বাবা-মায়ের লাশের পাশ থেকে দু শিশুকে জীবিত উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার চরভুলুয়া গ্রামে এক দম্পতির রহস্যজনকমৃত্যু হয়েছে। পুলিশ গতকাল শুক্রবার ধানখেত থেকে তাদের লাশ এবং তাদের দুকন্যাসন্তানকে জীবিত উদ্ধার করেছে।

উদ্ধার হওয়া লাশ দুটি চরভুলুয়াগ্রামের সুমন মিয়া (৩৩) ও স্ত্রী আয়শা আক্তারের (২৫)। আর তাদের দুকন্যাসন্তানের নাম সুবর্ণা ও সুকন্যা। সুবর্ণার বয়স দেড় বছর ও সুকন্যার দেড়মাস।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, চরভুলুয়া গ্রামের মোমেনমিয়ার ছেলে সুমন তিন বছর আগে পরিবারের সদস্যদের না জানিয়ে আয়শাকে বিয়েকরেন। পরিবারের সদস্যরা বিয়ে মেনে না নেয়ায় তিন বছর ধরে তাঁরা ঢাকা, নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে বাস করতেন। গতকাল সকালে চরভুলুয়া গ্রামেরকৃষকেরা জমি চাষ করতে গিয়ে শিশুদের কান্নার শব্দ পান। তাঁরা একটু এগিয়েগিয়ে ধানখেতে দুটি লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। এ সময় সুমন মিয়ার লাশের পাশে বসেসুবর্ণা এবং একটি খালি ব্যাগের ভেতরে সুকন্যা কান্নাকাটি করছিল। পরে খবরপেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল এসে তাদের লাশ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতালেরমর্গে পাঠায়। এ সময় পুলিশ ওই দু শিশুকে সুমন মিয়ার বাবার হাতে তুলে দেয়।সুমনমিয়ার বাবা মোমেন মিয়া বলেন, পরিবারের কাউকে না জানিয়ে বিয়ে করায় তাঁরাসুমন ও তাঁর স্ত্রীকে মেনে নেননি। এ কারণেই তারা আত্মহত্যা করলো, নাকি কেউপরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তা বোঝা যাচ্ছে না।

এ দম্পতির লাশেরসুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন সোনারগাঁ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মেজবাহউদ্দিন। তিনি জানান, লাশগুলোর কোথাও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর জানা যাবে, তাদের মৃত্যু কীভাবে হয়েছে।তবে লাশের পাশে একটি কীটনাশকের বোতল পাওয়া গেছে।পুলিশ ও এলাকাবাসীজানায়, বৃহস্পতিবার রাতের যেকোনো সময় এ দম্পতির মৃত্যু হয়েছে। তবে রাতেসোনারগাঁয়ে মুষলধারে বৃষ্টি হয়। এতো বৃষ্টির মধ্যেও শিশু দুটি সুস্থ আছে।তাদের পরনের কাপড় ভেজা পাওয়া যায়নি। এ কারণেই তাদের মৃত্যু নিয়ে রহস্যসৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার রাতে সুমন মিয়ার বাবা মোমেন মিয়াবাদী হয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেছেন।