায়াতের প্রার্থীর কাছে পরাজিত হলাম। আপনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে আপনার দায়িত্ব ছিলো আমাকে পাস করানোর। কিন্তু আপনি তা না করে আমাকে ফেল করোনোর সমস্ত ব্যবস্থা করে ঢাকা থেকে বাড়িতে এসে নিজের জন্মদিন পালন করলেন। আপনার সাথে কি চলা যায়? আমি আনুরোধ করবো আপনি এ ধরনের কাজ আর করবেন না। করলে আলমডাঙ্গা ও চুয়াডাঙ্গায় করেন। দামুড়হুদা ও জীবননগরে করবেন না। কারণ দামুড়হুদা ও জীবননগরের আওয়ামী লীগ খুব শক্তিশালী।’

চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগার টগর বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন,‘আগস্ট মাস শোকের মাস। যার জন্ম না হলে আমরা এই স্বাধীন দেশ পেতাম না। আমরা সেই জাতির জনকের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ও তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বলি, গত ৫ বছর আগে জাতির জনকের কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে এই আসনে মনোনয়ন দিলে আপনারা আমাকে নির্বাচিত করেন। বিগত ৫ বছরে আমি আপনাদের পাশে থেকে এ আসনে কী উন্নয়ন করেছি তা আপনারা জানেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনেও আপনারা আমাকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করেন। আমি সব সময় আপনাদের পাশে থেকে গ্রাম-গঞ্জের উন্নয়ন করেছি। আমি পৌর এলাকার উন্নয়ন কাজে অংশ নিতে পারিনি। তারপরেও ফায়ার ব্রিগেড থেকে শুরু করে হাসপাতাল-পাইলট হাইস্কুলসহ অনেক প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন করেছি।’আলী আজগার টগর গত ৮ আগস্টজীবননগরে অনুষ্ঠিত হুইপ ছেলুন জোয়ার্দ্দারের গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানের বক্তাদের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও কঠোর সমালোচনা করে বলেন, আমার এক বড় ভাই মোশাররফ হোসেন মিয়া বলে গেছেন, কয়া গ্রামের মসজিদনা গোরস্তানের নামে ১০ টন গম বরাদ্দ দেয়ার পর তা লোপাট করা হয়েছে। আমি কয়া গ্রামের নুর ইসলামের সাথে কথা বলেছি।তিনি এখানে আছেন। নূর ইসলাম বলেছেন, তারা তাদের বরাদ্দকৃত ৩ টন গম পেয়েছেন। এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। চরম মিথ্যা কথা এই মোশাররফ হোসেন বলে গেছেন। উনি গত ৫ বছর আমার কাছে কোনো দলীয় কর্মকাণ্ডের জন্য যাননি। তার বউ অসুস্থ হয়, তার ছেলেকে ইংল্যান্ডে পাঠাতে হবে সেই জন্য যান। তিনি চার বছর আগে ছেলেকে বিদেশে পাঠানোর জন্য আমার কাছ থেকে ২ লাখ টাকা ধার নিয়েছেন। এ টাকা এখনও দেননি। এ ধরনের জনবিচ্ছিন্ন মানুষ অনেক কথা বলে।’তিনি বলেন,‘এমন কোনো লোক নেই যে আমি টগর তার পাশে দাঁড়াইনি। একটা লোক তখন মরেই গেছে। তার বুকে রিং লাগাতে হবে। আমি তাকে টাকা দিয়ে তার বুকে রিং লাগানোর ব্যবস্থা করি। আমি কাদের সাহায্য করি; যারা আওয়ামী লীগ করে, তাদের সাহায্য করি। কারণ সে আমার ভোট দিয়েছে। সেই লোকের পাশে দাঁড়ানো আমার দায়িত্ব। তারপরও তারা যদি উল্টোপাল্টা কথা বলে তাহলে তার বিচারের ভার আমি জনগণের ওপর দিলাম।

