পৌনে দু বছরের ঈর্ষণীয় মধুর দাম্পত্যে বিচ্ছেদ এনেছে মৃত্যুদূত! হাসানহাটিতে শোক

 

 

স্বামীর অপমৃত্যু : শোক সইতে না পেরে স্ত্রীর আত্মহত্যার অপচেষ্টা

স্টাফ রিপোর্টার: স্বামী হারানো শোক সইতে না পেরে তমা খাতুনও মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। স্বামীর অপমৃত্যুর ৯ দিনের মাথায় তিনি গতকাল শনিবার তার স্বামীগৃহে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার অপচেষ্টা চালান। তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের কুতুবপুর ইউনিয়নের হাসানহাটির আবুল কাশেমের ছেলে আলো হোসেনের সাথে পৌনে দু বছর আগে বিয়ে হয় ঝিনাইদহ হাটগোপালপুরের হারুন অর রশিদের মেয়ে তমা খাতুনের। বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক এতোটাই মধুর হয় যে, দুজন দুজনের প্রাণপ্রিয় হয়ে ওঠেন। আলো হোসেন পেশায় ছিলেন ট্রাকচালক। পেশাগত কারণে স্বামী আলোকে অধিকাংশ সময়ই থাকতে হতো ঢাকায়। দূরে থাকলে ঘণ্টায় ঘণ্টায় নিয়ম করে কথা হতো মোবাইলফোনে। কাছে থাকলে? দুজনই মুহূর্তের জন্যও দৃষ্টি সীমার বাইরে যেতে দিতেন না একে অপরকে। দাম্পত্য যাদের এতো মধুর, সেই তাদের জোড়া ভেঙেছে দুর্ঘটনা। গত ৭ আগস্ট ঢাকায় ইট বহন করা ট্রাকের ওপর থেকে আছড়ে পড়ে অপর একটি ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে প্রাণ হারান আলো হোসেন। পরদিন শুক্রবার লাশ নেয়া হয় তার নিজ বাড়ি হাসানহাটি। স্বামীর মৃত্যুর সংবাদে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন স্ত্রী তমা খাতুন (২০)।

তমার স্বামীর দাফনের পর তার পিতা হারুন অর রশিদ নিতে চেয়েছিলেন হাটগোপালপুর। স্বামীগৃহ ছাড়তে চাননি তমা খাতুন। স্বামীর স্মৃতি নিয়েই জীবনের বাকি সময়টা স্বামীর ঘরেই কাটানোর ইচ্ছে ব্যক্ত করেন তিনি। কী এমন হলো যে, স্বামীর মৃত্যুর ৯ দিনের মাথায় গতকাল শনিবার দুপুরে স্বামীগৃহে নিজ ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার অপচেষ্টা করেন। তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। খবর পেয়ে তমার পিতা-মাতা ছুটে আসেন হাসপাতালে। কন্যার শিয়রে বসে অনিশ্চয়তার প্রহর গুনছেন তারা।