আর একটা কথা বলতে চাই,‘ওই একটি ফ্যামিলির মানুষ যে গতবার আম মার্কা নিয়ে নির্বাচন করেছিলো। আমি জানিনা নজরুল ভাইকে দু বার ফেল করিয়ে দেয়া হয়েছে। বাঁকার মাঠে কে ধুন্দুর সাথে টাকার লেনদেন করে তোমাদের হারালো তা তোমরা জানোনা। বিগত নির্বাচনে আমি ৭০ হাজার ভোটে হেরে যাবো এমন কথা বলে তুমি নিজে যেমন আমার ভোট করোনি, তেমনি নৌকার লোকদের ভোট করতে নিষেধ করেছিলে। সে কথা জনগণ সবাই জানে। তুমি উপজেলা ভোটে দাঁড়ালে না। তুমি বললে জনগণের সাথে তোমার সম্পর্ক নেই। আমি আর একটা কথা বলি,‘আমাকে ব্যঙ্গ করে কথা বলা হয়। আমার মামু আছে, বড় মামু আর ছোট মামু। বড় মামু ছোট মামুরে আর ছোট মামু বড় মামুরে প্রশংসা করে। মা-শাআল্লাহ। আমি ছোট মামুর উদ্দেশে বলতে চাই, যখন ভোট এলো তখন এ মামুর টাকা নিতে বেশ মজা লেগেছিলো। তুমি পায়খানা টেন্ডার পর্যন্ত বিক্রি করে হজম করো। আর বড় মামুর উদ্দেশে বলতে চাই, ওই সময় এ মামুর টাকা বৈধ। তিনি বলেন, টগর মিয়া বৈধ টাকা নিয়ে নির্বাচন করতে এসেছে। প্যারাডো এসেছে না-কি?। ঢাকায় জমি-বাড়ি, গাড়ি আমার অনেক আগে থেকেই আছে। এ কথা আপনারা জানেন না। কারা আঙুল ফুলে কলা গাছ হয়েছে-কারা, তা আপনারা জানেন না?নির্বাচনে জেতার পর কার কার পায়ের তলায় মাটি হয়, ১০ চাকার ট্রাক হয়, গাড়ি হয় তা আপনারা জানেন না?জানেন। আজ ঠিকাদাররা টেন্ডার দিতে পারে। কই গত সাড়ে ৩ বছর ঠিকাদাররা তো সিডিউল ড্রপ করতে পারেনি। এই আমার কারণে ঠিকাদাররা যখন টেন্ডার দেয়া শুরু করলো তখন তা আবার দখল করার জন্য আমাকে বাগে আনতে চেষ্টা করতে গিয়ে তখন আমি আবার মামু হলাম। ওই কাঁচ ঘেরা ঘরে বসে সব কাজ ভাগ হতো। আমি এখন কাজ যখন ভেঙে দিলাম তখন আবার হয়ে গেলাম ভাগ্নে। কিন্তু আমি তা হতে দেয়নি। তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন,‘আমার ফ্যামিলিতে কেউ জামায়াত-বিএনপি করে এমন প্রমাণ যদি দিতে পারেন তাহলে আমি কালকেই পদত্যাগ করে চলে যাব।’তিনি তার পরিবারের ধারাবাহিক রাজনীতি ও জনপ্রতিনিধি হয়ে নেতৃত্বের প্রদানের কথা তুলে ধরে বলেন,‘আমি এমপি হয়েছি। আমাদের পরিবারের তো একটা ধারাবাহিকতা আছে। আমি বলতে চাই, টগর কিন্তু বানের জলে ভেসে আসেনি। আপনারা মনে করছেন এখানে এসে অমলের টাইট করে যাবো আর আমি বসে আঙুল চুষবো তা কিন্তু হবে না। আপনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, অবশ্যই আপনি শ্রদ্ধার পাত্র। আপনাকে সালাম করেই রাজনীতি করতে চাই। আপনি বলেছেন, আমি না-কি আপনার বিরুদ্ধে বাজে কথা বলেছি। আমি কী কথা বলেছি। আমি বলেছি, আমি আমার আসনে ১৭ দিন ইফতার মাহফিল করেছি। কই আপনি কটা করেছেন?আপনি দামুড়হুদায় ইফতার পার্টিতে এলেন আমি আপনাকে মোবাইল করে বল্লাম আমাকে দাওয়াত দেয়া হয়নি। যদি দাওয়াত পেতাম তাহলে যেতাম। তিনি দামুড়হুদা আওয়ামী লীগ নেতা মাহফুজুর রহমান মঞ্জু ও মতিয়ার রহমানের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, মঞ্জু ভিডিপি কমান্ডার ছিলো। মিথ্যা বলছি না। আর আমার শ্রদ্ধেয় তাউই মরহুম শামসুল ইসলামের চোখের পানি আমি দেখেছি। তখন কিন্তু আমি রাজনীতি করতাম না। আমার বেয়াই মতিয়ারের ৩২ বছর জেল হয়েছিলো। সত্য-মিথ্যা যাই হোক আমি তাকে জামিন করে আনি। হুইপ ছেলুন জোয়ার্দ্দারকে উদ্দেশ্য করে এমপি টগর বলেন, গত ৫ বছরে উনি কী করেছেন তা আমার থেকে আমার আসনের মানুষই ভালো জানে। আর উনি এখানে এসে বড়বড় কথা বলে যান। কে ৩ তলায় ঝাড়বাতি লাগিয়ে সেখানে কী করতো তা আপনারাই ভালো জানেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় সাইফুল যখন মার্ডার হলো তখন আমি খোঁজ নিয়ে দেখি মতিয়ার বাড়িতে নেই। উনি রাজশাহী জেলে ছিলেন ২২ দিন। উনি কেন জেলে ছিলেন সে কথা আমি আর বলছি না। তিনি বলেন, আমি বেশি কথা বলতে চাইনা, আমি দেশবাসীর নিকট বিচার দিতে চাই, জননেত্রী শেখ হাসিনার নিকট বিচার দিতে চাই। আমি জনগণ নিয়ে থাকি এটাই কি আমার অপরাধ?যদি অপরাধ হয়ে থাকে তাহলে আপনারা আমাকে ক্ষমা করবেন। আপনাদের ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। আজকের উপস্থিতিই তার প্রমাণ। জামায়াত-বিএনপি দেশকে পিছিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ষড়যন্ত্র করছে, আগামী দিনে আমরা সবাই এক সাথে থেকে জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে রাজপথে দাঁড়িয়ে এর জবাব দেবো।

জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আলী আহাম্মদ, জীবননগর উপজেলা চেয়ারম্যান পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি আবু মো. আব্দুল লতিফ অমল, জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, পৌর কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম রফি, দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগ যুগ্মসাধারণ সম্পাদক পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউপি চেয়ারম্যান এসএম জাকারিয়া আলম, দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগ নেতা শহিদুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি শরীফ উদ্দিন দুদু, আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শেখ শফিকুল ইসলাম মোক্তার, বাঁকা ইউনিয়নের পক্ষে আওয়ামী লীগ নেতা শাখাওয়াত হোসেন ফরজ, সীমান্ত ইউনিয়ন সভাপতি আব্দুল মালেক মোল্লা, উথলী ইউনিয়ন সভাপতি আব্দুল হান্নান, সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন খান, হাসাদাহ ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক জসিমউদ্দিন জালাল, যুবলীগ নেতা ওয়াসিম রাজা, সালাউদ্দিন কবীর, শামীম সরোয়ার, শাহ আলম শরিফুল ইসলাম, খায়রুল বাশার শিপলু, ফারুকুজ্জামান ফারুক, কাজল, দিপু, সেলিম উদ্দিন, আবুল কালাম, ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান ডেও, রুবেল রানা, নাজমুল হক মানিক, শাওন, মেহেদী হাসান, খালিদ হাসান পিপুল, তুহিন, ফয়সাল আহমেদ, সেকেন্দার আলী ও মহিলা নেত্রী আসমা খাতুন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন উপজেলা যুবলীগের যুগ্মআহ্বায়ক আ. সালাম ইশা।